রামনবমীতে রামমন্দিরের শিলান্যাস করলেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। গত ২২ জানুইয়ারি রাম মন্দিরের বর্ষপূর্তি উপলক্ষ্যে নন্দীগ্রামের সোনাচূড়ায় রামমন্দির গড়ে তোলা হবে বলে জানিয়েছিলেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা। আজ রামনবমীর দিনই তিনি করলেন রামমন্দিরের শিলান্যাস।
রামনবমীর পুন্যতিথিতে নন্দীগ্রামের সোনাচূড়াতে রাম মন্দিরের ভূমি পূজন অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা। বেশ কয়েকদিন ধরেই সেখানে পুরোদমে চলছিল প্রস্তুতি। এদিন সকাল থেকেই জোরকদমে শুরু হয়ে যায় তোড়জোড়। পড়েছে বড় বড় রামের কাটআউট। এদিন সকালে দলীয় কর্মীদের বাইকে চেপেই সোনাচূড়ার মন্দিরে যান শুভেন্দু অধিকারী।
সোনাচূড়ায় সাড়ে চার বিঘা জমিতে গড়ে উঠবে এই রাম মন্দির। সাধু-সন্তদের উপস্থিতিতে চলে হোম-যজ্ঞ। সকাল ১০টায় হয় শিলান্যাস অনুষ্ঠান। তার আগে ভাঙ্গাবেড়িয়া থেকে সোনাচূড়া পর্যন্ত চলে বর্ণাঢ্য শোভাযাত্রা । এরপরই ঘটা করে করা হবে শিলান্যাস। পূজার্চনা ও নাম কীর্তনে মেতে ওঠেন ভক্তরা।
রামমন্দিরের জন্য ওদিন যজ্ঞও করেন শুভেন্দু অধিকারী। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সমালোচনাও করেন তিনি। বলেন, “রাম আস্থার প্রতীক।” আগেই এক কোটি হিন্দুকে রাস্তায় নামার ডাক দিয়েছিলেন শুভেন্দু। পরবর্তীতে আরও ৫০ লাখ মোট দেড় কোটি হিন্দুকে রাস্তায় নামার ডাক দিয়েছিলেন তিনি। এদিন রাস্তায় নেমেই কার্যত রণহুঙ্কারের সুরে বললেন, “এ তো সবে সকাল দশটা! রাত দশটার মধ্যে দখল হয়ে যাবে বাংলা।”
এদিকে বিষ্ণুপুরের বিজেপি সাংসদ সৌমিত্র খাঁ বিষ্ণুপুরের রামনবমীতে অংশগ্রহণ করে ভক্তদের সঙ্গে খেললেন লাঠি। পা মেলালেন রামনবমীর শোভাযাত্রায়। আমি একজন সনাতনী মানুষ হিসাবে এই মিছিলে পা মিলিয়েছি। লাঠি খেলা ছোট থেকে শিখতাম। তাই এখন এই লাঠি খেলা। দাবি করেন সৌমিত্র খাঁ। হনুমানজির ধ্বজা হাতেও দেখা যায় সৌমিত্র খাঁকে। পাশাপাশি রামনবমীর শোভাযাত্রায় অংশগ্রহণকারী ভক্তদের ছোলাগুর খাওয়াতে দেখা যায় তাঁকে।