Krishnagar Girl Death Case: 'তরুণীকে গণধর্ষণ করে খুন', কৃষ্ণনগর-কাণ্ডে অভিযুক্ত হবু বর ও তার দলবল

বুধবার সকাল ৭টা নাগাদ কৃষ্ণনগর জেলা পুলিশ সুপারের অফিসের কাছে ওই তরুণীর অর্ধনগ্ন দেহ দেখতে পান প্রাতর্ভ্রমণকারীরা। জেলা পুলিশ সুপারের অফিসের ঠিক পিছনে আশ্রমপাড়া বারোয়ারির উল্টোদিকে পড়েছিল।

Advertisement
'তরুণীকে গণধর্ষণ করে খুন', কৃষ্ণনগর-কাণ্ডে অভিযুক্ত হবু বর ও তার দলবলকৃষ্ণনগরে মহিলার দেহ উদ্ধার
হাইলাইটস
  • বুধবার সকালে কৃষ্ণনগর জেলা পুলিশ সুপারের অফিসের ৫০০ মিটার দূরেই উদ্ধার হয় অর্ধনগ্ন তরুণীর দেহ।
  • প্রেমিক ও তার বন্ধুরা গণধর্ষণ করে খুন করেছে বলে অভিযোগ।

কৃষ্ণনগরে উদ্ধার হওয়া অর্ধনগ্ন তরুণীর দেহ শনাক্ত করল পুলিশ। পরিবারের সদস্যরা দেহ শনাক্ত করেছেন বলে খবর। তাঁদের অভিযোগ,তরুণীর প্রেমিক ও তার দলবল গণধর্ষণ করে খুন করেছে মেয়েকে। এই অভিযোগের ভিত্তিতে অভিযুক্ত প্রেমিককে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। চলছে জিজ্ঞাসাবাদ। এদিকে, কোতোয়ালি থানায় বিক্ষোভ সিপিএম-কংগ্রেসের।

পরিবার জানিয়েছে, প্রেমিকের বিয়েও হওয়ার কথা চলছিল তরুণীর। তাঁর সঙ্গেই পিৎজা খেতে বেরিয়েছিলেন। মেয়ে বেরোনোর পর রাতে না ফেরায় অভিযুক্তকে ফোন করেন। প্রথমে ফোন ধরেননি। পরে ফোন তুলে মৃতার মা-কে গালিগালাজ করেন ওই যুবক। পরিবারের দাবি, প্রেমিক ও তাঁর বন্ধুরা মিলে গণধর্ষণ করে খুন করেছে। থানায় এই মর্মে অভিযোগ দায়ের করেছেন মৃতের পরিবার। ম্যাজিস্ট্রেটের উপস্থিতিতে ভিডিয়োগ্রাফি ও এইমস-এর বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক দিয়ে ময়নাতদন্তের দাবি করেছে পরিবার।

বুধবার সকালে কৃষ্ণনগর জেলা পুলিশ সুপারের অফিসের ৫০০ মিটার দূরেই উদ্ধার হয় অর্ধনগ্ন তরুণীর দেহ। রাস্তায় দেহ পড়ে থাকতে দেখে পুলিশে খবর দেন স্থানীয়রা। ঘটনাস্থলে পৌঁছ দেহ ময়নাতদন্তে পাঠায় কোতোয়ালি থানার পুলিশ। তরুণীর মুখ পুড়ে যাওয়ায় শনাক্তকরণ করতে সমস্যায় পড়ে পুলিশ। পরে তরুণীর দিদিমা, মাসি এবং দাদু থানায় গিয়ে দেহটি শনাক্ত করেন। পরিবারের দাবি, মেয়ের প্রেমিক ও তার বন্ধুরা ধর্ষণ করে খুন করেছে। 

মৃতা দ্বাদশ শ্রেণির পড়ুয়া। মঙ্গলবার সন্ধ্যা ৭টার দিকে বাড়ি থেকে বেরিয়ে গিয়েছিল। মৃতার মা জানান,'সাড়ে সাতটা নাগাদ ছেলেটার সঙ্গে পিৎজা খেতে বেরিয়েছিল। বাড়িতে আমায় জানিয়ে বেরিয়েছিল। তারপর আর ফোন করেনি। আমি ছেলেটাকে ফোন করে জিজ্ঞাসা করি। একবার বলছে ও নাকি ঘুমোচ্ছে। একবার আমায় গালিগালাজ করেছে। সারারাত গোটা পরিবার মিলে ওকে খোঁজাখুঁজি করি। কিন্তু মেয়েকে কোথাও পাইনি। আমি জোর করে ছেলেটাকে থানায় নিয়ে এসেছি'। প্রথমে সম্পর্ক নিয়ে আপত্তি থাকলেও পরে তা মিটিয়ে নিয়েছিলেন বলেও জানান মৃতার মা। তাঁর দাবি, দুজনের রেজিস্ট্রি হওয়ার কথা ছিল। পুজোর সময়ও বেরিয়েছিল ওই ছেলেটির সঙ্গে। 

Advertisement

POST A COMMENT
Advertisement