কলকাতার জোকা ম্যানেজমেন্ট কলেজের ধর্ষণের ঘটনার রেশ কাটতে না কাটতে নাবালিকা ছাত্রীকে অশ্লীল মেসেজ করার অভিযোগে গ্রেফতার স্কুলের প্রিন্সিপাল। এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে দক্ষিণ ২৪ পরগনা জেলার অন্তর্গত ক্যানিং থানার রায়বাঘিনী ডিপল হাইস্কুলে।
স্থানীয় ও পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে , ক্যানিং রায়ভাগিনি এলাকায় ডিপল হাই স্কুল টি খ্রিস্টান মিশনারি স্কুল হিসেবে পরিচিত এই স্কুলের প্রিন্সিপাল। ওই স্কুলের এক নাবালিকার ছাত্রীর হোয়াটসঅ্যাপে মেসেজ পাঠায় এরপর সেই ছাত্রীর কাছে পাঠানো মেসেজ দেখে ক্ষোভে ফেটে পড়ে ওই ছাত্রীর পরিবার এরপর ওই ছাত্রীর বাবা-মা এসে স্কুলে প্রতিবাদ জানায়। স্কুলে ছুটে আসে ক্যানিং থানার পুলিশ স্কুল থেকে প্রিন্সিপালকে আটক করে পুলিশ।
নাবালিকার পরিবারের দাবি, ওই অধ্যক্ষ একাধিক নোংরা মেসেজ পাঠায় তাঁকে। দিনের পর দিন এই কাণ্ড ঘটিয়ে চলেছেন তিনি। এমনকী তিনি হুমকি দেন এই বিষয়ে কাউকে জানালে পরীক্ষায় ফেল করিয়ে দেওয়া হবে। এই নিয়ে ভয়ও দেখান তিনি। সম্প্রতি স্কুল ছাত্রী মাধ্যমিক পরীক্ষায় পাশ করলে এ বিষয়ে মা-বাবাকে জানায়। এরপর সেই ছাত্রীর কাছে পাঠানো মেসেজ দেখে ক্ষোভে ফেটে পড়েন ছাত্রীর পরিবার।
শনিবার এ বিষয়ে অধ্যক্ষের বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগরে দেয় অভিযোগকারিনীর পরিবার। উত্তেজনা ছড়ায় স্কুল চত্বরেও। স্কুলে এসে পৌঁছয় ক্যানিং থানার পুলিশ। স্কুল থেকে প্রিন্সিপালকে আটক করে থানায় নিয়ে যাওয়া হয়। এই বিষয় সংবাদমাধ্যমের সামনে মুখ খোলেননি স্কুলের প্রিন্সিপাল। শুধু হেসে-হেসে বললেন, “সরি…সরি।” বিধায়ক পরেশরাম দাস বলেন, “এটা একটা সিবিএসসি বোর্ডের স্কুল। ওই স্কুলের বর্তমান যিনি অধ্যক্ষ তাঁর বিরুদ্ধে একাধিক অভিযোগ। তিনি ছাত্রীদের খারাপ-খারাপ মেসেজ করেন। নোংরা নোংরা কথা বলেন।” অপরদিকে অভিযোগকারিনীর বাবা বলেন, “অধ্যক্ষ গত এক বছর ধরে আমার মেয়েকে যৌন হেনস্থা করে যাচ্ছেন। ও বোর্ডের পরীক্ষা দেবেন বলে আমরা ধৈর্য ধরে ছিলাম এতদিন। এবার আমরা স্টেপ নেওয়া শুরু করলাম। বর্তমানে উনি অভিযোগ অস্বীকার করলেও আমরা ছেড়ে কথা বলব না।”