বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ের তিন ছাত্রী বিশ্ববিদ্যালয়েরই এক অধ্যাপকের বিরুদ্ধে শ্লীলতাহানি ও অশ্লীল প্রস্তাব দেওয়ার অভিযোগ এনেছে। শান্তিনিকেতন মহিলা থানায় দায়ের করা অভিযোগে বলা হয়েছে, আরবি বিভাগের অতিথি অধ্যাপক আবদুল্লা মোল্লা এই তিন ছাত্রীকে হোয়াটসঅ্যাপ মেসেজ পাঠাতেন তাঁর সঙ্গে রাত কাটানোর প্রস্তাব দিয়ে। বিনিময়ে তাঁদের পরীক্ষায় পাস করিয়ে দেওয়ার প্রস্তাব দিতেন। এছাড়াও বেশ কয়েকবার শরীরে অনুপযুক্ত স্পর্শও করেছেন।
ওই তিন ছাত্রী প্রথমে বিশ্ববিদ্যালয়ের অভ্যন্তরীণ অভিযোগ কমিটির কাছে অভিযোগ দায়ের করেন। কিন্তু সেখানে কোনও ব্যবস্থা না নেওয়ায় এখন শান্তিনিকেতন মহিলা থানায় অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে। পুলিশ বিষয়টি তদন্ত শুরু করেছে। অভিযোগকারী এক ছাত্রী বলেছেন, 'অধ্যাপক আবদুল্লা মোল্লা রাতে মেয়েদের মেসেজ করতেন। যদি কেউ মেসেজের উত্তর না দিত তবে তিনি পরীক্ষায় ফেল করানোর হুমকি দিতেন। পরীক্ষায় ভাল নম্বর দেওয়ার বিনিময়ে প্রফেসর আমাদের রাতে থাকতে বলতেন। তিনি আমাদের শরীরে অনুপযুক্তভাবে স্পর্শ করতেন।'
এ ঘটনায় অভিযুক্ত শিক্ষক আবদুল্লা মোল্লার সঙ্গে কথা বলা হলে তিনি সব অভিযোগ অস্বীকার করেন। তিনি বলেন, 'আমি এত বছর বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষকতা করছি, এখনও পর্যন্ত কেউ এমন অভিযোগ করেনি এবং আমিও এমন কোনও হোয়াটসঅ্যাপ মেসেজ করিনি।' সোমবার অভিযুক্ত অধ্যাপকের ঘরে তালা ঝুলিয়ে বিক্ষোভ দেখান বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয় পড়ুয়ারা ৷ আরবি বিভাগের অভিযুক্ত অতিথি অধ্যাপককে ঘর থেকে বের করে দিয়ে তালা লাগিয়ে দেওয়া হয়। এরপর তাঁকে অপসারণের দাবিতে বিক্ষোভ শুরু করেন পড়ুয়ারা। বিশ্বভারতী ইউনিভার্সিটি ফ্যাকাল্টি অ্যাসোসিয়েশনের মুখপাত্র সুদীপ্ত ভট্টাচার্য বলেছেন, যত তাড়াতাড়ি সম্ভব অভিযোগের যথাযথ তদন্ত করা উচিত।