scorecardresearch
 

Sandeshkhali: সন্দেশখালির পথে আজ রাজ্যপাল, অভিযান শুভেন্দুদেরও, CPIM-র বন্‍‌ধ, পরিস্থিতি কী?

১৪৪ ধারা উপেক্ষা করেই তাঁরা সন্দেশখালি ঢুকবেন। এরই মাঝে মঙ্গলবার বসিরহাট এসপি অফিস ঘেরাও অভিযানের ডাক দিয়েছে বঙ্গ বিজেপি। পিছিয়ে নেই বামেরাও। আজ সন্দেশখালিতে ১২ ঘণ্টা বনধের ডাক দিয়েছে সিপিআইএম। সন্দেশখালির পথে আজ রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোসও।

Advertisement
Sandeshkhali Sandeshkhali
হাইলাইটস
  • সন্দেশখালি যাচ্ছেন রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস
  • সন্দেশখালি অভিযান শুভেন্দু অধিকারীর নেতৃত্বে সব বিজেপি বিধায়কের
  • সন্দেশখালিতে আজ বনধ ডাকল সিপিএম

রাজ্য রাজনীতিতে এই মুহূর্তে সবচেয়ে আলোচিত বিষয় সন্দেশখালি। অশান্ত সন্দেশখালিকে শান্ত করতে ইতিমধ্যেই ১৪৪ ধারা জারি করা হয়েছে। বন্ধ ইন্টারনেট পরিষেবাও। এহেন পরিস্থিতিতে আজ, সপ্তাহের প্রথম দিনে নতুন করে উত্তপ্ত হওয়ার পরিস্থিতি তৈরি হল উত্তর ২৪ পরগনার সন্দেশখালিতে। রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী রাজ্য প্রশাসনকে চ্যালেঞ্জ করে জানিয়েছেন, বিজেপি বিধায়কদের সঙ্গে সন্দেশখালি যাবে বিজেপি। ১৪৪ ধারা উপেক্ষা করেই তাঁরা সন্দেশখালি ঢুকবেন। এরই মাঝে মঙ্গলবার বসিরহাট এসপি অফিস ঘেরাও অভিযানের ডাক দিয়েছে বঙ্গ বিজেপি। পিছিয়ে নেই বামেরাও। আজ সন্দেশখালিতে ১২ ঘণ্টা বনধের ডাক দিয়েছে সিপিআইএম। সন্দেশখালির পথে আজ রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোসও।

সন্দেশখালির তৃণমূলনেতা শাহজাহান শেখকে গ্রেফতারের দাবিতে বিক্ষোভ শুরু সন্দেশখালিতে। অভিযোগ, শাহজাহান এলাকাতেই আছেন। কিন্তু তাঁকে গ্রেফতার করছে না পুলিশ। অন্যদিকে তাঁর ঘনিষ্ঠ নেতা শিবু হাজরা, উত্তম সর্দাররা এলাকায় তাণ্ডব চালিয়ে যাচ্ছে। ইতিমধ্যেই উত্তম সর্দারকে সাসপেন্ড করেছে তৃণমূল কংগ্রেস। গ্রেফতারও করা হয়েছে তাকে।  বুধবার থেকে অশান্ত উত্তর ২৪ পরগনার এই এলাকা। বৃহস্পতিবার শাহজাহানদের গ্রেফতারের দাবিতে দিনভর উত্তপ্ত থেকেছে সন্দেশখালি। বিক্ষোভের নেতৃত্বে মূলত মহিলারা ছিলেন। বাঁশ, দা, কাটারি নিয়ে রাস্তায় নামেন তাঁরা। ঘেরাও করা হয় সন্দেশখালি থানা। বিক্ষোভকারীদের দাবি, জোর করে জমি দখল করে নেওয়া হয়। কাজ করিয়ে টাকা দেওয়া হয় না। টাকা চাইতে গেলে মারধর করা হয়। তৃণমূল নেতাদের অবিলম্বে গ্রেফতার করে তাই জমি ফেরতের দাবিতে সরব হয়েছেন গ্রামবাসীরা। শুক্রবার সকালে শিবুর পোলট্রি ফার্মে আগুন ধরিয়ে দেয় উত্তেজিত জনতা। পরে তাঁর বাড়ি এবং বাগানবাড়িতেও আগুন লাগিয়ে দেওয়া হয়। বিক্ষোভকারীদের পাল্টা মারধরের অভিযোগও উঠেছে তৃণমূল নেতার অনুগামীদের বিরুদ্ধে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে এলাকায় র‌্যাফ নামানো হয়েছিল। সন্দেশখালির ঘটনায় বৃহস্পতিবার পাঁচ জনকে গ্রেফতার করে পুলিশ। শুক্রবার আরও আট জনকে গ্রেফতার করা হয়।

Advertisement

সন্দেশখালিতে রাজ্যপালের যাওয়ার বিষয়ে আজ অর্থাত্‍ সোমবার বিজেপি-র সর্বভারতীয় সহসভাপতি দিলীপ ঘোষ বলেন, 'উনি সেনসিটিভ মানুষ। উনি জানেন এখানে আইন শৃঙ্খলা বলে কিছু নেই। মানুষ কষ্টে আছে। এর আগের রাজ্যপাল গেলে তাকে গো ব্যাক বলে কালো পতাকা দেখানো হতো। জানি না আজ যেতে দেওয়া হবে কিনা। কালো পতাকা দেখানো হবে কিনা। অন্য কোনও দলের কাউকে যেতে দেওয়া হচ্ছে না। আজ আমাদের পরিষদীয় দলের নেতাদের যাওয়ার কথা। জানি না তাঁরা কতদূর যেতে পারবেন। মরিয়া হয়ে বাঁচার চেষ্টা করছে। একটা সন্দেশখালিতে যাওয়া আটকে কী হবে? পাড়ায় পাড়ায় সন্দেশখালি। যারা ৫০০ টাকা দিয়ে মহিলাদের ইজ্জত কিনে নিয়েছে তারা সব কিছু করতে পারে। পাড়ায় পাড়ায় ধর্ষণ চলছে। পার্টি অফিসে ডেকে নিয়ে মৌজ মস্তি চলছে। একজন মহিলা মুখ্যমন্ত্রীর আমলে মহিলাদের এই দুর্দশা হবে, তাদের ইজ্জত নিয়ে ছিনিমিনি খেলা হবে, এটা কোনোদিন বাঙালি ভাবতে পারেনি।'

আরও পড়ুন

রবিবার সিপিআইএম-এর সন্দেশখালিত অভিযান ঘিরেও পরিস্থিতি উত্তপ্ত হয়। যদিও মীনাক্ষী মুখোপাধ্যায়দের পুলিশ ন্যাজাট ফেরিঘাটেই আটকে দেয়। এলাকার প্রাক্তন বিধায়ক তথা সিপিএম নেতা নিরাপদ সর্দারকে আটকের প্রতিবাদে সরব সিপিএম। 

অন্যদিকে সন্দেশখালিতে অশান্তি নিয়ে বিরোধী দলের নেতাদের কার্যত হুঁশিয়ারি দিয়েছে পুলিশ। বারাসতের ডিআইজি সুমিত কুমার জানান, সন্দেশখালিতে নতুন করে গোলমাল বা ঝামেলা পাকানোর চেষ্টা যাঁরা করবেন, তাঁদের কপালে কষ্ট আছে। ডিআইজির কথায়, 'সন্দেশখালির পরিস্থিতি স্বাভাবিক করতে অনেক পদক্ষেপ করছে রাজ্যের পুলিশ। অনেক ফোর্স মোতায়েন করা হয়েছে। শুক্রবার কয়েক জনকে গ্রেফতারও করা হয়। আমরা আর কোনও গন্ডগোল হতে দেব না। মাধ্যমিক পরীক্ষা রয়েছে। তাই সন্দেশখালির মাধ্যমিক পরীক্ষার্থীদের যথাসম্ভব সাহায্য করবে পুলিশ। ১৪৪ ধারা জারি করা হয়েছে। ইন্টারনেটও বন্ধ। কেউ যদি কোনও গন্ডগোল পাকানোর চেষ্টা করে, তা হলে তার বিরুদ্ধে যত শক্ত পদক্ষেপ করা যায়, করা হবে। কেউ গন্ডগোলে যাবেন না। ঝামেলা পাকাবেন না। না হলে কপালে কষ্ট আছে।'

Advertisement