scorecardresearch
 

Nadia Murder: বিয়ের জন্য চাপ দিচ্ছিল প্রেমিকা, নদিয়ায় মেরে মাটিতে পুঁতে দিল প্রেমিক

প্রেমিকাকে নৃশংস ভাবে খুন করে মাটি চাপা দিয়ে দেওয়ার অভিযোগ উঠল প্রেমিকের বিরুদ্ধে। এই ঘটনাকে ঘিরে এখন উত্তাল নদিয়ার ভীমপুর এলাকা। জানা যাচ্ছে, স্থানীয় এক যুবকের সঙ্গে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে উঠেছিল একটি মেয়ের। ঘনিষ্ঠতা বাড়ায় একসঙ্গে দু'জনে ঘুরতেও শুরু করেছিলেন প্রায় নিয়ম করেই। কিন্তু মেয়েটি বিয়ের জন্য চাপ দিতেই ঘটে বিপত্তি।

Advertisement
বিয়ের জন্য চাপ দিচ্ছিল প্রেমিকা, কাঁটা সরাতে মাটিতে পুঁতে দিল প্রেমিক বিয়ের জন্য চাপ দিচ্ছিল প্রেমিকা, কাঁটা সরাতে মাটিতে পুঁতে দিল প্রেমিক

প্রেমিকাকে নৃশংস ভাবে খুন করে মাটি চাপা দিয়ে দেওয়ার অভিযোগ উঠল প্রেমিকের বিরুদ্ধে। এই ঘটনাকে ঘিরে এখন উত্তাল নদিয়ার ভীমপুর এলাকা। জানা যাচ্ছে,  স্থানীয় এক যুবকের সঙ্গে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে উঠেছিল একটি মেয়ের।  ঘনিষ্ঠতা বাড়ায় একসঙ্গে দু'জনে ঘুরতেও শুরু করেছিলেন প্রায় নিয়ম করেই। কিন্তু মেয়েটি বিয়ের জন্য চাপ দিতেই ঘটে বিপত্তি। আর তখনই পথের কাঁটাকে সরিয়ে দিতে প্ল্যান করে ফেলে সে। এরপর প্রেমিকাকে শেষ করে মাটির নমচে পুঁতে দেয়। এদিকে মেয়ে বাড়ি না ফেরায় উদ্বিগ্ন হয়ে পড়েন বাড়ির লোক। সমস্ত আত্মীয় পরিজনদের বাড়িতে শুরু হয় খোঁজ। কিন্তু কোথাও দেখা নেই ঘরের মেয়ের। সেই সময় মেয়েটির দাদু প্রতিবেশীদের থেকে জানতে পারেন এলাকার যুবকের সঙ্গে তাঁর নাতনির প্রেমের সম্পর্ক তৈরি হয়েছে। এরপরই সোজা থানায় গিয়ে নাতনির জন্য নিখোঁজ ডায়েরি করেন দাদু। একইসঙ্গে ফারুক মণ্ডল নামে ওই যুবকের সঙ্গে নাতনির প্রেমের সম্পর্কের বিষয়টিও পুলিশকে জানান তিনি। 

অভিযোগ পেয়েই তৎপর হয়ে ওঠে পুলিশ। গ্রেফতার  করা হয় অভিযুক্ত ফারুক মণ্ডলকে। এরপরই পুলিশি জেরায় ওই যুবক স্বীকার করে যে বিয়ের জন্য প্রায়ই চাপ দিচ্ছিল প্রেমিকা। আর তাই তাকে শেষ করে পুঁতে দিয়েছে মাটিতে। যে জায়গায় ওই মেয়েটির দেহ পুঁতে দেওয়া হয়েছে সেখানে কঠোর পুলিশি নিরাপত্তার ব্যবস্থা করা হয়। ম্যাজিস্ট্রেটের উপস্থিতিতে দেহ তোলার কাজ হবে বলে জানা গিয়েছে। চাঞ্চল্যকর এই ঘটনা নদিয়ার ভীমপুরের আদাপোতা গ্রামের। পুলিশ সূত্রে খবর ফারুক মণ্ডল নামে এক যুবকের সঙ্গে তিন বছর ধরে সম্পর্ক গড়ে ওঠে মেয়েটির। শনিবার রাতে ভীমপুর থানার নারায়ণপুরের বাসিন্দা নূর হোসেন ভীমপুর থানায় এসে একটি অভিযোগ দায়ের করেন। তার নাতনি গত ২১ নভেম্বর থেকে নিখোঁজ। প্রথমে আত্মীয়-স্বজনের  বাড়ি-সহ এলাকার বিভিন্ন প্রান্তে  খোঁজ করা হয়। তবে নাতনির  কোনও খবর না পেয়ে জানতে পারেন, নারায়ণপুরের বাসিন্দা ফারুক মণ্ডলের সঙ্গে প্রেমঘটিত  সম্পর্ক ছিল নাতনির এবং  ঘনিষ্ঠভাবে ঘোরাঘুরি করতেও দেখা যার তাদের ।  নাতনিকে দু'দিন আগেও ওই ফারুক মণ্ডলের সঙ্গে দেখা যায়।

Advertisement

 এমন অভিযোগ পাওয়ার পর ভীমপুর থানার পুলিশ নড়েচড়ে বসে এবং ফারুক মণ্ডলকে গ্রেফতার করে জিজ্ঞাসাবাদ শুরু করে এবং কৃষ্ণনগর জেলা আদালতে তোলা হবে। জিজ্ঞাসাবাদে ফারুক মণ্ডল জানায় তাকে বিয়ের জন্য চাপ দিচ্ছিল মেয়েটি। সেই কারণে আর বাঁচিয়ে রাখেননি প্রেমিকাকে। শ্বাসরুদ্ধ করে মেরে নারায়ণপুর গ্রামে মাটিচাপা দিয়ে দেন। পুলিশ নারায়ণপুর গ্রামে ওই স্থানে কঠোর পাহারার ব্যবস্থা করে। ম্যাজিস্ট্রেটের উপস্থিতিতে মৃতদেহ মাটি থেকে তোলার ব্যবস্থা করে পুলিশ।

আরও পড়ুন

সংবাদদাতাঃ নীলয় ভট্টাচার্য

Advertisement