লাভপুরের হাতিয়া গ্রামে বোমা বিস্ফোরণের ঘটনায় তৃণমূলের পঞ্চায়েত সদস্যের ছেলেকে গ্রেফতার করল পুলিশ। বিস্ফোরণে ক্ষতবিক্ষত হয়েছে অভিযুক্ত। ১৯ বছরের মহম্মদ কাইফকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। যদিও বাবা, তৃণমূল পঞ্চায়েত সদস্য শেখ আবসারের অবশ্য দাবি ছেলে নির্দোষ। বীরভূমের লাভপুরের হাতিয়া গ্রামে বোমা বাঁধতে গিয়ে বিস্ফোরণের ঘটনায় মৃত্যু হয় ২ জনের।
গত ২১ জুন লাভপুরের হাতিয়া গ্রামে দুই গোষ্ঠী সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে। সেখানেই বোমা বাঁধতে গিয়ে বিস্ফোরণ ঘটে। এই বিস্ফোরণের ঘটনায় দু’জনের মৃত্যু হয়। তিন জন আহত হন। তাদের মধ্যে কাইফও ছিল বলে পুলিশ জানায়। বিস্ফোরণ কাণ্ডে দু’জনকে গ্রেপ্তার করেছিল পুলিশ। কাইফের খোঁজেও তল্লাশি চালাচ্ছিল পুলিশ।
অভিযুক্তের বাড়ি হাতিয়া গ্রামে। পুলিশ সূত্রে জানা যায়, ঘটনার পর থেকেই হাসপাতাল ও স্বাস্থ্য কেন্দ্রগুলিতে নজর রাখছিল পুলিশ। কারণ বিস্ফোরণের পর থেকে ওই এলাকার অভিযুক্তরা বিভিন্ন জায়গায় চিকিৎসার জন্য ঘুরে বেড়াচ্ছিল বা হাসপাতালে ভর্তি ছিল। পুলিশের নজর ছিল বোলপুর মহকুমা হাসপাতালেও। গতকাল সন্ধ্যায় বোলপুর মহকুমা হাসপাতাল থেকে চিকিৎসা করিয়ে বেরোনোর সময়েই পুলিশ হাসপাতালের বাইরে থেকে গ্রেপ্তার করে কাইফকে। এই ঘটনায় বাকি অভিযুক্তদের খোঁজে তল্লাশি জারি রয়েছে পুলিশের।
তার বাবা শেখ আবসার, তৃণমূলের পঞ্চায়েত সদস্য বলে জানা গিয়েছে। পুলিশ সূত্রে খবর, বিস্ফোরণের পর বিভিন্ন জায়গায় চিকিৎসার জন্য ঘুরে বেড়াচ্ছিল সে। সন্ধ্যায় বোলপুর মহকুমা হাসপাতাল থেকে বেরোনোর সময়, গোপন খবরের ভিত্তিতে পুলিশ তাকে হাসপাতালের বাইরে থেকে গ্রেফতার করে।
ওই যুবকের মুখে ও শরীরে বিস্ফোরণের আঘাতে গুরুতর পোড়ার চিহ্ন রয়েছে। পুলিশ তিন দিনের হেফাজতের আবেদন জানাবে বলে জানা গিয়েছে। এই ঘটনায় আরও অভিযুক্তদের খোঁজে তল্লাশি চালাচ্ছে লাভপুর থানার পুলিশ। তবে অভিযুক্ত যুবকের বাবা শেখ আবসার দাবি করেন, 'মাঠে গরুর টাঙা নিয়ে ফেরার সময় দুষ্কৃতীরা বোমাবাজি করছিল। সেই সময় বিস্ফোরণ হলে বোমার পাথর ও আগুন এসে গায়ে লাগে ছেলের। আমার ছেলে সম্পূর্ণ নির্দোষ।'