Santoshpur Station Fire: ভয়াবহ আগুন সন্তোষপুর স্টেশনে, শিয়ালদা লাইনে ট্রেন চলাচলের কী অবস্থা?

স্থানীয় ও যাত্রীদের অভিযোগ, স্টেশন চত্বরে দোকান ও ঝুপড়িতে ছেয়ে গিয়েছে। ঘিঞ্জি জায়গায় প্রায় প্রতি মাসেই একটি করে নতুন দোকান গজিয়ে উঠছে। ফলে যাত্রীদের যাতায়াত করার পর্যাপ্ত জায়গা পর্যন্ত নেই।

Advertisement
ভয়াবহ আগুন সন্তোষপুর স্টেশনে, শিয়ালদা লাইনে ট্রেন চলাচলের কী অবস্থা?সন্তোষপুর স্টেশনে ভয়াবহ আগুন
হাইলাইটস
  • শিয়ালদা দক্ষিণ শাখায় একাধিক ট্রেন মাঝরাস্তায় দাঁড়িয়ে
  • স্টেশনের ১ নম্বর প্ল্যাটফর্ম লাগোয়া সব দোকান শেষ
  • বজবজ শিয়ালদা শাখায় ট্রেন চলাচলে লেট 

ভায়াবহ আগুন সন্তোষপুর স্টেশনে। আজ অর্থাত্‍ মঙ্গলবার ভোরে বজবজ শাখার সন্তোষপুর স্টেশনের ১ নম্বর প্ল্যাটফর্মে ভয়াবহ আগুনে পুড়ে ছাই হয়ে গেল সব দোকান। দমকলের চেষ্টায় আগুন এখন কিছুটা নিয়ন্ত্রণে এলেও ট্রেন চলাচল ব্যাহত। 

শিয়ালদা দক্ষিণ শাখায় একাধিক ট্রেন মাঝরাস্তায় দাঁড়িয়ে

এদিন সকালে হঠাত্‍ই দাউ দাউ করে জ্বলে উঠে সন্তোষপুর স্টেশনের ১ নম্বর প্ল্যাটফর্মে দোকানপাট। আগুন দ্রুত ছড়িয়ে পড়ে বিধ্বংসী রূপ নিয়েছে। কালোধোঁয়ায় ঢেকে গিয়েছে গোটা এলাকা। যার নির্যা, ট্রেন চলাচল চরম ভাবে ব্যাহত। শিয়ালদা দক্ষিণ শাখায় একাধিক ট্রেন মাঝরাস্তায় দাঁড়িয়ে। 

স্টেশনের ১ নম্বর প্ল্যাটফর্ম লাগোয়া সব দোকান শেষ

জানা গিয়েছে, স্টেশন লাগোয়া দোকান থেকেই আগুন ছড়িয়ে পড়েছে। ১ নম্বর প্ল্যাটফর্ম লাগোয়া কিছু দোকানে আগুন ধরে যায়। কী ভাবে আগুন ধরল, তা এখনও স্পষ্ট নয়। ইতিমধ্যে দুর্ঘটনাস্থলে দমকলের ৪টি ইঞ্জিন আগুন নেভাচ্ছে। বস্তুত, বছর খানেক আগেও এই স্টেশনে অগ্নিকাণ্ড হয়েছিল। স্থানীয় ও যাত্রীদের অভিযোগ, স্টেশন চত্বরে দোকান ও ঝুপড়িতে ছেয়ে গিয়েছে। ঘিঞ্জি জায়গায় প্রায় প্রতি মাসেই একটি করে নতুন দোকান গজিয়ে উঠছে। ফলে যাত্রীদের যাতায়াত করার পর্যাপ্ত জায়গা পর্যন্ত নেই। ফলে যাত্রীদের একটু ভিড় হলেই এলাকার অবস্থা ভয়াবহ হয়ে যায়। যাত্রীদের অভিযোগ, বিপজ্জনক ভাবেই দোকানগুলি দিনের পর দিন রেলের জমিতে রমরমিয়ে ব্যবসা চালিয়ে যাচ্ছে। 

বজবজ শিয়ালদা শাখায় ট্রেন চলাচলে লেট 

ইতিমধ্যেই বজবজ শিয়ালদা শাখায় ট্রেন চলাচলে লেট হচ্ছে। একাধিক লোকাল ট্রেন দাঁড়িয়ে। ওদিকে দোকানদারদের অভিযোগ, আগুন লাগার পরে দমকলকে খবর দিলেও দেরিতে আসে। প্রায় ৪৫ মিনিট দেরিতে এসেছে দমকল, তার ফলেই আগুন এতটা ভয়াবহ চেহারা নিয়েছে। যদিও দমকলের দাবি, এলাকাটি এতটাই ঘিঞ্জি যে, আগুন নেভাতে ও দমকলের ইঞ্জিন ঢোকাতে রীতিমতো সমস্যা হচ্ছে।

Advertisement

POST A COMMENT
Advertisement