Minor Girl Molestation Case: পুতুল খেলার জন্য দর্জির কাছে কাপড়ের টুকরো আনতে গিয়েছিল সাত বছরের ছোট্ট মেয়ে। কিন্তু তার জন্য যে এমন চরম মূল্য দিতে হবে ভাবতে পারেনি একরত্তি। কল্পনাও করতে পারেননি একরত্তির বাবা-মাও। দর্জির লালসার শিকার হয়ে হেনস্থার শিকার ওই নাবালিকা কিশোরী।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, মাত্র ৭ বছর বয়সী ওই নাবালিকাকে ধর্ষণের অভিযোগ পেতেই অভিযুক্ত দর্জিকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। গতকাল ঘটনাটি ঘটেছে বাঁকুড়ার ছাতনা থানা এলাকায়। অভিযুক্তর ফাঁসির দাবিতে সরব হয়েছেন নাবালিকার পরিবার।
স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে গতকাল রবিবার ছুটির দিন থাকায় খাওয়া দাওয়ার পর দুপুরে নিজেদের বাড়িতে ঘুমোচ্ছিলেন নাবালিকার পরিবারের লোকজন। নাবালিকা পুতুল খেলার জন্য টুকরো কাপড়ের খুঁজতে পাড়ারই এক দর্জির দোকানে যায়। সেই সময় টুকরো কাপড় দেওয়ার লোভ দেখিয়ে ওই নাবালিকাকে শেখ আহিয়া নামের ওই দর্জি দোকানের ভিতরে ডেকে নিয়ে যায়। এরপর দোকানের শাটার নামিয়ে ওই নাবালিকাকে ধর্ষণ করা হয় বলে অভিযোগ।
পরে বিষয়টি জানাজানি হতেই নির্যাতিতা নাবালিকার পরিবার ছাতনা থানার দ্বারস্থ হয়ে শেখ আহিয়ার বিরুদ্ধে লিখিত অভিযোগ দায়ের করে। অভিযোগ পেতেই নড়েচড়ে বসে পুলিশ। রবিবার রাতেই অভিযুক্তকে গ্রেফতার করা হয়। ধৃতের বিরুদ্ধে পকসো আইনের ও নির্দিষ্ট মামলা রুজু করে সোমবার বাঁকুড়া জেলা আদালতে পেশ করে ছাতনা থানার পুলিশ। এদিকে ঘটনার পর ধৃতের কঠোর থেকে কঠোরতম সাজার দাবীতে সরব হয়েছে নির্যাতিতার পরিবার।