নন্দীগ্রামে বিস্ফোরণ, পাটের সুতো টানতেই ধামাকা, আহত মহিলা

নন্দীগ্রামে বোমা বিস্ফোরণে আহত হলেন এক মহিলা। তিনি স্থানীয় তৃণমূল কর্মী বলে জানা গিয়েছে। জখম অবস্থায় তাঁকে এক মহিলা তমলুক মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। নন্দীগ্রামের এক নম্বর ব্লকের কালীচরণপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের সাত নম্বর জলপাই গ্রামে একটি পরিত্যক্ত জমিতে বিস্ফোরণ ঘটে। এতে গুরুতর আহত হন স্থানীয় বাসিন্দা নিহারি দাস অধিকারী (৬৬)।

স্থানীয় সূত্র ও পুলিশ জানিয়েছে, বৃহস্পতিবার সকাল প্রায় সাড়ে দশটা নাগাদ নিহারিদেবী বাড়ির পেছনে পাটের সুতোর বল জাতীয় কিছু দেখে তা হাতে তোলার চেষ্টা করেন। সেই সময়েই ঘটে বিস্ফোরণ এবং তিনি গুরুতর জখম হন। স্থানীয় বাসিন্দারা দ্রুত তাঁকে উদ্ধার করে প্রথমে নন্দীগ্রাম হাসপাতালে নিয়ে যান। পরে শারীরিক অবস্থার অবনতি হলে তমলুক মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়। এই ঘটনার পর এলাকায় চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে। পুলিশ ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে এবং বিস্ফোরকের উৎস ও প্রকৃতি জানার চেষ্টা চলছে। কীভাবে বাড়ি সংলগ্ন এলাকায় এল বোমা? নেপথ্যে কে বা কারা? জানতে তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ।

এই ঘটনা নিয়ে ইতিমধ্য়েই রাজনীতির তরজা শুরু হয়ে গিয়েছে। বিজেপির দাবি, সমবায় নির্বাচনের জন্য তৃণমূল বোমা মজুত করেছিল। তমলুক সাংগঠনিক জেলা বিজেপির সাধারণ সম্পাদক প্রলয় পাল বলেন, 'বিধানসভা ভোট আসছে। তাই তৃণমূল যা করে, তাই করছে। নন্দীগ্রাম বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীর জায়গা, তাই কী করে বিজেপিকে ফাঁসানো যায়, তার চেষ্টা চালাচ্ছে তৃণমূল। ওরা বোমা আর বন্দুকের রাজনীতিতেই অভ্যস্ত।' যদিও অভিযোগ অস্বীকার করেছে স্থানীয় তৃণমূল নেতৃত্ব। এই ঘটনার সঙ্গে তাদের কোনও যোগ নেই বলে জানিয়েছে তারা। তাদের পাল্টা, ক্রমশ নন্দীগ্রাম থেকে মুছে যাচ্ছে বিজেপি। তাই অশান্ত করছে এলাকা।