মুর্শিদাবাদের ডোমকলের একটি স্কুলে বজ্রপাতে আহত ২০ জনেরও বেশি ছাত্র-ছাত্রী। তড়িঘড়ি তাদের হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া। ঘটনায় চাঞ্চল্য ছড়ায় এলাকায়। ছাত্রছাত্রীদের মা-বাবারা আতঙ্কিত হয়ে পড়েন।
ঘটনাস্থল মুর্শিদাবাদের ডোমকলের ভগীরথপুর উচ্চ বিদ্যালয়। প্রতিদিনের মতো বৃহস্পতিবারও ছাত্র-ছাত্রীরা স্কুলে এসেছিলেন। স্কুল চলছিল। তখনই বাজ পড়ে। তার জেরে আহত হয় ২০ জনেরও বেশি স্কুলপড়ুয়া। তাদের ডোমকল সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়।
স্থানীয় বাসিন্দা জানান, দুপুরের দিকে বজ্রবিদ্যুৎ সহ বৃষ্টিপাত হচ্ছিল। সঙ্গে বাজও পড়ছিল। বৃষ্টির সময় বজ্রপাত হয় স্কুলেরই একটি গাছে। তারপরই অসুস্থ হয়ে পড়ে অনেকে। যদিও এই নিয়ে স্কুলের তরফে কোনও প্রতিক্রিয়া আসেনি।
ঘটনার একাধিক ভিডিও সামনে এসেছে। দেখা যাচ্ছে, একাধিক স্কুল পড়ুয়াকে কোলে তুলে ছুটে যাচ্ছেন মা-বাবারা। তাঁদের চোখে মুখে চিন্তার ছাপ। পরে আর একটি হাসপাতালের ভিডিও সামনে আসে। সেখানেও দেখা যায়, পড়ুয়ারা হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।
এদিকে এই ঘটনার পর স্কুলে ভিড় জমান এলাকার বাসিন্দারা। তাঁরাও পড়ুয়া.দের হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার জন্য সাহায্য করেন। তড়িঘড়ি সব ব্যবস্থা করে দেন। হাসপাতালের বাইরেও এখন ভিড়। সেখানেও উদ্বেগে সময় কাটছে আহতদের পরিবারের সদস্যদের।
প্রসঙ্গত, ভগবানগোলায় এই ঘটনার ঠিক ১২ ঘণ্টা আগে দফায় দফায় বাজ পড়ে উত্তরপ্রদেশে। সেখানে কমপক্ষে ৩৮ জন মারা যান। বুধবার রাতের এই ঘটনায় শোকের ছায়া সেই রাজ্যে। শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত উত্তরপ্রদেশের প্রতাপগড়ে ১১ জনের মৃত্যু হয়েছে। সুলতানপুরে ৭ জন, মইনপুরীতে ৫ জন, প্রয়াগরাজে ৪ জন, অউরিয়া, দেওরিয়া, হাথরস, বারাণসী, সিদ্ধার্থনগরে ১ জনের করে মৃত্যু হয়েছে। বহু মানুষ জখম হয়েছেন। তাঁদের চিকিৎসা করানো হচ্ছে। বুধবার বিকেল ৪টে থেকে সন্ধ্যা ৬টার মধ্যে প্রবল বৃষ্টি হয়। ওই সময়ই বাজ পড়ার ঘটনা ঘটে। আগামী ৫ দিনে উত্তরপ্রদেশে আরও বৃষ্টির পূর্বাভাস জারি করেছে হাওয়া অফিস।
এদিকে রাজ্যের পূর্বাভাসও জারি হয়েছে। সেখানো জানানো হয়েছে, উত্তরবঙ্গে বৃষ্টিপাত কিছুটা কমার সম্ভাবনা রয়েছে। তবে দক্ষিণবঙ্গে আবহাওয়ার বিশেষ কিছু পরিবর্তন নেই। আগামী ৭ দিনে দক্ষিণবঙ্গের কোথাও ভারী বৃষ্টিপাতের কোনও সম্ভাবনা নেই, বিক্ষিপ্তভাবে হালকা থেকে মাঝারি বৃষ্টি চলবে। বৃহস্পতিবার কেবলমাত্র আলিপুরদুয়ার এবং কোচবিহারে ভারী থেকে অতিভারী বৃষ্টির কমলা সতর্কতা এবং দার্জিলিং, জলপাইগুড়ি ও কালিম্পংয়ে কেবল ভারী বৃষ্টির সতর্কতা থাকছে। অন্যদিকে দক্ষিণবঙ্গের ক্ষেত্রে ভারী বৃষ্টি না হলেও পশ্চিম বর্ধমান, বীরভূম, মুর্শিদাবাদ, নদিয়া, দুই ২৪ পরগনা, কলকাতা ও হাওড়াতে বজ্র বিদ্যুতের সতর্কতা থাকছে।