বন্ধুদের সঙ্গে ঝগড়া-অশান্তি। যুবক ঠিক করেছিল, বন্ধুদের শাস্তি দেবে। সেই উদ্দেশ্যে রীতিমতো বোমা বাঁধার প্ল্যান করে। কিন্তু বোমা বাঁধতে জানত না। তাই ইউটিউবে ভিডিও দেখে বোমা বাঁধত। সেই বোমা আবার পরীক্ষামূলক ভাবে বিস্ফোরণও ঘটায় সে। দক্ষিণ ২৪ পরগনার জয়নগরের বাসিন্দা ওই যুবককে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। ধৃতের নাম প্রবীর চট্টোপাধ্যায়। বয়স ১৮।
দরজা বন্ধ করে মোবাইলে বুঁদ হয়ে থাকত
পরিবার সূত্রে জানা গিয়েছে, বেশ কিছু সপ্তাহ ধরেই প্রবীর কারও সঙ্গে বিশেষ কথা বলত না। নিজের ঘরে দরজা বন্ধ করে মোবাইলে বুঁদ হয়ে থাকত। দিনরাত মোবাইল ঘাঁটত। পরিবারের লোকেরা বিরক্ত হলেও প্রবীরের কোনও ভ্রুক্ষেপ ছিল না। সে মোবাইলে কী একটা করত। মোবাইলে প্রবীর যে মারাত্মক অপরাধের ছক কষছে, ঘূণাক্ষরেও জানতে পারেনি তার পরিবারের লোকেরা। প্রবীরের দিদির কথায়, 'ভাই পুরীতে কাজ করে। একমাস হল, বাড়িতে এসেছিল।'
পরীক্ষামূলকভাবে জঙ্গলে বিস্ফোরণ ঘটায়
সম্প্রতি একদিন মাঝরাতে বিকট শব্দ হয়। বিস্ফোরণের শব্দ। আতঙ্কিত হয়ে পড়েন প্রবীরের পরিবার। ভয় পেয়ে যান স্থানীয়রাও। কীসের বিস্ফোরণ, খোঁজ করতেই, জানা যায় ফাঁকা জায়গায় জঙ্গলে বিস্ফোরণ ঘটেছে। বিস্ফোরণ ঘটিয়েছে পাড়ার ছেলে প্রবীর। জানা যায়, সুতলি বোমা এরপরেই প্রবীরকে গ্রেফতার করে পুলিশ। পুলিশি জেরায় প্রবীর জানায় গোটা ঘটনাটি।
ইউটিউবে বোমা বাঁধা শিখত
পুলিশকে সে জানায়, কয়েক সপ্তাহ আগে বন্ধুদের সঙ্গে তার ঝগড়া হয়েছিল। তারপরেই সে ঠিক করেছিল, বন্ধুদের কঠিন শাস্তি দেবে। সেই জন্য বোমা বাঁধতে শুরু করে। ইউটিউবে বোমা বাঁধা শিখতে শুরু করে সে। কীভাবে বোমা বাঁধতে হয়, কীভাবে বারুদ তৈরি করতে হয়, সেই প্রক্রিয়া মন দিয়ে শিখেছে সে। তারপর একটি বোমা বেঁধেও ফেলে। এবং তা স্থানীয় জঙ্গলে পরীক্ষা করে। পুলিশ জানিয়েছে, প্রবীরকে আরও জেরা করা হচ্ছে। জানার চেষ্টা করা হচ্ছে, বোমা বাঁধার মশলা ও সরঞ্জাম সে কোথা থেকে পেল।