বাড়ির ছাদ থেকে উদ্ধার উত্তর ব্যারাকপুর পুরসভার ভাইস চেয়ারম্যান সত্যজিৎ বন্দ্যোপাধ্যায়ের ঝুলন্ত দেহ। জানা গিয়েছে গত ২ দিন ধরে তিনি নিখোঁজ ছিলেন। শুক্রবার বাড়ি ফেরেন। এরপর আজ শনিবার সকালে বাড়ির চিলেকোঠা থেকে উদ্ধার হয় দেহ। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে যায় নোয়াপাড়া থানার পুলিশ। পুলিশ দেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তে পাঠাবে। মৃত্যুর কারণ জনতে তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ। আড়াই পাতার একটি চিঠি মিলেছে। সেটা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। খুন নাকি আত্মহত্যা তা নিয়ে শুরু হয়েছে জল্পনা।
দেহ উদ্ধারের খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে যান উত্তর ব্যারাকপুর পুরসভার চেয়ারম্যান মলয় ঘোষ। তিনি বলেন, 'ভাড়াবাড়ির ছাদ থেকে সত্যজিতের দেহ উদ্ধার হয়েছে। বৃহস্পতিবার একটা বৈঠকে তিনি যোগ দিয়েছিলেন। তখন তো কিছুই বুঝতে পারিনি। তার পর শুনলাম নিখোঁজ ছিল। আমার দীর্ঘ দিনের রাজনৈতিক সহকর্মী। ১৯৮৪ সাল থেকে কাউন্সিলর ছিলেন। খুবই দুঃখজনক ঘটনা।'
১৩ নভেম্বর ভাটপাড়া এলাকায় খুন হন তৃণমূল নেতা অশোক সাউ। তৃণমূলের ওই বুথ সভাপতিকে লক্ষ্য করে দুষ্কৃতীরা গুলি চালায় বলে অভিযোগ। বুধবার সকালে তিনি যখন বাজারে বের হন, তখন তাঁকে লক্ষ্য করে গুলি চালানো হয় বলে অভিযোগ। কয়েকজন দুষ্কৃতী পায়ে হেঁটে এসে তাঁকে ঘিরে ধরে গুলি চালায় বলে অভিযোগ। পরে তাঁকে লক্ষ্য করে সকেটও ছোঁড়া হয়। গুরুতর আহত অবস্থায় তাকে নিয়ে যাওয়া ভাটপাড়া স্টেট জেনারেল হাসপাতালে। পড়ে অবশ্য মৃত্যু হয় ওই তৃণমূল নেতার। গুলিতে নিহত ওই তৃণমূল নেতা দলের প্রাক্তন ওয়ার্ড সভাপতি অশোক সাউ। চায়ের দোকানে ছিলেন তিনি । সেই দোকানে ঢুকেই গুলি চালায় বেপরোয়া দুষ্কৃতীরা। এলোপাথাড়ি বোমাও ছোড়ে দুষ্কৃতীরা। দোকানের জিনিসপত্র ছিন্নভিন্ন হয়ে যায়। নিহত নেতার পরিবারের অভিযোগ, গুলি চালিয়েছে তৃণমূলই। তাই প্রাথমিক ভাবে এই ঘটনাকে তৃণমূলের অন্তর্দ্বন্দ্ব বলে মনে করা হচ্ছে। পরিবারের অভিযোগ, বেআইনি কাজে রাজি না হওয়াতেই খুন হতে হল অশোক সাউকে।
বুধবার রাতেই কাইজার আলি ওরফে মোহন নামে স্থানীয় এক দুষ্কৃতীকে গ্রেফতার করে পুলিশ। বৃহস্পতিবার তাঁকে আদালতে হাজির করানো হলে বিচারক ১০ দিনের পুলিশ হেফাজতের নির্দেশ দেন।