Bardhaman News: আউশগ্রামে 'আমাদের পাড়া আমাদের সমাধান’ ক্যাম্পে BJP নেতা, মুখে মমতার গুণগান

বিজেপি নেতার মুখে তৃণমূলের গুণগান। তাও আবার যে সে নেতা না , বিজেপি কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য । আলোচনা শুরু এখানেই। উল্টোপুরান হলো কী করে! এখন পূর্ব বর্ধমান জেলার আউশগ্রাম ২ ব্লক এলাকায় চলছে 'আমাদের পাড়া আমাদের সমাধান’ শিবির। সোমবার আউশগ্রাম ২ ব্লকের রামনগর পঞ্চায়েতের কুড়ুল অবৈতনিক প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ছিল ‘আমাদের পাড়া আমাদের সমাধান’ শিবির। এই শিবিরে তখন পঞ্চায়েত প্রধান বন্দনা ঘোষ, উপপ্রধান জিয়াউল হক, স্থানীয় সমাজসেবী তথা তৃণমূল নেতা আব্দুল লালন উপস্থিত ছিলেন । কাজকর্ম দেখছেন তারা । ঠিক তখনি এই শিবিরে পাড়াপড়শিদের সঙ্গে নিয়ে হাজির হন বিজেপি কিষাণ মোর্চার কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য ভরত ঢালি।

Advertisement
আউশগ্রামে 'আমাদের পাড়া আমাদের সমাধান’ ক্যাম্পে BJP নেতা, মুখে মমতার গুণগানআমাদের পাড়া আমাদের সমাধান ক্যাম্পে মমতার বন্দনা বিজেপি নেতার

বিজেপি  নেতার মুখে তৃণমূলের গুণগান। তাও আবার যে সে নেতা না , বিজেপি কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য । আলোচনা শুরু এখানেই। উল্টোপুরান হলো কী করে! এখন পূর্ব বর্ধমান জেলার আউশগ্রাম ২ ব্লক এলাকায় চলছে 'আমাদের পাড়া আমাদের সমাধান’ শিবির। সোমবার আউশগ্রাম ২ ব্লকের রামনগর পঞ্চায়েতের কুড়ুল অবৈতনিক প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ছিল ‘আমাদের পাড়া আমাদের সমাধান’ শিবির। এই শিবিরে তখন  পঞ্চায়েত প্রধান বন্দনা ঘোষ, উপপ্রধান জিয়াউল হক,  স্থানীয় সমাজসেবী তথা তৃণমূল নেতা আব্দুল লালন উপস্থিত ছিলেন । কাজকর্ম দেখছেন তারা ।  ঠিক তখনি  এই শিবিরে পাড়াপড়শিদের সঙ্গে নিয়ে হাজির  হন  বিজেপি কিষাণ মোর্চার কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য ভরত ঢালি। তিনি রামনগর কলোনি এলাকার জন্য কয়েকটি প্রকল্পের প্রস্তাব রাখেন।
 
তৃণমূল ব্লক সভাপতি শেখ আব্দুল লালনের পাশে দাঁড়িয়ে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ভূয়সী প্রশংসায় পঞ্চমুখ হয়ে বিজেপি নেতা বলেন, আমাদের ব্লকের ব্লক তৃণমূল কংগ্রেসের সভাপতি আব্দুল লালন আমাদের শ্রদ্ধার মানুষ। তিনি রাজনীতির উর্দ্ধে একজন সমাজ সেবী মানুষ। বাংলার মুখ্যমন্ত্রী গ্রামীণ স্তরের মানুষের উপকারের জন্য যে জনদরদী প্রকল্প নিয়েছেন, তা সর্বাঙ্গীণ সফল করতে চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন তিনি। আমরা মুখ্যমন্ত্রীর এই জনদরদী প্রকল্পে উপকৃত হব। দীর্ঘদিন আমাদের গ্রামের ছোট ছোট রাস্তা হয়নি, ছোট ছোট জলের সমস্যা ছিল। এব্লক সভাপতি শেখ আব্দুল লালন  কথা দিয়েছেন, রাস্তা হবে মুখ্যমন্ত্রীর অনুদানেই আগামী ছয় মাসের মধ্যে। পথশ্রী প্রকল্পের টাকা এলেই। মাননীয়া মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কাছেও আমি ফোন করে জানিয়েছি। মাননীয়া ম্যাডাম তদন্ত করতে পাঠিয়ে ছিলেন। আমরা, আমাদের গ্রামের মানুষ মুখ্যমন্ত্রীকে ভরসা করি। 

আউশগ্রাম ২ নং ব্লকের রামনগর গ্রাম পঞ্চায়েতের গোপালপুর কলোনি গ্রামে বাড়ি বিজেপির কিষাণ মোর্চার  ন্যাশনাল এক্সিকিউটিভ বডির  মেম্বার ভরত ঢালির। দীর্ঘদিন এলাকায় বিজেপি করছেন। বিজেপি গোটা দেশে ক্ষমতায় আসার আগে থেকেই তিনি বর্ধমান জেলার বিজেপির একমাত্র মুখ। এর আগেও বিজেপির এই  কৃষক নেতা ভরত ঢালি তৃণমূল সরকারের থেকে পূর্ব বর্ধমান জেলার সেরা কৃষক সম্মান নিয়ে দলের অন্দরে বিতর্কে জড়িয়ে ছিলেন। তবুও তিনি ধারাবাহিক ভাবে তৃণমূল কংগ্রেস সরকারের একাধিক জনমুখী প্রকল্পের প্রশংসা করেন। এই বিজেপি নেতা বিগত লোকসভায় পূর্ব বর্ধমান জেলায় ভালো ফল করতে বিজেপির একজন কান্ডারী । সোমবার রাজ্য সরকারের 'আমার পাড়া আমার সমাধান' প্রকল্পের সুবিধা নিতে নিজেই সশরীরে অংশগ্রহণ করেন। একদল গ্রামবাসীদের নিয়ে  সরকারি ক্যাম্পে আসেন তিনি। সেই নিয়েই শুরু হয়েছে জল্পনা। তাহলে কি ভরত ঢালি বিধানসভা ভোটের আগে ব্লক তৃণমূল কংগ্রেস সভাপতি শেখ আব্দুল লালনের হাত ধরে তৃণমূলে নাম লেখাবেন?    

Advertisement

আউশগ্রাম ব্লক তৃণমূল সভাপতি আব্দুল লালন বলেন, রামনগর কলোনি-সহ আশপাশের কয়েকটি গ্রামে পূর্ববঙ্গ থেকে আসা বহু মানুষের বসবাস। আমরা সবাই মিলেমিশে থাকি। যে যাই দল করুন সামাজিকতা ও সৌজন্যে কোনও বিভেদ নেই। বিজেপির উচ্চস্তরের নেতারা যতই বিভেদ তৈরির চেষ্টা করুন তাঁদের বোঝা উচিত আমাদের মুখ্যমন্ত্রী উন্নয়নের ক্ষেত্রে কোনও বিভেদ করেন না। আমরাও সেভাবেই চলি। বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় তিনি একজন ব্রাহ্মণ ঘরের মহিলা, আমি মুসলমান, আমার ভাই  ভরত পূর্ব বঙ্গ থেকে আসা মানুষ। বিজেপি নেতারা SIR  করে, তাদের নাম বাদ দিয়ে দেশ থেকে তারাতে চাইছে।  আমাদের বাংলার মা মমতা তাদের রক্ষা করবেন। আমাদের সেনাপতি অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় তাদের হয়ে আন্দোলন করছেন। আমরা সবাই বাংলার মানুষের পাশে আছি। দিদির কথায় তাঁর প্রকল্পের অংশীদার সকলে, সেখানে বিজেপি নেতা বলে তাকেও আমরা গুরুত্ব দিয়েছি, কোনও অবহেলা করিনি, এটাই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নির্দেশ। দিদির প্রকল্পের সুবিধা সবাই পাবেন। সেখানে কোনও ভাগ নেই। নব্বই দিনের মধ্যে এই কাজগুলির সমাধান হবে, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নির্দেশেই।

POST A COMMENT
Advertisement