
Tarakeswar Minor Rape Case: তারকেশ্বরের নাবালিকা ধর্ষণকাণ্ডে অভিযুক্তকে সোমবার পকসো আদালতে তোলা হবে। পুলিশ সাত দিনের হেফাজতের আবেদন জানাবে বলে সূত্রের খবর। ঘটনাস্থল ইতিমধ্যেই কর্ডন করে দিয়েছে পুলিশ। এদিন ফরেন্সিক দলের সদস্যরা ঘটনাস্থলে গিয়ে বিভিন্ন নমুনা সংগ্রহ করেছেন। পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, মেয়েটির মেডিক্যাল টেস্ট কড়া নজরদারিতে চলছে। একই সঙ্গে শিশুকল্যাণ সমিতিকেও ঘটনার বিষয়ে জানানো হয়েছে। তারা আলাদা তদন্ত শুরু করবে।
রেল এলাকার মধ্যে ঘটনাস্থল, নিরাপত্তা বাড়ানোর নির্দেশ
হুগলি জেলার পুলিশ সুপার কামনাশিস সেন জানিয়েছেন, যে জায়গায় এই ঘটনা ঘটেছে তা রেলের অধীনে। ওই পথে মালগাড়ি চলাচল করে এবং বর্তমানে একটি রোড ওভার ব্রিজের কাজ চলছে। ফলে ওই এলাকায় বাড়তি নিরাপত্তা চেয়ে রেল পুলিশের কাছে চিঠি পাঠানো হয়েছে। স্থানীয় থানাকেও নজরদারি বাড়ানোর নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
নগ্ন অবস্থায় উদ্ধার, শরীরে কামড়ের দাগ
শুক্রবার দুপুরে মেয়েটিকে তার পরিবারের সদস্যরা রেললাইনের ধারে এক নর্দমার পাশে রক্তাক্ত ও নগ্ন অবস্থায় উদ্ধার করেন। মেয়েটির গালে স্পষ্ট কামড়ের দাগ ছিল। অরামবাগ জেলা বিজেপির সম্পাদিকা পার্ণা আদক বলেন, “মেয়েটিকে গুরুতর রক্তাক্ত অবস্থায় উদ্ধার করা হয়। এখনও তার যৌনাঙ্গ থেকে রক্তপাত হচ্ছে।” তড়িঘড়ি করে তাকে তারকেশ্বর গ্রামীণ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। চিকিৎসকরা প্রাথমিক চিকিৎসা করলেও কিছুক্ষণের মধ্যেই তাকে ছেড়ে দেন।
হাসপাতালের বিরুদ্ধে অবহেলার অভিযোগ
পরিবারের অভিযোগ, মেয়েটি রক্তাক্ত অবস্থায় থাকলেও হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ পুলিশকে খবর দেয়নি। পরে পরিবার নিজেরাই থানায় গেলে পুলিশ নাকি তাদের তাড়িয়ে দেয়। এই ঘটনায় ক্ষোভে ফেটে পড়েন স্থানীয় বাসিন্দা ও বিজেপি কর্মীরা।
বিজেপি নেতা শুভেন্দু অধিকারী মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে “ব্যর্থ মুখ্যমন্ত্রী” বলে আক্রমণ করেন। অন্যদিকে, তারকেশ্বরের তৃণমূল বিধায়ক রামেন্দু সিংহ রায় এই ঘটনাকে “অত্যন্ত দুঃখজনক” বলে বর্ণনা করেছেন। তিনি বলেন, “রেল পুলিশের নিরাপত্তা ব্যবস্থার ঘাটতি থেকেই এই ঘটনা ঘটেছে। তবে প্রশাসন এখন সম্পূর্ণ দায়িত্ব নিয়ে মেয়েটির চিকিৎসার ব্যবস্থা করছে।”