স্ত্রীর বিবাহ বর্হিভুত সম্পর্কের প্রতিবাদ করেছিলেন স্বামী। বউমাকে এই সম্পর্ক থেকে বেরিয়ে আসতে বলেছিলেন শ্বশুরও। কিন্তু বউমা কিছুতেই স্বামীর সঙ্গে ঘর করবে না বলে জানিয়ে দেয়। যার ফলে বিয়ের এক বছরের মাথায় বিবাহ বিচ্ছেদ হয়ে যায়। ডিভোর্সের বদলা নিতে জামাই ও তাঁর বাবাকে হাঁসুয়া দিয়ে এলোপাথাড়ি আঘাতের অভিযোগ উঠেছে বউমার বাড়ির লেকেদের বিরুদ্ধে। এই হামলায় ঘটনাস্থলে মৃত্যু ছেলের বাবার। চাঞ্চল্যকর ঘটনাটি ঘটেছে মালদার কালিয়াচক থানার হারুগ্রাম বারোবিঘা এলাকায়।
এই ঘটনায় মেয়েটির বাবা রাসিউল শেখ ও তার এক আত্মীয় হাসনাত শেখ সহ দলবলের বিরুদ্ধে লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছে মৃতের পরিবার। পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে,মৃতের নাম তাজমুল শেখ, বয়স ৫০ বছর। আহতের নাম ফায়িম শেখ, বয়স ২০ বছর। তাঁদের বাড়ি বামনগ্রাম মোসিমপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের চামাপাড়া এলাকায়। সন্ধ্যায় জমিতে কাজ করে বাড়ি ফিরছিলেন বাবা ও ছেলে। সেই সময় হারুগ্রাম বারোবিঘা মাঠের কাছে একদল সশস্ত্র দুষ্কৃতী তাঁদের ঘিরে ধরে। এরপরই হাঁসুয়া দিয়ে এলোপাথারি কোপাতে থাকে। আশপাশের লোকজন তাঁদের বাঁচাতে এলে দুষ্কৃতীরা এলাকা থেকে পালিয়ে যায় বলে অভিযোগ। রক্তাক্ত অবস্থায় ওই দুজনকে মালদা মেডিক্যাল কলেজে নিয়ে আসলে তাজমুল শেখের মৃত্যু হয়।
মৃতের স্ত্রী মিনি বিবি বলেন,আমার ছেলে ফায়িমের এক বছর আগে বিয়ে হয়েছিল গ্রামেরই রাসিউল শেখের মেয়ের সঙ্গে। কিন্তু পুত্রবধূর বিবাহ বহির্ভূত সম্পর্ক ছিল। এটা আমরা হাতেনাতে ধরে ফেলেছিলাম। এরপরই ছেলের বিবাহ বিচ্ছেদ হয়ে যায়। গ্রামে সালিশি সভা হয়ে মেয়ের পরিবারের বিরুদ্ধে পৌনে দুলক্ষ টাকা জরিমানা করা হয়। যদিও সেই টাকা ওরা দেয়নি। এদিন বদলা নিতে রাসিউল শেখ তার এক আত্মীয় হাসনাত শেখ ও দলবল নিয়ে হামলা চালিয়ে স্বামী এবং ছেলেকে প্রাণে মারার চালিয়েছে। ঘটনাস্থলেই মৃত্যু হয়েছে স্বামীর। কালিয়াচক থানার পুলিশ জানিয়েছেন, ঘটনার পর থেকে অভিযুক্তরা পলাতক। তাদের খোঁজ চালানো হচ্ছে।
রিপোর্টারঃ মিলটন পাল