বাঁকুড়ায় BJP নেতার বাড়িতে হামলাপাত্রসায়ের বিজেপি নেতার বাড়িতে হামলা। প্রাণভয়ে বাড়ি থেকে ছুটে প্রাণে বাঁচলেন বিজেপি নেতা। কিন্তু ওই বিজেপি নেতাকে বাড়িতে না পেয়ে বিজেপি নেতার দাদাকে বেধড়ক মারধর করল দুষ্কৃতীরা। অভিযোগের তির তৃণমূলের দিকে। আহত বিজেপি নেতার দাদা হাসপাতালে ভর্তি। আহত নেতার দাদাকে হাসপাতালে দেখতে যান বিজেপি বিধায়ক। যদিও তৃণমূলের পাল্টা অভিযোগ তাঁদের এক নেত্রীর বাড়িতে হামলা চালায় বিজেপি কর্মী ও সমর্থকরা।
বিজেপির অভিযোগ, শনিবার, ২০ ডিসেম্বর রসুলপুর সংলগ্ন এলাকায় একটি বালির গাড়ির ধাক্কায় মৃত্যু হয় বেলুট রসুলপুর গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকার এক ব্যক্তির। সেই ঘটনাকে কেন্দ্র করে স্থানীয় বাসিন্দারা রাস্তায় গাড়ি আটকে বিক্ষোভ দেখান। সেই রোষ গিয়ে পড়ে বিজেপি কর্মী সমর্থকদের উপর। অভিযোগ, সেই ঘটনার জেরেই বেলুট রসুলপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রাক্তন প্রধান তাপস বারির নেতৃত্বে বিকেলে স্থানীয় বিজেপি নেতা সুশোভন দত্তের বাড়িতে হামলা চালায় দুষ্কৃতীরা। তৃণমূল কর্মী সমর্থকদের আশ্রিত এই দুষ্কৃতী বাহিনীকে দেখে কোনওমতে বাড়ি থেকে ছুটে পালিয়ে প্রাণে বাঁচেন ওই বিজেপি নেতা। কিন্তু অভিযোগ, সেই সময় বাড়িতে ছিল সুশোভন দত্তের দাদা সুমন দত্ত। অভিযোগ তাঁকে তৃণমূল আশ্রিত দুষ্কৃতীরা ব্যাপক মারধর করে। সেইসঙ্গে ওই বিজেপি নেতার বাড়ি ভাঙচুর করা হয়।
তড়িঘড়ি আহত ওই বিজেপি নেতার দাদাকে নিয়ে যাওয়া হয় সোনামুখী গ্রামীণ হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য। হাসপাতালে আহতকে দেখতে যান সোনামুখীর বিজেপি বিধায়ক দিবাকর ঘরামী। সংবাদমাধ্যমের মুখোমুখি হয়ে বিধায়ক জানান, হাতে আর মাত্র কয়েকটা মাস। আপনারা দিন গুনতে থাকুন, আপনাদের সময় এসে গিয়েছে। এই ঘটনার পাল্টা প্রতিক্রিয়া দিয়েছে বিষ্ণুপুর সাংগঠনিক জেলা তৃণমূল কংগ্রেস সভাপতি সুব্রত দত্ত। তার দাবি বিজেপি আশ্রিত দুষ্কৃতীরা তাদেরই সক্রিয় তৃণমূল কর্মী তথা ওই এলাকার অর্থাৎ বেলট রসুলপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রাক্তন সদস্য লক্ষ্মী রবিদাসের বাড়িতে চড়াও হয় বাড়ি ভাঙচুর করে। মারধর করা হয় এবং সম্মানহানি চেষ্টাও করা হয়।
রিপোর্টারঃ নির্ভীক চৌধুরী