চলতি বছর জুলাইয়ে রেকর্ড বৃষ্টি হয়েছে বাংলায়। লাগাতার বৃষ্টি ও DVC-র ছাড়া জলে দক্ষিণবঙ্গের একাধিক এলাকা কার্যত ভাসছে। আর বর্ষা নামতেই একেবারে প্রত্যাশিতভাবে জলমগ্ন ঘাটাল। পরিস্থিতি দেখতে মঙ্গলবার এলাকার সাংসদ তথা অভিনেতা দেবকে নিয়ে ঘাটাল পরিদর্শনে যান বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। আর সেখানে গিয়েই মুখ্যমন্ত্রী জানিয়ে দেন প্রত্যাশিত ঘাটাল মাস্টার প্ল্যানের কাজ বর্ষা মিটলেই শুরু হবে।
বাজেটে ঘাটাল মাস্টার প্ল্যানের জন্য ৫০০ কোটি টাকা বরাদ্দ করেছে রাজ্য সরকার। প্রকল্প বাস্তবায়নের প্রস্ততিও শুরু হয়ে গিয়েছে। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এদিন বলেন, ঘাটাল মাস্টার প্ল্যান কেন্দ্র করেনি। বর্ষার পরে কাজ শুরু হবে। নিয়মিত তদারকি করতে মনিটরিং কমিটি গঠন করা হয়েছে। ওয়ার্ক অর্ডারও হয়ে গেছে। শীলাবতি নদীতে গার্ডওয়াল তৈরি হবে। বর্ষা শেষ হলেই সার্ভে। ৭ কোটি টাকার পাম্প বসবে।
প্রসঙ্গত, এর আগে এলাকার সাংসাদ দেব জানিয়েছিলেন, ঘাটাল মাস্টার প্ল্যানের অধিকাংশ কাজই প্রায় শেষ। মানুষের যাতে কোনওরকম সমস্যা না হয় সে কথা মাথায় রেখেই জমি অধিগ্রহণ করা হচ্ছে। মুখ্যমন্ত্রী বলেছিলেন ৩ বছরের মধ্যে কাজ শেষ হবে। মাস্টার প্ল্যানের কাজ শুরু হলেই তা তিন বছরের মধ্যে শেষ হয়ে যাবে।
এদিন খানাকুলের প্লাবন পরিস্থিতি দেখতেও পৌঁছে যান মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। কামারপুকুরের কাছে এক ত্রাণশিবিরে গিয়ে সেখানকার আশ্রয়ে থাকা মানুষজনকে নিজে হাতে খিচুড়ি পরিবেশন করেন তিনি। দুর্গতরা নিজেদের সমস্যার কথা তুলে ধরেন তাঁর কাছে। সবটাই মন দিয়ে শুনে দ্রুত সমাধানের আশ্বাস দেন। এরপর সেখান থেকে বেরিয়ে চলে যান রামকৃষ্ণদেবের জন্মস্থান কামারপুকুর রামকৃষ্ণ মঠ ও মিশনে। স্বামীজিদের উপস্থিতিতে সেখানে এক অতিথি নিবাস ও পার্কিং লট তৈরি হওয়ার জন্য ১০ কোটি টাকা অনুদান দেন মুখ্যমন্ত্রী।