Letter To President Draupadi Murmu: নোবেল বিজয়ী অর্থনীতিবিদ অমর্ত্য সেনকে, পশ্চিমবঙ্গের শান্তিনিকেতনে তাঁর পৈতৃক বাড়ি 'প্রতীচি'র উচ্ছেদের নোটিশ দেওয়ার বিষয়ে, প্রশাসনের বিরুদ্ধে পদক্ষেপের জন্য এবং বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য প্রফেসর বিদ্যুৎ চক্রবর্তীর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার দাবিতে দেশ-বিদেশের শিক্ষাবিদ এবং গবেষক সহ বহু বিশিষ্ট ব্যক্তিত্ব রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মুকে চিঠি পাঠালেন।
সন্দেহ নেই, বিশ্বের শিক্ষাক্ষেত্রে এই চিঠি আলোড়ন ফেলে দিয়েছে। যাঁরা অমর্ত্য সেনের পাশে দাঁড়িয়ে উপাচার্যের বিরুদ্ধে সরব হয়েছেন তাঁদের বেশিরভাগই বিদেশের। দেশেরও অনেকে রয়েছেন তাতে। ম্যাসচুসেটসের অর্থনীতির কিংবদন্তি অধ্যাপক জেমস কে বোয়েস, জেনেভার ইন্টারন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অফ ডেভলপমেন্ট স্টাডিজের অধ্যাপক জেনাইন রডগার্সের মতো শিক্ষাবিদ। আবার জেএনইউয়ের অর্থনীতির অধ্যাপক প্রভাত পট্টনায়কও আছেন তালিকায়।
শান্তিনিকেতনে অমর্ত্য সেনের বাড়ি প্রতীচীর ১৩ ডেসিমেল জায়গা নিয়ে মূল সংঘাত। বিশ্ববিদ্যালয়ের দাবি, ওই জায়গা দখল করে রাখা হয়েছে। পাল্টা মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ভূমি ও ভূমিরাজস্ব দফতর থেকে রেকর্ড বের করে অমর্ত্য সেনের হাতে দিয়ে বলে এসেছেন, কোনও জবরদখল নেই।
রাষ্ট্রপতিকে লেখা চিঠিতে বিশিষ্ট জনেরা জানিয়েছেন, উপাচার্য ‘রাজনৈতিক প্রভু’কে তোয়াজ করে চলেন। সেই কারণেই অমর্ত্যকে হেনস্থা করা হচ্ছে। ভারত সরকারের সঙ্গে অমর্ত্যের মতাদর্শগত পার্থক্য রয়েছে। তাই বিজেপি সরকারকে তুষ্ট করার জন্য নোবেলজয়ীর বিরোধিতা করছেন বিদ্যুৎ। বিশ্ববিদ্যালয়ের অভিভাবক হিসাবে এমন উপাচার্যকে ‘নিয়ন্ত্রণ’ করুন রাষ্ট্রপতি, সেই আর্জি জানিয়েছেন বিশিষ্ট জনেরা।
অমর্ত্যের স্বপক্ষে রাষ্ট্রপতিকে লেখা এই চিঠিতে আমেরিকান নোবেলজয়ী ছাড়াও স্বাক্ষর করেছেন ইংল্যান্ডের অলিস্টার বিশ্ববিদ্যালয়, আমেরিকার ম্যাসাচুসেটস বিশ্ববিদ্যালয়, এলবামা বিশ্ববিদ্যালয়, জওহরলাল নেহরু বিশ্ববিদ্যালয়-সহ একাধিক নামী শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের অধ্যাপকেরা। এ ছাড়া, রাজ্যসভার সাংসদ জহর সরকার, রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের পরিবারের সদস্য সুপ্রিয় ঠাকুর-সহ স্থানীয় কিছু মানুষ ও বিশ্বভারতীর পড়ুয়া এবং প্রাক্তনীরাও এই চিঠিতে স্বাক্ষর করেছেন। সিউড়ি আদালতে অমর্ত্যের জমি সংক্রান্ত মামলার শুনানি রয়েছে আগামী ১৩ জুন। তার আগে রাষ্ট্রপতির কাছে চিঠি লিখে উপাচার্যের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণের আর্জি জানানো হল।