অশান্ত মালদার মোথাবাড়ি। বৃহস্পতিবার বিকেল থেকে মালদার মোথাবাড়িতে তাণ্ডব চালায় দুষ্কৃতীরা। একের পর এক দোকানে ভাঙচুর করা হয়। ভাঙচুর করা হয় বেশ কয়েকটি গাড়িও। অভিযোগ , মসজিদের সামনে বাজি ফাটানোর বিরুদ্ধে বিক্ষোভ চলছিল। তারপরই কয়েকশো লোক রাস্তায় নেমে তাণ্ডব শুরু করেছে। পুলিশের বিরাট বাহিনী গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করে।
বুধবার রাতে মোথাবাড়িতে মসজিদের সামনে আতশবাজি ফাটানো হয় বলে অভিযোগ। তার বিরুদ্ধে প্রতিবাদের ডাক দেওয়া হয়েছিল। এই বিক্ষোভ চলাকালীন জনতা হিংস্র হয়ে ওঠে। দোকানপাট ও গাড়িতে ভাঙচুর করা হয়। বিপুল সংখ্যক পুলিশ গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। পুলিশ জানিয়েছে,পরিস্থিতি এখন নিয়ন্ত্রণে। দোষীদের গ্রেফতার করার প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে।
মোথাবাড়ির তাণ্ডবের একাধিক ভিডিও ভাইরাল হয়েছে নেট মাধ্যমে। দেখা যাচ্ছে, লাঠি নিয়ে একদল উন্মত্ত জনতা রাস্তায় নেমে তাণ্ডব চালাচ্ছে। প্রশ্নের মুখে প্রশাসনের ভূমিকা। আগে থেকে কেন স্থানীয় প্রশাসনের কাছে খবর ছিল না? গতরাতে একটা ঘটনার কথা জেনেও কেন পর্যাপ্ত নিরাপত্তা দেওয়া হয়নি?
রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী জানান, মোথাবাড়িতে বেছে বেছে হিন্দুদের দোকানপাট ভাঙচুর করা হয়েছে।
এক্সে শুভেন্দু লেখেন,'মোথাবাড়িতে হিন্দুদের মালিকানাধীন দোকানগুলিতে হামলা চালিয়েছে একদল দুর্বৃত্ত। দোকান মালিকদের কোনও প্রকার উস্কানি ছাড়াই ভাঙচুর করা হয়েছে। শুধুমাত্র হিন্দুদের মালিকানাধীন দোকানগুলিকেই বেছে বেছে টার্গেট করেছে'। যথাবিহিত পদক্ষেপের জন্য রাজ্য পুলিশের ডিজির কাছে সহযোগিতাও চেয়েছেন বিরোধী দলনেতা।
Attacks on Hindus in Malda
— Suvendu Adhikari (@SuvenduWB) March 27, 2025
A group of miscreants are targeting Shops owned by Hindus at Mothabari; Malda District.
The shops are being attacked and vandalised without any sort of provocation from the shop owners. Only those shops which are owned by the Hindus are being… pic.twitter.com/rXaD0mEeWt
রাজ্যের বিরোধী দলনেতা সুকান্ত মজুমদার লেখেন,'সংখ্যালঘু মুসলিমদের তোষণ করতে করতে রাজ্যের ব্যর্থ মুখ্যমন্ত্রী তাঁর গ্রেটার বাংলাদেশ তৈরীর গোপন অভিসন্ধি ক্রমশই সফল করে তুলছেন। এখনও পর্যন্ত কমপক্ষে হিন্দুদের ৬০-৭০ টি দোকান ভেঙ্গে লুঠ করা হয়েছে, হিন্দুদের ঘরবাড়ি আক্রমণ করা হয়েছে এবং মূল রাস্তায় দখল নিয়ে যথেচ্ছাচারে গাড়ি ভাঙচুর করা হচ্ছে'।