Suvendu Adhikary BJP: হিন্দু এলাকায় যেন গেরুয়া পতাকা ছাড়া কিছু চোখে না পড়ে : শুভেন্দু

দলীয় কর্মীদের রামনবমী পালনকে সাফল্যমণ্ডিত করতে আহ্বান জানালেন রাজ্য বিধায়নসভার বিরোধী দলনেতা তথা বিজেপি নেতা শুভেন্দু অধিকারী। পাশাপাশি ফের একবার মুখ্যমন্ত্রী মমতা, অভিষেক ও তৃণমূল দলের নেতা-কর্মীদের স্বভাবসিদ্ধ ঢঙে বিঁধতে ছাড়েননি।

Advertisement
হিন্দু এলাকায় যেন গেরুয়া পতাকা ছাড়া কিছু চোখে না পড়ে : শুভেন্দুহলদিয়ায় সাংবাদিক বৈঠকে শুভেন্দু অধিকারী

"হিন্দু এলাকায় যেন গেরুয়া পতাকা ছাড়া কিছু চোখে না পড়ে। সময় এসেছে হিন্দুদের তাকত (শক্তি) দেখানোর।" ঠিক এই সুরেই দলীয় কর্মীদের রামনবমী পালনকে সাফল্যমণ্ডিত করতে আহ্বান জানালেন রাজ্য বিধায়নসভার বিরোধী দলনেতা তথা বিজেপি নেতা শুভেন্দু অধিকারী। পাশাপাশি ফের একবার মুখ্যমন্ত্রী মমতা, অভিষেক ও তৃণমূল দলের নেতা-কর্মীদের স্বভাবসিদ্ধ ঢঙে বিঁধতে ছাড়েননি। এদিন তিনি হুমায়ুন কবীর প্রসঙ্গে তাঁকে উন্মাদ বলেও অভিহিত করেন। সদ্য় বিজেপি ছেড়ে তৃণমূলে যোগ দেওয়া তাপসী মণ্ডলের বিবৃতিকেও গুরুত্ব দিতে চাননি। বৃহস্পতিবার, হলদিয়ায় বিজেপির কার্যকর্তা সম্মেলনে দীর্ঘ বক্তব্য রাখেন শুভেন্দু। পাশাপাশি জনসংযোগ ও প্রচারের রূপরেখা তৈরি করে দিয়ে যান

এদিন তিনি রামনবমী পালন প্রসঙ্গে বলেন, "হিন্দু এলাকায় যেন গেরুয়া পতাকা ছাড়া কিছু চোখে না পড়ে। সময় এসেছে হিন্দুদের তাকত (শক্তি) দেখানোর। বর্ণাঢ্য শোভাযাত্রা হবে। পাঁচটা মণ্ডলে আমি আমার সময় মতো ২৩ তারিখের আগে, ওই মণ্ডলের অ্যাকটিভ সদস্যের বাড়িতে চা চক্রে মিলিত হব।২৩ তারিখে সকলে বিকেলে জমায়েত হবে। বড় সমাবেশ হবে।" রামনবমীর উৎসবের আগে তিনি ফের হলদিয়া যাবেন বলেও জানান। বর্ণাঢ্য শোভাযাত্রা হবে। সোনাচূড়াতে সাড়ে ৩ বিঘা জমিতে রামমন্দির  তৈরি হবে। প্ল্যান জমা পড়ে গিয়েছে। কাজ শুরু হয়ে গিয়েছে বলে জানান শুভেন্দু। "নন্দীগ্রামে রামমন্দির অনুষ্ঠানে উৎসব হবে। যত ধ্বজ লাগবে, গৌতমের কাছ থেকে সংগ্রহ করবেন। বাড়িতে বাড়িতে ধ্বজ উত্তোলন করার কর্মসূচি নেবেন। এ লড়াই আমাদের জিততে হবে।" আহ্বান জানান তিনি।

এর পাশাপাশি তিনি ফের তৃণমূল ও তৃণমূলনেত্রীকে আক্রমণের নিশানা বানান। তিনি সভা থেকে বলেন, "আপনি অপরাজিত নন মাননীয়া। আপনার মামা প্রশান্ত দাসকে দিয়ে আমি কাউন্সিলর ভোটে আপানাদের হারিয়েছি। কাউকে একটাও কর্মসূচি করতে দেননি। লক্ষ্মণ শেঠ সৃষ্টি করেছে আপনাকে, তাঁর সঙ্গে বিরোধ করেছেন। আমি বিধায়ক পদ ছেড়ে বিজেপিতে যোগ দিয়েছিলাম। উনি এত লোভী বিধায়ক পদ নিয়ে জয়েন করেছিলেন। আমার সঙ্গে ওঁর পার্থক্য রয়েছে। আমি একের পর এক পদ থেকে রিজাইন করেছি।"

Advertisement

এরপরই তিনি পুরনো প্রসঙ্গ টেনে বলেন, "২০২০-র ১ ডিসেম্বর ভাইপো ব্যানার্জি আমার পা ধরেছে, সঙ্গে প্রশান্ত কিশোর। সাক্ষী ছিলেন সৌগত রায়, সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায়। ততদিন আমি সাদা ছিলাম। তারপর থেকে কালো হয়ে গিয়েছি। ১৭ ডিসেম্বর এমএলএ থেকে পদত্যাগ করেছি। মেদিনীপুরের ভূমিপুত্রকে দিয়ে হারাব। ৯৫ এ কাউন্সিলর হয়েছি। তখন ওঁর দল তৈরি হয়নি। ওঁর দয়ায় আমি নই। আমার দয়ায় উনি। আমাকে রাস্তায় নামতে দেয়নি। ১৫ দিন নন্দীগ্রামের রাস্তা বন্ধ করেছিল।" এর জন্য তৎকালীন মুখ্য়মন্ত্রী বুদ্ধবাবুকে দায়ী করন তিনি। বলেন, "জ্যোতিবাবু থাকলে চুলের মুঠি ধরে তুলে দিত।"

এরপর তিনি সংবাদমাধ্যমের মুখোমুখি হয়ে হুমায়ুন কবীরের হুঁশিয়ারি প্রসঙ্গে জানান, ওঁর কথার উত্তর দেব না। একটা উন্মাদ, পাগল। কালই সামনে দিয়ে গিয়েছি। আবার ১৯ তারিখ যাব। পিতৃ পরিচয় সঠিক থাকলে আমাকে ছুঁয়ে দেখতে বলুন। তিনি পাল্টা হুঁশিয়ারি দেন. আমাকে ভয় দেখাবেন না। লক্ষ্মণ শেঠ ছোটখাট লিডার ছিলেন না। সিপিএম আমলে তাঁকে হারিয়েছি। মমতা ব্যানার্জিকে মুখ্যমন্ত্রী থাকাকালীন হারিয়েছি। আবার যাদবপুরে হারাব।" ত্বহা সিদ্দিকি প্রসঙ্গেও তিনি মুখ খুলেছেন। বলেন, "অনেক অবৈধ সম্পত্তি করেছেন তাই ভয় পাচ্ছেন। ব্যালেন্স করে কথা বলছেন। আমি কারও সার্টিফিকেট চাই না। আমার সার্টিফিকেট চাই ভারত সেবাশ্রম, রামকৃষ্ণ মিশনের সন্ন্য়াসীদের কাছ থেকে। গৌড়ীয় মঠের সন্ন্য়াসী, হিন্দু পরিষদ, জৈন, বুদ্ধিস্ট, শিখ, জনজাতি, আরএসএসের কাছ থেকে।

যাদবপুরে মহিলা সাংসাবাদিককে মারধর প্রসঙ্গে তাঁকে জিজ্ঞাসা করা হলে তিনি বলেন, প্রেস ক্লাব কী করছে, চটিচাটছে।? প্রেস ক্লাবের সম্পাদক, সভাপতিকে জিজ্ঞাসা করুন।

এদিন ১৯ মার্চ তথ্য কমিশনার নিয়োগ নিয়ে বৈঠক রয়েছে। মুখ্যমন্ত্রী উপস্থিতি থাকছেন বলেই তিনি ওই বৈঠকে যাবেন না বলে জানিয়েছেন শুভেন্দু। আগেই যদিও বৈঠকে না যাওয়ার কথা জানিয়েছিলেন শুভেন্দু। তাঁর বক্তব্য ছিল, "অভয়াকাণ্ডের জন্য দায়ী মুখ্যমন্ত্রী। তিনি কোনও বৈঠকে থাকলে আমি যোগ দেব না।" শুভেন্দু এবার জানিয়েছেন, বিবেকের ডাকে সাড়া দিয়েই বৈঠকে না যাওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন।

POST A COMMENT
Advertisement