পুজোয় একাধিক রেস্তোরাঁ ও খাবারের দোকানে পচা ও বাসি মাংস বিক্রির অভিযোগ উঠেছে। আর এই বিষয়েই ডায়মন্ড হারবারে হানা দিল খাদ্য সুরক্ষা দফতর, ডায়মন্ড হারবার পুলিশ, পুরসভা ও দমকলের যৌথ দল।
দশমীর বিকেলে ডায়মন্ড হারবারজুড়ে যৌথ অভিযান চালায় খাদ্য সুরক্ষা দফতর, দমকল, পুলিশ ও পুরসভার কর্মীরা। একের পর এক রেস্তোরাঁ ও হোটেলে ঢুকে পড়ে ওই যৌথ বাহিনী। আর তারপরই তাদের চক্ষু চড়কগাছ। রেস্তোরাঁ-হোটেলগুলির রান্নাঘরে ঢুকে ফ্রিজ খুলতেই বেরিয়ে আসে বাসি, পচা খাবারের বহর। যা কখনও গরম করে, কখনও বা মশলাপাতি দিয়ে পুনরায় রেঁধে পরিবেশন করা হচ্ছে ক্রেতাদের কাছে। অভিযানে তল্লাশি চালিয়ে অনেক মাংস ফেলে দেন আধিকারিকরা। এই ঘটনায় তীব্র চাঞ্চল্য এলাকায়।
অভিযান চলাকালীন বেশ কয়েকটি দোকানে লাইসেন্স সংক্রান্ত সমস্যা ধরা পড়ে। কোথাও খাদ্য লাইসেন্স নেই, আবার কোথাও ছোট ঘরের মধ্যে একাধিক গ্যাস সিলিন্ডার ব্যবহার করে রান্না চলছিল, যা বড় দুর্ঘটনার কারণ হতে পারে। অফিসাররা স্পষ্ট জানিয়েছেন,অস্বাস্থ্যকর পরিবেশে খাদ্য প্রস্তুত ও বাসি মাংস ব্যবহার বেআইনি। বেশ কিছু রেস্তোরাঁর ফ্রিজ থেকে বাসি মাংস বাজেয়াপ্ত করে পুকুরে ফেলে দেওয়া হয়। জেলা খাদ্য সুরক্ষা আধিকারিক জানিয়েছেন, সব দিক খতিয়ে দেখা হচ্ছে। নির্দিষ্ট সময়সীমার মধ্যে ব্যবস্থা না নিলে আইনি পদক্ষেপ করা হবে।
এবিষয়ে পুরসভার হেলথ সেফটি অফিসার বলেন, জেলা ফুড সেফটি অফিসার এসেছিলেন। দমকল, পুরসভা, পুলিশ সবাইকে নিয়ে এই অভিযান হয়। এই অভিযানের ফলে দেখা যায় খাবারের মান ও পরিবেশ সব জায়গায় ঠিক নেই। যাদের ঠিক নেই তাদের বলা হয়েছে এক সপ্তাহের মধ্যে পুরসভায় এসে কাগজপত্র নিয়ে আমার সঙ্গে দেখা করবেন। এরপর আমরা সেই রিপোর্ট দেব জেলা খাদ্য সুরক্ষা অফিসারের কাছে। পরে কালীপুজোর সময় আবার একটি ভিজিট হবে।
স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, ডায়মন্ড হারবার শহরের ১১৭ নং জাতীয় সড়ক লাগোয়া রেস্তোরাঁ ও হোটেলগুলিতে চলে অভিযান। প্রশাসন তরফে বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে বাসি খাবার, পচা মাংস ও অন্যান্য উপকরণ। এছাড়াও বেশ কয়েকটি রেস্তোরাঁ ও হোটেল থেকে বাজেয়াপ্ত হয়েছে নিষিদ্ধ কেমিক্যাল ও বেআইনি গ্যাস সিলিন্ডারও। তবে সব দোকানেই যে এমন পচা মাংসের পাহাড় দেখেছে প্রশাসন এমনটা নয়। ভাল মানের খাবার বিক্রি করার সুবাদে ‘ছাড়পত্র’ পেয়েছেন অনেকেই।