বিজেপি শাসিত রাজ্যগুলিতে বাংলার পরিযায়ী শ্রমিকদের উপর হেনস্তার অভিযোগ তুলে রাজ্যস্তরের পদ্ম নেতাদের ঘেরাও করার হুঁশিয়ারি দিলেন বিদ্যুৎ প্রতিমন্ত্রী তথা রঘুনাথগঞ্জের বিধায়ক আখরুজ্জামান। তৃণমূল বিধায়ক হুঁশিয়ারি দিয়ে জানান,বিজেপি নেতা শুভেন্দু অধিকারী ও শমীক ভট্টাচার্য-সহ বঙ্গ বিজেপির যাঁরাই মুর্শিদাবাদের মাটিতে পা দেবেন, এলাকার মানুষদের একত্রিত করে তাঁদের ঘেরাও করে বিক্ষোভ দেখানো হবে। যতক্ষণ পর্যন্ত না কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব এসে আশ্বাস দেবে ততক্ষণ পর্যন্ত ঘেরাও চলবে।
আখরুজ্জামান আরও বলেন,তাঁর মতে, ভারতবর্ষ যেখানে সাম্য এবং ঐক্যের বার্তা বহন করছে সেখানে দাঁড়িয়ে এই ধরণের ঘটনা বরদাস্ত করা হবে না। তিনি বলেন, বিজেপি শাসিত বিহার, ওড়িশা ,দিল্লি-সহ বিভিন্ন এলাকায় যেভাবে বাংলাভাষী শ্রমিক বা শিল্পীদের উপর বিজেপি আশ্রিত দুষ্কৃতী ও পুলিশের অত্যাচার চলছে, অবিলম্বে তা বন্ধ হওয় উচিত। মন্ত্রীর বক্তব্য, বলতে দ্বিধা নেই এরা লুঙ্গিপরা বাঙালিদেরকে বাংলাদেশি তকমা দিয়ে এইধরণের হেনস্তা করছে।
মন্ত্রী আখরুজ্জামানের দাবি, বিহারের গয়া থেকে তিনি বাংলাদেশি সন্দেহে গৃহবন্দি হওয়া নয় জন পরিযায়ী শ্রমীককে ফিরিয়ে এনেছেন। এ পর্যন্ত প্রায় ১৫ দিনে তিনি পুলিশ প্রশাসনের সহযোগিতায় অত্যাচারের শিকার প্রায় ১৪৬ জন পরিযায়ী শ্রমিককে বিজেপি শাসিত বিভিন্ন রাজ্য থেকে ফিরিয়ে এনেছেন। গয়া থেকে ফিরে আসা শ্রমিকদের দাবি,তাঁরা দীর্ঘ ৯-১০ বছর ধরে বিহারের বিভিন্ন এলাকায় রাজমিস্ত্রির কাজ করছিলেন। কোনওদিন তাঁদের সঙ্গে এই ধরণের ঘটনা ঘটেনি। কিন্তু হঠাৎই দিন পাঁচেক আগে রাতের অন্ধকারে তাঁদের আস্তানায় একদল দুষ্কৃতী ঢুকে তাদেরকে বাংলাদেশি তকমা দেয় এবং আশ্রাব্য ভাষায় গালিগালাজ করে। এর পাশাপাশি পুলিশ এসে শ্রমিকদের মোবাইল বাজেয়াপ্ত করে একপ্রকার গৃহবন্দি করে রাখে। এরপর অন্য একজনের মোবাইল ফোন ব্যবহার করে তারা পরিবার ও মন্ত্রী আখরুজ্জামানের সঙ্গে যোগাযোগ করলে ফিরিয়ে আনার ব্যবস্থা করা হয়। রবিবার ফিরে আসা পরিযায়ী শ্রমিকদের সঙ্গে নিয়ে এই বিষয়ে বিস্তারিত জানান রাজ্যেরবিদ্যুৎ প্রতিমন্ত্রী আখরুজ্জামান।
রিপোর্টারঃ সব্যসাচী বন্দ্যোপাধ্যায়