আরজি কর কাণ্ডের প্রতিবাদে বেশ কিছু দুর্গাপুজো কমিটি রাজ্য সরকারের দেওয়া অনুদান ৮৫ হাজার টাকা ফিরিয়ে দিয়েছে। এহেন পরিস্থিতিতে পুজোর অনুদান নিয়ে তৃণমূল কংগ্রেস বিধায়কের নিদান ঘিরে বিতর্ক। পূর্ব বর্ধমানের ভাতারের বিধায়ক মানগোবিন্দ অধিকারীর দাবি, দুর্গাপুজোর অনুদান নিলে প্যান্ডেলে টাঙাতেই হবে তৃণমূলনেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ছবি। কেউ যদি তা না করেন, তা হলে দুর্গাপুজোর সরকারি অনুদান নেবেন না।
একাধিক ক্লাব পুজোর অনুদান প্রত্যাখ্যান করেছে
দুর্গাপুজোয় ক্লাবগুলিকে অনুদান দেয় রাজ্য সরকার। এ বছর অনুদান বাড়িয়ে ৮৫ হাজার টাকা করে দিয়েছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এরপর আরজি কর হাসপাতালে তরুণী ডাক্তারকে ধর্ষণ ও খুনের ঘটনার প্রতিবাদে একাধিক ক্লাব পুজোর অনুদান প্রত্যাখ্যান করা শুরু করে। এই নিয়ে মুখ্যমন্ত্রী কিছুদিন আগে নবান্নে সাংবাদিকদের বলেন, 'অনেক ক্লাব অনুদান নেওয়ার জন্য় আবেদন করেছে। যারা টাকা নিতে চান না ভালো নেবেন না। আমরা সেই টাকা অন্যদের দিয়ে দেব।'
বিধায়কের নিদান ঘিরে বিতর্ক তুঙ্গে
প্রতিবাদের এই আবহে বিতর্ক বাড়াল ভাতারের তৃণমূল বিধায়কের নিদান। মানগোবিন্দ অধিকারীর কথায়, 'মুখ্যমন্ত্রী পুজোর জন্য যে টাকা দিচ্ছে তার জন্য তাঁর ছবি যেন প্রতিটি প্যান্ডেলে টাঙানো থাকে। এটা কিন্তু মাননীয়া মুখ্যমন্ত্রীর কাছ থেকে টাকাটা নিচ্ছেন আপনারা। এটা সরকারের টাকা। মুখ্যমন্ত্রী সরকারের লোক। কিন্তু অনেকে টাকাটা নিচ্ছেন,অথচ মুখ্যমন্ত্রীর ছবি টাঙাচ্ছেন না। এটা খুব বাজে জিনিস। না হলে আপনারা টাকাটা নেবেন না। আপনাদের যদি মুখ্যমন্ত্রীর ছবি টাঙাতে অসুবিধা হয় তাহলে আপনারা টাকা নেবেন না। ছবি টাঙাতে অসুবিধা হলে তাদের টাকাটা না নেওয়াটাই ভাল। এটা আমার অনুরোধ আপনাদের কাছে। অনেক ক্লাব তো টাকা নিচ্ছে না। আপনারাও নেবেন না।'
বিজেপি-র অভিযোগ, থ্রেট কালচার
তৃণমূল বিধায়ক এহেন নিদান দিচ্ছেন, তখন উপস্থিত ছিলেন ভাতারের বিডিও ও জেলাপুলিশের আধিকারিকরা। অবশ্য তাঁরা কেউই এই বিষয়ে মুখ খোলেননি। এই বিষয়ে বিজেপির জেলা যুব মোর্চার সাধারণ সম্পাদক দেবজ্যোতি সিংহ রায় বলেন, ' বিধায়ক হয়তো ভুলে গিয়েছেন এই অনুদান বিধায়ক কিংবা মুখ্যমন্ত্রীর পকেট থেকে দেওয়া হচ্ছে না । এটা সাধারণ মানুষের করের টাকা কেটে সাধারণ মানুষকেই দেওয়া হচ্ছে । উনি এমনিতেই আজেবাজে মন্তব্য করে থাকেন। রাজ্যজুড়ে আজ এই ধরনের প্রচ্ছন্ন হুমকি বা থ্রেট কালচার চলছে ।'