স্কুল শিক্ষকের উপর প্রাণঘাতী হামলা। হাত থেকে কব্জি আলাদা করে দিল দুষ্কৃতী। তাও প্রকাশ্যে। সোমবার সকালে চাঞ্চল্যকর ঘটনাটি ঘটেছে পূর্ব মেদিনীপুর জেলার ভগবানপুর এক ব্লকের সিমুলিয়া গ্রাম পঞ্চায়েতে। ঘটনার পর থেকে অভিযুক্তরা পলাতক। তাদের খোঁজ শুরু করেছে পুলিশ।
স্থানীয় বাসিন্দারা জানিয়েছেন, পেশায় স্কুল শিক্ষক গোকুলচন্দ্র মুড়া সকাল এগারোটা নাগাদ স্কুলে যাচ্ছিলেন। সেই সময় তাঁর রাস্তা আটকে দেয় নন্দ মুড়া নামে স্থানীয় একজন। সে ধারাল অস্ত্র দিয়ে এলোপাথাড়ি কোপ মারতে যায় ওই শিক্ষকের। সেই কোপ থেকে বাঁচতে নিজের হাত এগিয়ে দেন তিনি। ফলে কোপ পড়ে হাতে। কব্জি খুলে যায় মাটিতে। তারপরই ঘটনাস্থল থেকে পালিয়ে যায় অভিযুক্ত।
এদিকে স্থানীয়রা আক্রান্তকে নিয়ে যান ভগবানপুর হাসপাতালে। সেখানে তাঁর চিকিৎসা হয়। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে আসে পুলিশ। সেখান থেকে অভিযুক্তের ব্যবহৃত অস্ত্র এবং কাটা হাত উদ্ধার করে নিয়ে যায়। তবে অভিযুক্ত এখনও ধরা পড়েনি। সে পলাতক। তার খোঁজে তল্লাশি চলছে।
কেন ওই শিক্ষকের উপর হামলা? স্থানীয় বাসিন্দাদের দাবি, ঘটনার নেপথ্যে রয়েছে চার বছর আগের এক ঘটনা। ওই শিক্ষকের নাবালিকা মেয়ে নিখোঁজ ছিলেন। তখন নন্দ মুড়ার নামে থানায় অপহরণের অভিযোগ দায়ের করেছিলেন তিনি। তদন্তে ভগবানপুর থানার পুলিশ নাবালিকাকে অন্তঃসত্ত্বা অবস্থায় উদ্ধার করে। মেয়েকে পাওয়ার পর যদিও মামলা প্রত্যহার করে নেন শিক্ষক।
অভিযোগ, সেই ঘটনা তখনকার মতো মিটে গেলেও সেই শিক্ষকের প্রতি রাগ কমেনি নন্দ মুড়ার। সেজন্য সোমবার সকালে সে হামলা করে। অবস্থা গুরুতর হওয়ায় জখম ব্যক্তিকে কলকাতার এসএসকেএম হাসপাতালে নিয়ে আসা হয়।
এই ঘটনার পর এলাকায় উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে। পুলিশ সূত্রে খবর, এলাকায় উত্তেজনা ছড়ানোর আশঙ্কা করা হচ্ছে। সেজন্য পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। টহলদারি শুরু হয়েছে।