এসআইআর আতঙ্কে মৃত্যু?এসআইআর আতঙ্কে আরও একটা 'আত্মহত্যা'! এবার ঘটনাস্থল ভাঙড়। মৃতের নাম রফিক গাজি। পরিজনদের অভিযোগ, এসআইআর আতঙ্কে আত্মঘাতী হয়েছেন রফিক। ঘটনাস্থলে পুলিশ গিয়ে দেহটি উদ্ধার করে। পৌঁছন তৃণমূল বিধায়ক শওকত মোল্লাও।
ভাঙড়ের কাশীপুরের জয়পুরের বাসিন্দা রফিক গাজি। বুধবার সকালে ঘর থেকে উদ্ধার হয় তাঁর ঝুলন্ত দেহ। পুলিশ দেহটি উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য পাঠিয়েছে। মৃতের পরিজনদের সঙ্গে দেখা করে পাশে থাকার আশ্বাস দিয়েছেন তৃণমূল বিধায়ক শওকত মোল্লা। পরিজনদের অভিযোগ, অনেকদিন ধরেই এসআইআর নিয়ে আতঙ্কে ছিলেন রফিক গাজি। রাজ্যে এসআইআর চালু হওয়ার পর আরও ভেয়ে যান। সেই ভয়েই আত্মহত্যার সিদ্ধান্ত। বিধায়ক শওকত মোল্লাও জানান, এসআইআর নিয়ে উদ্বেগে ছিলেন রফিক।
ভাঙড়ে শ্বশুরবাড়িতে থাকতেন রফিক। তাঁর আসল বাড়ি উত্তর ২৪ পরগনায়। মৃতের স্ত্রীর বক্তব্য, কয়েকদিন ধরেই আতঙ্কে ভুগছিলেন স্বামী। কথা বলা বন্ধ করে দিয়েছিলেন। খাওয়াদাওয়াও তেমন করতেন না। কাগজপত্র নিয়ে বসতেন। বলতেন, সব কাগজ নেই। তিনি বলেন,'আমাকে খালি বলত সব কাগজ তো নেই। আমাকে এখান থেকে বের করে দেবে'।
স্ত্রীই জানালেন, মঙ্গলবার খাওয়াদাওয়া করে ঘুমোতে গিয়েছিলেন। বুধবার সকালে তিনি ও ছেলে কাজে বেরিয়ে যান। সকালে উদ্ধার হয় রফিকের ঝুলন্ত দেহ।
শওকত মোল্লা জানান,'আমি জেনেছি ওঁর বাবা-মার বৈধ কাগজপত্র আছে। ওঁর নিজের নেই। জমিজায়গার দলিলও নেই। সেই হতাশা থেকে এই ঘটনা'।