Murshidabad News: মিড ডে মিল থেকে বিজ্ঞান বিভাগ, ৭ শিক্ষকের চাকরি যেতেই বিপদে মুর্শিদাবাদের এই স্কুল

রাতারাতি চাকরি হারিয়েছেন প্রায় ২৬ হাজার শিক্ষক ও শিক্ষাকর্মী। এই তালিকায় রয়েছেন মুর্শিদাবাদের রঘুনাথগঞ্জ এক নম্বর ব্লকের খড়িবোনা উচ্চ বিদ্যালয়ের শিক্ষকরাও। সুপ্রিম কোর্টের রায়ের পরেই চাকরি গিয়েছে এই স্কুলের ২৫ জন শিক্ষকের মধ্যে ৭ জন শিক্ষকের। তার মধ্যে ৩ জন শিক্ষক নোডাল অফিসার হিসেবেই নিযুক্ত ছিলেন এই স্কুলে। কেউ দেখতেন মিড ডে মিল, কেউবা দেখতেন সবুজ সাথীর সাইকেল। কেউ দেখতেন স্বাস্থ্যের টিকাকরণ থেকে শুরু করে ওষুধ বিতরণ। এই মুহূর্তে ৩ জনই সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশে স্কুলের বাইরে। যার কারণে চরম সমস্যার সম্মুখীন হয়েছে স্কুল কর্তৃপক্ষ।

Advertisement
মিড ডে মিল থেকে বিজ্ঞান বিভাগ, ৭ শিক্ষকের চাকরি যেতেই বিপদে মুর্শিদাবাদের এই স্কুল চরম সমস্যার সম্মুখীন হয়েছে স্কুল কর্তৃপক্ষ

রাতারাতি চাকরি হারিয়েছেন প্রায় ২৬ হাজার শিক্ষক ও শিক্ষাকর্মী। এই তালিকায় রয়েছেন মুর্শিদাবাদের রঘুনাথগঞ্জ এক নম্বর ব্লকের খড়িবোনা উচ্চ বিদ্যালয়ের শিক্ষকরাও।  সুপ্রিম কোর্টের রায়ের পরেই চাকরি গিয়েছে এই স্কুলের ২৫ জন শিক্ষকের মধ্যে ৭ জন শিক্ষকের। তার মধ্যে ৩ জন শিক্ষক নোডাল অফিসার হিসেবেই নিযুক্ত ছিলেন এই স্কুলে। কেউ দেখতেন মিড ডে মিল, কেউবা দেখতেন সবুজ সাথীর সাইকেল। কেউ দেখতেন স্বাস্থ্যের টিকাকরণ থেকে শুরু করে ওষুধ বিতরণ। এই মুহূর্তে ৩ জনই সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশে স্কুলের বাইরে। যার কারণে চরম সমস্যার সম্মুখীন হয়েছে স্কুল কর্তৃপক্ষ।

স্কুলের প্রধান শিক্ষক হাসানুজ্জামান  জানিয়েছেন, স্কুলে ২৬৬৫ জন ছাত্র-ছাত্রী রয়েছে। তাদের পড়াশোনা থেকে শুরু করে সরকারি যে সকল সুযোগ সুবিধা সেগুলি তাদেরকে পৌঁছে দেওয়ার জন্য দরকার নোডাল অফিসার। বিভিন্ন দফতরের  দেখভালের জন্য চাকরি যাওয়া ৭ জনের মধ্যে ৩ জন নোডাল অফিসার হিসাবে নিযুক্ত ছিলেন।  এই মুহূর্তে তাঁরা স্কুল থেকে চলে গিয়েছেন। ফলে সেই কাজগুলি অন্য কোনও নতুন শিক্ষককে দিয়ে চালাতে অনেকটাই সমস্যার সম্মুখীন হতে হচ্ছে। পাশাপাশি, তিনি এই কথাও জানান, দীর্ঘদিন থেকে স্কুলে নেই গ্রুপ সি এবং গ্রুপ ডি কোনও কর্মচারী । তাঁদের কাজও তুলতে হয় শিক্ষকদের। ঘন্টা বাজানোর কাজও প্রধান শিক্ষক থেকে শুরু করে সমস্ত শিক্ষকেরাই করেন। পাশাপাশি তিনি আরও জানান উচ্চমাধ্যমিকে বিজ্ঞান বিভাগে পড়ানো হয় এই স্কুলে, সেটিও চরম সমস্যার মধ্যে পড়েছে। কারণ ৭ জনের মধ্যে ৪ জন শিক্ষক অঙ্ক সহ বিজ্ঞান বিভাগের। কী করে চালাবেন বিজ্ঞানবিভাগ,  সেটা নিয়েও প্রশ্ন উঠেছে ।

স্কুলের সহকারি শিক্ষক মিন্টু  সিংহ জানান,নোডাল অফিসার হিসেবে যে সকল শিক্ষকেরা যুক্ত ছিলেন তাদের মধ্যে ৩ জনই এই মুহূর্তে স্কুলে নেই। কাজেই অন্য কোন শিক্ষককে তার কাজ বুঝে উঠতেও একটু সময় লাগবে। ফলে অনেকটাই সমস্যা হবে স্কুলের পঠন-পাঠনে। কারণ এই নোডাল অফিসার হিসেবে যারা এতদিন ধরে কাজ করে এসেছেন তারা অনেকটাই পাকাপোক্ত হয়ে উঠেছিলেন। এই কাজের ফাঁকেও তারা পঠন-পাঠনটাও চালিয়ে যেতেন ।কিন্তু নতুন কাউকে সেই জায়গাটাই পৌঁছতে সময় তো লাগবেই। কাজেই নোডাল অফিসারদের কাজ ঠিকই উঠবে। কিন্তু আসল উদ্দেশ্য পঠন পাঠন সেটি শিকেই উঠবে । চিন্তিত স্কুল কর্তৃপক্ষ থেকে শুরু করে অভিভাবকরা।

Advertisement


সংবাদদাতা- সব্যসাচী বন্দ্যোপাধ্যায়

POST A COMMENT
Advertisement