Burdwan : বর্ধমানে বন্ধ ঘর থেরে উদ্ধার মা ও ৩ বছরের শিশুকন্যার মৃতদেহ, শোরগোল

বর্ধমান শহরের বাদশাহি রোড এলাকার একটি বাড়ি থেকে উদ্ধার মা ও মেয়ের মৃতদেহ। সোমবার সকালে ঘরের পাখার সঙ্গে ঝুলন্ত অবস্থায় দেখা যায় মামনি সাউ বর্মণ ও তাঁর মেয়ে প্রজ্ঞা বর্মনের দেহ।

Advertisement
বর্ধমানে বন্ধ ঘর থেরে উদ্ধার মা ও ৩ বছরের শিশুকন্যার মৃতদেহ, শোরগোলBurdwan
হাইলাইটস
  • বর্ধমানে বন্ধ ঘর থেকে মা ও মেয়ের দেহ উদ্ধার
  • দেহ উদ্ধার ঘিরে চাঞ্চল্য

বর্ধমান শহরের বাদশাহি রোড এলাকার একটি বাড়ি থেকে উদ্ধার মা ও মেয়ের মৃতদেহ। সোমবার সকালে ঘরের পাখার সঙ্গে ঝুলন্ত অবস্থায় দেখা যায় মামনি সাউ বর্মণ ও তাঁর মেয়ে প্রজ্ঞা বর্মনের দেহ। পুলিশ এসে দেহ উদ্ধার করে নিয়ে যায়। ঘটনা ঘিরে এলাকায় চাঞ্চল্য ছড়ায়। মৃতার স্বামীকে আটক করে পুলিশ। 

পেশার রেলকর্মী প্রভঞ্জন বর্মনের বাড়ি দক্ষিণ ২৪ পরগনায়। মেয়ে প্রজ্ঞা ও স্ত্রী মামনিকে নিয়ে তিনি বর্ধমানের বাদশাহি রোডের একটি বাড়িতে ভাড়া থাকতেন। ওই ব্যক্তি বর্ধমানেই কর্মরত। সোমবার নাইট ডিউটি ছিল তাঁর। বাড়িতে ছিলেন না। সেই সুযোগে এই গলায় ওড়নার ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করেন মামনি সাউ। স্থানীয় বাসিন্দাদের অনুমান প্রথমে মেয়েকে খুন করে তারপর আত্মহত্যা করেছেন মামনি। তবে পুলিশের তরফে এই ব্যাপারে কোনও বক্তব্য সামনে আসেনি। ময়নাতদন্তের রিপোর্ট সামনে আসার পরই ৩ বছরের শিশুকন্যার মৃত্যুর প্রকৃত কারণ জানা যাবে। 

স্থানীয় বাসিন্দারা জানিয়েছেন, ওই দম্পতি প্রায় ২ বছর ধরে এই বাড়িতে ভাড়া থাকত। চাকরিসূত্রেই এখানে ঘর ভাড়া নিয়ে বসবাস। স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে অশান্তি চলছিল কি না সেই বিষয়ে তাঁরা জানতেন না। তবে এলাকাবাসীর সঙ্গে মেলামেশা করত ওই পরিবার। সোমবার সকালে প্রভঞ্জন বাড়ি ফিরে দেখে দরজা বন্ধ। পুলিশ ডাকা হয়। দরজা ভেঙে দেখা যায় একটি ফ্যান থেকে ঝুলছে মা ও মেয়ের দেহ। তারপরই প্রভঞ্জনকে আটক করে থানায় নিয়ে যায় পুলিশ। 

এই নিয়ে বাদশাহি রোডের স্থায়ী বাসিন্দা অলক সাম জানান, রবিবার রাত্রিবেলা মা ও মেয়ে সুইসাইড করেন। তবে কী কারণে জানা যায়নি। পারিবারিক অশান্তি কারণ হতে পারে। পুলিশ তদন্ত করছে। 

যে বাড়িতে সেই পরিবার ভাড়া থাকত সেই বাড়ির এক সদস্য জানান, স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে কোনও ঝামেলা হয়েছে বলে তাঁরা শোনেননি। শান্তিপূর্ণভাবেই সেই পরিবার বসবাস করত। একটা তিন বছরের বাচ্চা ছিল। সেও আসা যাওয়া করত তাঁদের বাড়িতে। হঠাৎ করে কীভাবে কী হয়ে গেল তা তাঁরা বুঝতে পারছেন না। 

Advertisement


  
POST A COMMENT
Advertisement