পূর্বপল্লির মাঠে ফিরছে শান্তিনিকেতনের পৌষমেলা। ৩ বছর পর মেলা ফিরছে চেনা স্থানেই। শুক্রবার বিশ্বভারতীর ভারপ্রাপ্ত উপাচার্য সঞ্জয়কুমার মল্লিকের নেতৃত্বে কর্ম সমিতির বৈঠকে মেলা ফেরানোর সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। যদিও বিরাট আকারে মেলা হবে না। পরিবেশ দূষণের কথা মাথায় রেখে মেলা হবে ছোট করে। মেলা চলাকালীন পরিবেশের কথাও মাথায় রাখার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
মহর্ষি দেবেন্দ্রনাথ ঠাকুর পৌষমেলার সূচনা করেছিলেন শান্তিনিকেতনে। প্রতি বছর রীতি মেনে ৭ পৌষ আয়োজিত হয় এই পৌষমেলা। সেই দিন থেকে ৩ দিন ব্যাপী এই উৎসব পালিত হয়। ৭ পৌষ সকালে বিশেষ অনুষ্ঠানের মধ্য দিয়ে এই মেলার সূচনা হয়। ২০১৯ সালে শেষ বার পূর্বপল্লির মাঠে পৌষমেলা হয়েছিল। ২০২০ সালে করোনা পরিস্থিতির জন্য মেলা বন্ধ থাকে। সেই থেকেই ২০২১ ও ২০২২ সালে পূর্ব পল্লির মাঠে পৌষমেলা না করার সিদ্ধান্তে অনড় থাকেন প্রাক্তন উপাচার্য বিদ্যুৎ চক্রবর্তী। এই সিদ্ধান্তে নিন্দার ঝড় ওঠে বিভিন্ন মহলে। ২০২১ ও ২০২২ সালে বাংলা সংস্কৃতি মঞ্চ এবং বোলপুর পুরসভার উদ্যোগে ডাকবাংলো মাঠে বিকল্প মেলার আয়োজন করা হয়।
গত মাসের ৮ তারিখ উপাচার্য হিসাবে মেয়াদ শেষ হয় বিদ্যুৎ চক্রবর্তীর। ভারপ্রাপ্ত উপাচার্য হন সঞ্জয়কুমার মল্লিক। শুক্রবার তাঁর নেতৃত্বে বিশ্ববিদ্যালয়ের কর্ম সমিতির বৈঠক বসে। সেখানে পূর্বপল্লির মাঠে পৌষমেলা ফেরানোর সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। বিশ্বভারতীর বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, আবারও পূর্বপল্লির মাঠেই হবে পৌষমেলা। দূষণবিধি মেনে ছোট করে মেলার আয়োজন করা হবে। ন্যাশনাল গ্রিন ট্র্যাইবুনালের গাইডলাইন মানা হবে। এর জন্য তাঁদের কাছে যাওয়া হবে। গাইটডলাইন পেলেই রাজ্য প্রশাসনের সঙ্গে মেলা আয়োজন নিয়ে দ্রুত বৈঠক করা হবে।