মরাপচা গন্ধ আসছিল! কাটোয়া হাসপাতালের ঘরে ঢুকতেই চক্ষু চড়কগাছ

কাটোয়া মহকুমা হাসপাতালের পুরুষ বিভাগের একটি ঘর থেকে উদ্ধার হল এক অজ্ঞাত পরিচয় ব্যক্তির মৃতদেহ। দীর্ঘদিন ধরে হাসপাতালের ওই বিভাগ থেকে দুর্গন্ধ ছড়াচ্ছিল। হাসপাতাল কর্তৃপক্ষকে এনিয়ে জানালেও কোনও ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি বলে অভিযোগ রোগী ও তাঁদের পরিবারের।

Advertisement
মরাপচা গন্ধ আসছিল! কাটোয়া হাসপাতালের ঘরে ঢুকতেই চক্ষু চড়কগাছমরাপচা গন্ধ আসছিল! কাটোয়া হাসপাতালের ঘরে ঢুকতেই চক্ষু চড়কগাছ
হাইলাইটস
  • দিনের পর দিন দুর্গন্ধের অভিযোগ জানানো সত্ত্বেও তা গুরুত্ব সহকারে দেখা হয়নি
  • মৃত যুবকের এখনও পরিচয় জানা যায়নি

কাটোয়া মহকুমা হাসপাতালের পুরুষ বিভাগের একটি ঘর থেকে  উদ্ধার হল এক অজ্ঞাত পরিচয় ব্যক্তির মৃতদেহ। দীর্ঘদিন ধরে হাসপাতালের ওই বিভাগ থেকে দুর্গন্ধ ছড়াচ্ছিল। হাসপাতাল কর্তৃপক্ষকে এনিয়ে জানালেও কোনও ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি বলে অভিযোগ রোগী ও তাঁদের পরিবারের। হাসপাতালের সাফাই কর্মীরা পুরুষ বিভাগের ওই ঘর পরিষ্কার করতে গিয়ে দেহটি দেখতে পান। তীব্র গন্ধ ছড়িয়ে পড়তেই খবর দেওয়া হয় কর্তৃপক্ষকে। পরবর্তীতে পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে দেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তে পাঠায়। মৃত যুবকের এখনও পরিচয় জানা যায়নি। খবর পেয়ে কাটোয়ার এসডিপিও কাশীনাথ মিস্ত্রি দুপুরে হাসপাতালে যান। তিনি জানান, ময়নাতদন্তের রিপোর্ট আসার পরই মৃত্যুর সঠিক সময় ও কারণ জানা যাবে।

এই ঘটনার পর হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে গাফিলতির অভিযোগ উঠেছে। রোগী ও তাঁদের পরিবারদের অভিযোগ, দিনের পর দিন দুর্গন্ধের অভিযোগ জানানো সত্ত্বেও তা গুরুত্ব সহকারে দেখা হয়নি। তাঁরা প্রশ্ন তুলেছেন, যদি মৃত ব্যক্তি হাসপাতালে ভর্তি কোনও রোগী হন তবে তাঁর খোঁজ নেওয়া হল না কেন? আর যদি নাও হন তবে কীভাবে তিনি একটি সরকারি হাসপাতালের ঘরে মৃত অবস্থায় দীর্ঘদিন ধরে পড়ে রইলেন।

এনিয়ে হাসপাতাল সুপার বিপ্লব মণ্ডল বলেন, 'বিষয়টি খতিয়ে দেখার জন্য একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। সিসিটিভি ফুটেজ এবং পুলিশের সহায়তা নিয়ে পুরো বিষয়টি তদন্ত করা হচ্ছে। এটি হাসপাতালের কোনো রোগীর মৃতদেহ, নাকি রোগীর পরিজনের, সেই দিকটিও খতিয়ে দেখা হচ্ছে।'

সংবাদদাতা- সুজাতা মেহেরা

POST A COMMENT
Advertisement