Cyclone Mantha Bengal Impact: মন্থার প্রভাবে বাংলায় কতদিন চলবে ঝড় ও বৃষ্টি? জেনে নিন ২৩ জেলার আপডেট

বুধবার সকাল থেকে দক্ষিণবঙ্গের আকাশ মেঘলা, সঙ্গে দফায় দফায় হালকা থেকে মাঝারি বৃষ্টি চলছে। বিশেষত দক্ষিণ ২৪ পরগনা, কাকদ্বীপ ও সুন্দরবন এলাকায় মন্থার প্রভাব সবচেয়ে বেশি পড়েছে। সকাল থেকেই বইছে দমকা হাওয়া, উপকূলবর্তী অঞ্চলে সমুদ্র উত্তাল। মন্থার প্রভাবে বৃষ্টি কতদিন চলবে বাংলায়? চলুন জেনে নেওয়া যাক রাজ্যের ২৩ জেলার আপডেট।

Advertisement
মন্থার প্রভাবে বাংলায় কতদিন চলবে ঝড় ও বৃষ্টি? জেনে নিন ২৩ জেলার আপডেট উত্তর ও দক্ষিণবঙ্গে টানা বৃষ্টির পূর্বাভাস

অন্ধ্র উপকূলে আছড়ে পড়ে শক্তি হারিয়েছে ঘূর্ণিঝড় মন্থা। মঙ্গলবার মাঝরাতে অন্ধ্রপ্রদেশ উপকূলে আছড়ে পড়ে ঘূর্ণিঝড় মন্থা। ঘূর্ণিঝড়ের প্রথম ভাগ রাত দশটা নাগাদ অন্ধ্রপ্রদেশ উপকূলের স্থলভাগ ছুঁয়ে ফেলে। মূল ল্যান্ডফল প্রক্রিয়া সাড়ে এগারোটা থেকে সাড়ে বারোটার মধ্যে সম্পূর্ণ হয়। 'সুপার সাইক্লোন' বা প্রবল ঘূর্ণিঝড় হিসাবে দক্ষিণ কাকিনাড়ার কাছে নার্সাপুরে ল্যান্ডফল হয় মন্থার। ল্যান্ডফলের সময় ঘূর্ণিঝড়ের গতিবেগ ছিল সর্বোচ্চ ১১০ কিলোমিটার। । তবে যত সময় এগোচ্ছে, ততই মোন্থার তীব্রতা কমছে। পরবর্তী ৩ ঘন্টার মধ্যে আরও দুর্বল হয়ে গভীর নিম্নচাপে পরিণত হতে পারে বলে জানা যাচ্ছে। আর ৬ ঘন্টার মধ্যে নিম্নচাপে পরিণত হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। ঝড় না হলেও মন্থার প্রভাব পড়েছে পশ্চিমবঙ্গেও। সকাল থেকে বৃষ্টি হচ্ছে কলকাতায়। এ দিন, দক্ষিণবঙ্গের সব জেলায় বজ্রবিদ্যুৎ-সহ বৃষ্টি এবং দমকা ঝোড়ো হাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। 

বাংলায় মন্থার প্রভাব
বুধবার সকাল থেকে দক্ষিণবঙ্গের আকাশ মেঘলা, সঙ্গে দফায় দফায় হালকা থেকে মাঝারি বৃষ্টি চলছে। বিশেষত দক্ষিণ ২৪ পরগনা, কাকদ্বীপ ও সুন্দরবন এলাকায় মন্থার প্রভাব সবচেয়ে বেশি পড়েছে। সকাল থেকেই বইছে দমকা হাওয়া, উপকূলবর্তী অঞ্চলে সমুদ্র উত্তাল। মন্থার প্রভাবে বৃষ্টি কতদিন চলবে বাংলায়? চলুন জেনে নেওয়া যাক রাজ্যের ২৩ জেলার আপডেট।

দক্ষিণবঙ্গের কোথায় কোথায় বৃষ্টি
ঘূর্ণিঝড় মন্থার পরোক্ষ প্রভাবে বুধবার দক্ষিণবঙ্গে মেঘলা আকাশ, বৃষ্টি চলছে। ঘূর্ণিঝড়ের অবশিষ্ট অংশ নিম্নচাপ হিসেবে প্রভাব ফেলবে বাংলায়।  উপকূলের জেলাগুলিতে বৃষ্টি চলবে বৃহস্পতিবার পর্যন্ত। আজ ও কাল  দক্ষিণের সব জেলায় বজ্রবিদ্যুৎ সহ বৃষ্টির পূর্বাভাস রয়েছে। আলিপুর আবহাওয়া দফতরের খবর হল, আজ  বাঁকুড়া, পূর্ব বর্ধমান, পূর্ব মেদিনীপুর, হুগলি, হাওড়া, ঝাড়গ্রাম, দক্ষিণ ২৪ পরগনা, ও পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার কিছু অংশে মাঝারি বৃষ্টি হতে পারে। এইসময় বাতাসের গতি হতে পারে ৩০-৪০ কিলোমিটার প্রতি ঘণ্টায়। আগামী ৩০ তারিখ পুরুলিয়া এবং দুই বর্ধমানে ভারী বৃষ্টি হতে পারে। ৩১ তারিখ বীরভূম, মুর্শিদাবাদ জেলায় ভারী বৃষ্টি হবে। ১ তারিখ থেকে ধাপে ধাপে বৃষ্টি কমবে দক্ষিণবঙ্গে।  

Advertisement

উত্তরবঙ্গেও ভারী বৃষ্টি
আবহাওয়া অফিস বলছে, উত্তরবঙ্গের একাধিক জেলায় অতি ভারী বৃষ্টির হবে। কারণ, দক্ষিণ ভারতে  ল্যান্ডফল হলেও ধীরে ধীরে ঘূর্ণিঝড়ের অবশিষ্ট অংশ ছত্তিসগঢ় হয়ে বিপরীত দিকে এসে বিহার হয়ে ঘূর্ণিঝড়ের অবশিষ্ট অংশ উত্তরবঙ্গের দিকে যাবে। তার প্রভাব পড়বে এ রাজ্যে। উত্তরবঙ্গে এদিন  জলপাইগুড়ি, মালদা জেলায় বিক্ষিপ্ত বৃষ্টি চলবে। উত্তরে সব জেলায় ৩০ তারিখ ভারী বৃষ্টি হবে। সেই বৃষ্টি অনেকাংশে বাড়বে ৩১ তারিখ। তবে, আগামী ২ নভেম্বর থেকে উত্তরের আবহাওয়ার উন্নতি হবে।

কলকাতার পরিস্থিতি
এই মান্থার প্রভাব অল্প হলেও পড়েছে কলকাতায়।  সকাল থেকে বৃষ্টি হচ্ছে কলকাতায়।  আগামী ৩১ তারিখ পর্যন্ত প্রতিদিন বৃষ্টি চলবে। এর মধ্যে আজ ও  বৃহস্পতিবার বেশি বৃষ্টি হবে। আর শুক্রবারের পর বৃষ্টি কমবে। কলকাতায় খুব বেশি বা ভারী বৃষ্টির সতর্কতা থাকছে না।

POST A COMMENT
Advertisement