Ghatal Master Plan: ঘাটাল মাস্টার প্ল্যান শুরু হতেই 'বাধা' গ্রামবাসীর, কী এমন ঘটল?

Ghatal Master Plan: আন্দোলনকারীদের দাবি- ২০১১ সালে মাস্টার প্ল্যানের ডিপিয়ারে এই নতুন খাল খননের কথাটি কথাও উল্লেখ নেই। এলাকার বেশিরভাগ জমিই তিন ফসলি ও উর্বর৷ তাকে কেটে নষ্ট করতে দেওয়া হবে না ৷

Advertisement
ঘাটাল মাস্টার প্ল্যান শুরু হতেই 'বাধা' গ্রামবাসীর, কী এমন ঘটল?ঘাটাল মাস্টার প্ল্যানের কাজ শুরু হতেই এলাকাবাসীর বাধার মুখে প্রশাসন

Ghatal Master Plan: ঘাটাল মাস্টার প্ল্যানের কাজ অবশেষে শুরু হওয়ার পথে ৷ দীর্ঘ প্রতীক্ষার পরে সার্ভে শেষ করে কাজ শুরু হবে। সেই কাজের জন্য খাল খনন শুরু হতেই গ্রামের লোকেরা বাধা দেন ৷ একত্রিত হয়ে রাস্তায় নেমে পরিষ্কার জানিয়ে দিলেন তাঁদের জমি ও গ্রামের সামনে দিয়ে নতুন খাল তাঁরা করতে দেবেন না ৷ তাতে মাস্টারপ্ল্যান হোক বা নাই হোক ৷ ঘাটালের বন্যা কমাতে নিজেদের এলাকাকে ডুবতে দেওয়া হবে না ৷ এদিন ঐক্যবদ্ধ গ্রাবাসীরা নতুন কমিটি তৈরী করে গ্রামের মহিলাদের সামনে রেখে প্রতিবাদী মিছিল বের করেন ৷ ফলে কয়েক দশকের জটিলতা কাটিয়ে ঘাটালের বন্যা আটকাতে মাস্টার প্ল্যান শুরু করতে গিয়েও বড়ো বাধার মুখে প্রশাসন ৷ 

আন্দোলনকারীদের দাবি- ২০১১ সালে মাস্টার প্ল্যানের ডিপিয়ারে এই নতুন খাল খননের কথাটি কথাও উল্লেখ নেই। এলাকার বেশিরভাগ জমিই তিন ফসলি ও উর্বর৷ তাকে কেটে নষ্ট করতে দেওয়া হবে না ৷ তাছাড়া নতুন করে খাল তৈরি হলে বন্যার জলের চাপ তৈরি হবে৷ ঘাটালকে বাঁচাতে দাসপুরের এই এলাকায় বন্যা তৈরী হবে প্রতিবছর ৷ তাই জমি দেওয়া হবে না ৷ সেই সঙ্গে খালও তাঁরা কাটতে দেবেন না।

আন্দোলনকারীদের দাবি- ২০১১ সালে মাস্টার প্ল্যানের ডিপিয়ারে এই নতুন খাল খননের কথাটি কথাও উল্লেখ নেই। এলাকার বেশিরভাগ জমিই তিন ফসলি ও উর্বর৷ তাকে কেটে নষ্ট করতে দেওয়া হবে না ৷

যদিও এই বিষয়ে ঘাটাল সাংগঠনিক জেলা তৃণমূলের সভাপতি আশীষ হুদাইত বলেন- আন্দোলনকারীদের সঙ্গে কথা বলে বিষয়টি বোঝানো হবে। বড়ো স্বার্থে এই কাজ করতে কিছু লোককে সহযোগিতা করতেই হবে ৷ এটা আন্দোলনের পথে না গিয়ে আলোচনার পথে সমাধানের চেষ্টা করা হবে ৷ তবে যাই হোক এই আন্দোলন নিয়ে পড়ে গিয়েছে তীব্র শোরগোল। এই বিষয়ে শাসকদলের বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগড়ে দিয়েছেন বিজেপি বিধায়ক শীতল কপাট। তার অভিযোগ, ঘাটাল মাস্টারপ্ল্যান নিয়ে নাকি কোনও পরিকল্পনাই নাকি করেনি রাজ্য সরকার। আর তাতে করে এলাকাবাসীদের ক্ষতি হয়েছে।

পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার ঘাটাল মহকুমার ঘাটাল, দাসপুর সহ বিভিন্ন এলাকা বন্যার সময় শিলাবতী নদীর জল বেড়ে যায়, তাই দাসপুর এলাকায় সেই জলের চাপ কমাতেই দাসপুরের সুরতপুর থেকে বৈকন্ঠপুর পর্যন্ত ৬ কিলোমিটার একটি নতুন খাল কাটার সিদ্ধান্ত নিয়েছে সেচ দফতর ৷ এই খাল কাটতেই কয়েকশ হেক্টর জমি অধিগ্রহন করতে চায় রাজ্য সরকার ৷ তার পদ্ধতিগত কাজ শুরু করেছে প্রশাসন ৷ জানতে পেরেই তাঁরই প্রতিবাদে রাস্তায় নামলেন গ্রামের মানুষজন। কারণ ইতিমধ্যেই জমি জরিপের কাজ শুরু হয়েছে দাসপুরের বেশ কিছু এলাকাতে। আর এতেই ক্ষোভে ফেটে পড়েছে দাসপুর, বৈকন্ঠপুর, চাঁদপুর,ঝুমঝুমি,হরিরামপুর,সুরতপুর সহ বেশ কিছু গ্রামের মানুষজন। এই খাল খননের প্রতিবাদ করে একটি কমিটিও গড়ে তুলেছে চন্দনেশ্বর খাল খনন প্রতিবাদী কমিটি।

Advertisement

সংবাদদাতা- শাহজাহান আলি

 

POST A COMMENT
Advertisement