নদীয়ায় মহিলাদের হুমকিএলাকায় ঢুকে বন্দুক নিয়ে মস্তানি, মহিলাদের হেনস্তা এবং নোংরা কাজ করে দেওয়ার হুমকি। এলাকার তৃণমূল নেতাদের বিরুদ্ধে এই অভিযোগ উঠেছে। কিন্তু কেন? জানা গিয়েছে এলাকার একটি রাস্তার দখল ঘিরেই যাবতীয় গণ্ডগোলের সূত্রপাত। পরবর্তীকালে এলাকাবাসী প্রতিবাদ করলে তিন অভিযুক্তকে আটক করে নিয়ে যায় পুলিশ। যদিও পুলিশের এই হস্তক্ষেপে পুরোপুরি নিশ্চিন্ত হতে পারছেন না স্থানীয়রা। আতঙ্কে রয়েছেন এলাকার মহিলারা। চাঞ্চল্যকর এই ঘটনাটি ঘটেছে নদিয়ার শান্তিপুর থানার অন্তর্গত ফুলিয়া পাড়া এলাকার।
সূত্রের খবর, ফুলিয়া পাড়ার তৃণমূল নেতা তার দলবল নিয়ে এসে রাস্তা দখল করার চেষ্টা করছিল। ওই গলির রাস্তায় মোট পাঁচ থেকে সাতটি পরিবারের বসবাস। এবং সেই রাস্তাটি তাদের ব্যক্তিগত। ওই রাস্তা পেরিয়ে অভিযুক্তরা একটি জমি কিনেছিলেন। আর সেই জমিতে যেতে গেলে এই রাস্তার উপর দিয়ে যেতে হবে। অভিযোগ, এই পরিবারগুলোর সঙ্গে কথা না বলেই গায়ের জোর দেখিয়ে সেই রাস্তার পাঁচিল ভেঙে রাস্তা নিজেদের দখলে নেওয়ার চেষ্টা করে। আর তখনই বাধা দিতে গেলে মহিলাদের ধাক্কাধাক্কি করা হয় এবং হঠাৎ একটি আগ্নেয়াস্ত্র বের করে ভয় দেখানো হয়। তাদের প্রাণে মারার হুমকিও দেওয়া হয়। এখানে থেমে না থেকে বারাবারি করলে নোংরা কাজ করা হবে মহিলাদের সঙ্গে বলেও দেওয়া হয় থ্রেট।
পরবর্তীকালে তারা বিক্ষোভ দেখালে শান্তিপুর থানার পুলিশ গিয়ে ঘটনাস্থল থেকে তিন অভিযুক্তকে আটক করে নিয়ে যায়। তাদের জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে শান্তিপুর থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করবেন বলে জানিয়েছে এলাকার সকলে।
অন্যদিকে এই ঘটনায় রীতিমতো আতঙ্কে রয়েছে গোটা পরিবার। এ বিষয়ে বিজেপি নেতা তথা শান্তিপুর পঞ্চায়েত সমিতির সহকারী সভাপতি চঞ্চল চক্রবর্তী বলেন, এটি কোনও বিচ্ছিন্ন ঘটনা নয়। সারা রাজ্যজুড়ে তৃণমূলের নেতৃত্বে জমি চুরি,জমি লুঠ, জমি মাফিয়ারা দাপিয়ে বেড়াচ্ছে। শান্তিপুরের তৃণমূল বিধায়কের নেতৃত্বে ও মদতেই এই ধরনের ঘটনা ঘটেছে। পুলিশকে সক্রিয় হয়ে প্রয়োজনীয় প্রশাসানিক ব্যবস্থা গ্রহণের আবেদন জানিয়েছেন তিনি।
(রিপোর্টারঃ সুরজিৎ দাস)