বেপাত্তা হওয়ার ১০ দিন পর কলকাতা হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয়েছেন তৃণমূল নেতা শেখ শাহজাহান। জানা গেছে, সোমবার দুপুরে হাইকোর্টে নিজের আইনজীবী পাঠিয়ে মামলায় যুক্ত হতে চেয়ে আবেদন করেছেন তিনি। আইনজীবী মারফত শাহজাহান হাইকোর্টকে জানিয়েছেন, তিনি সন্দেশখালির মামলায় যুক্ত হতে চান।
গত ৫ জানুয়ারি সন্দেশখালির নেতা শাহজাহানের বাড়িতে তল্লাশি চালাতে গিয়ে গ্রামবাসীদের হাতে আক্রান্ত হন ইডির আধিকারিকেরা। ওই ঘটনায় জখম হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হতে হয়েছিল তিন ইডি কর্তাকে। এ নিয়ে পরে মামলাও হয় কলকাতা হাইকোর্টে। ঘটনাটির সিবিআই তদন্ত চেয়ে হাই কোর্টে মামলা করে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা ইডি। সোমবার বিচারপতি জয় সেনগুপ্তের দৃষ্টি আকর্ষণ করেন শাহজাহানের আইনজীবী। জানান সেই মামলায় তাঁর মক্কেল শাহজাহান যুক্ত হতে চান।
এদিন মামলাটিতে বিশেষ আবেদন জানান শাহজাহানের আইনজীবী। তিনি হাইকোর্টকে জানান, শাহজাহান সন্দেশখালির মামলায় যুক্ত হতে চান। বিচারপতি জানতে চান, শাহজাহান আত্মসমর্পণ করেননি কেন। উত্তরে শাহজাহানের আইনজীবী জানান, তাঁর মক্কেলের অধিকার ক্ষুণ্ণ হয়েছে। ইডির অভিযান সঠিক ছিল না। আগামীকালই মামলাটির পরবর্তী শুনানি হবে।
উল্লেখ্য, গত ৫ জানুয়ারি সন্দেশখালির তৃণমূল নেতা শাহজাহানের বাড়িতে তল্লাশি চালাতে গিয়ে গ্রামবাসীদের হাতে বেধরক মার খান ইডি অফিসাররা। তিনজনকে হাসপাতালে ভর্তি করতে হয়। রেশন দুর্নীতির তদন্তে ওই তল্লাশি অভিযান চালানো হয়েছিল বলে জানিয়েছে ইডি। কিন্তু ইডির আধিকারিকেরা সন্দেশখালির সরবেরিয়া গ্রামে শাহজাহানের বাড়ির সামনে দীর্ঘ ক্ষণ দাঁড়িয়ে থাকার পরও দরজা খোলা হয়নি। এর পর দরজা ভেঙে ভিতরে ঢোকার চেষ্টা করতেই তাঁদের ঘিরে ধরেন হাজার খানেক গ্রামবাসী। শুরু হয় মারধর। গাড়িও ভাঙচুর করা হয়। এর পরই সন্দেশখালির ঘটনা নিয়ে হাইকোর্টে মামলা করে ইডি।