Adhir on Mamata Banerjee: 'কয়েকটা উপনির্বাচন জিতলেই PM হওয়া যায় না,' মমতাকে নিশানা কংগ্রেসের অধীরের

বাংলার লোকসভা নির্বাচনে একেবারে ভরাডুবি হয়েছিল কংগ্রেসের অধীর রঞ্জন চৌধুরীর। ইউসুফ পাঠানের কাছে হেরে দীর্ঘদিনের প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতির পদ ছাড়তে হয়েছিল তাঁকে। ভোটে হেরে দলেই কোণাঠাসা হয়ে গেলেও মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কট্টর বিরোধিতা থেকে সরছেন না অধীর চৌধুরী। সেটা আরও একবার বুঝিয়ে দিলেন এক সময় বহরমপুরের বেতাজ বাদশা।

Advertisement
'কয়েকটা উপনির্বাচন জিতলেই PM হওয়া যায় না,' মমতাকে নিশানা কংগ্রেসের অধীরেরমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কট্টর বিরোধিতা থেকে সরছেন না অধীর চৌধুরী

বাংলার লোকসভা নির্বাচনে একেবারে ভরাডুবি হয়েছিল কংগ্রেসের অধীর রঞ্জন চৌধুরীর। ইউসুফ পাঠানের কাছে হেরে দীর্ঘদিনের প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতির পদ ছাড়তে হয়েছিল তাঁকে। ভোটে হেরে দলেই কোণাঠাসা হয়ে গেলেও মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কট্টর বিরোধিতা থেকে সরছেন না অধীর চৌধুরী। সেটা আরও একবার বুঝিয়ে দিলেন এক সময় বহরমপুরের বেতাজ বাদশা।

মহারাষ্ট্র বিধানসভা নির্বাচনের ফলাফলের নিরিখে শ্রীরামপুরের সাংসদ  কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্য়ায় আবারও একবার মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কেই বর্তমান ভারতের প্রধান বিরোধী নেত্রী হিসাবে তুলে ধরার কথা বলে INDIA শিবিরকে বিশেষ বার্তা দিয়েছেন। কল্যাণের সাফ কথা  নরেন্দ্র মোদীকে হারাতে হলে দেশব্যাপী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কেই প্রধান বিরোধী নেত্রী বা মোদীবিরোধী প্রধান মুখ হিসাবে তুলে ধরতে হবে। এবং এক্ষেত্রে কোনও রাজনৈতিক দল যদি নিজেদের 'ইগো' নিয়ে বসে থাকে, তাহলে আদতে কাজের কাজ কিছুই হবে না।  মমতাকে নেত্রী হিসেবে আনার জল্পনা চলছে তৃণমূলের অন্দরে। এই নিয়ে 'দিল্লি আভি দূর হ্যায়', পাল্টা কটাক্ষ অধীরের। 

অধীর চৌধুরী বলেছিলেন যে টিএমসি  জাতীয় দল ছিল কিন্তু তারপর  আঞ্চলিক দল হয়ে ওঠে এবং এর মর্যাদা হ্রাস পায়। তিনি যোগ করেন যে দলটি বাংলা ছাড়া প্রতিটি নির্বাচনে চেষ্টা করেছে কিন্তু হেরেছে, যদিও এটি বাংলায় সম্পূর্ণ ভিন্ন গল্প।  অধীর বলেন, "গোয়া, ত্রিপুরা বা অন্য যেকোন রাজ্যই হোক - তারা সব জায়গায় চেষ্টা করেছে কিন্তু ব্যর্থ হয়েছে। বাংলা আলাদা গল্প - এখানে তাদের 'রাজ' আছে। তাদের টাকা আছে, গুন্ডা আছে, সবকিছু আছে।" 

তিনি আরও বলেন যে বাংলায় উপনির্বাচন কোনও ব্যাপার না কারণ ভোট শুরু হওয়ার আগেই ফলাফল জানা যায়। অধীরের কথায়,  " কিন্তু, কেউ যদি মনে করে যে আমি কিছু উপ-নির্বাচনে জিতেছি বলেই আমি দেশের প্রধানমন্ত্রী হতে পারব, এটা কল্পনা মাত্র, মানুষ প্রায়ই দিবাস্বপ্ন দেখে। বাংলায় উপ-নির্বাচন কোন ব্যাপারই না, এমনকি ভোটের আগে সবাই। জানতাম কে জিতবে। "

Advertisement

POST A COMMENT
Advertisement