প্রায় একবছর হতে চলল স্কুলে পানীয় জল নেই। পরিস্থিতি এতটাই শোচনীয় যে, শিশুদের মিড ডে মিলে খাওয়াতে হচ্ছে মুড়ি চানাচুর। ঝাড়গ্রামের ঘোড়াধরা এলাকায় নিউ টাউনশিপ প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ঘটনা। পানীয় জল স্কুল থেকে প্রায় ১ কিলোমিটার দূর থেকে আনতে হয়।
শিশুদের পাতে ভাতের বদলে পড়ছে মুড়ি ও চানাচুড়
প্রায় এক বছর হতে চলল স্কুলে পানীয় জলের পাম্প খারাপ। গরম পড়ছে। ঝাড়গ্রামে তাপপ্রবাহ শুরু হয়ে যাবে কিছু দিনের মধ্যেই। এহেন পরিস্থিতি খাস ঝাড়গ্রাম শহরেই সরকারি অনুদানপ্রাপ্ত প্রাথমিক স্কুলে জল নেই। যার নির্যাস, মিড ডে মিলের রান্নার জলও মিলছে না। শিশুদের পাতে ভাতের বদলে পড়ছে মুড়ি ও চানাচুর। আইসিডিএস কর্মী চন্দনা সাহার কথায়, 'জলের সমস্যা প্রায় একবছর ধরে। কমিশনারকে বলা হয়েছে, প্রধান শিক্ষিকাকেও বলা হয়েছে, কোনও ব্যবস্থা কেউ করেনি। আমরা টাইম কলের জল এনে রান্না করি। কলে জল না এলে আরও দূর থেকে নিয়ে আসি। স্কুলে জল নেই।'
'টাইম কলের জল ১ কিলোমিটার দূর থেকে নিয়ে আসি'
মিড ডে মিল রাঁধুনি দোলা খাতুন বলছেন, 'এখানে কোনও পানীয় জলের কোনও ব্যবস্থা নেই। অনেক দূর থেকে জল এনে শিশুদের অঙ্গনওয়াড়ির রান্না হয়। এখানে জলের খুব কষ্ট। টাইম কলের জল ১ কিলোমিটার দূর থেকে নিয়ে আসি। পুরসভা সব দিন জল দেয়ও না। কমিশনারকে বলেছি অনেকবার।'
সব মিলিয়ে পড়ুয়ার সংখ্যা প্রায় ২৫০ জন
ব্যস্ত সড়কের পাশে ওই প্রাথমিক বিদ্যালয়। পাশে রয়েছে দুটি অঙ্গনওয়াড়ি সেন্টার। সব মিলিয়ে পড়ুয়ার সংখ্যা প্রায় ২৫০ জন। ঝাড়গ্রাম স্টেডিয়াম, ঝাড়গ্রাম থানা আর বিডিও অফিসের মাঝে এই বিদ্যালয়। তবুও স্কুলের জল সমস্যা সমাধানে প্রশাসনের কোনও দফতরই সচেষ্ট নয় বলে আক্ষেপ করেছেন ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষিকা। স্কুলের প্রধান শিক্ষিকা আরও জানান, জেলা প্রশাসন, শিক্ষা দফতর, কাউন্সিলর সহ একাধিক জায়গায় জানানোর পরেও হয়নি সমস্যার সমাধান। কবে জল সমস্যা মিটবে সে দিকেই তাকিয়ে স্কুলের ছাত্র-ছাত্রীরা।