পঞ্চায়েত নির্বাচনের মনোনয়ন জমাকে কেন্দ্র করে আজও উত্তপ্ত ভাঙড়। গতকাল উত্তপ্ত হয়েছিল ভাঙড় ১ নম্বর ব্লকে। আর আজ বুধবার উত্তেজনা ছড়াল ভাঙড় ১ নম্বর ব্লকে। তৃণমূলের মিছিল থেকে বোমাবাজির অভিযোগ উঠেছে। পুলিশের গাড়ি-সহ বেশ কয়েকটি গাড়িতে ভাঙচুর চালানো হয়েছে বলে অভিযোগ। আইএসএফ-র অভিযোগ, তাদের প্রার্থীরা যাতে মনোনয়ন জমা দিতে না পারে সেই জন্যই হামলা চালিয়েছে তৃণমূল। যদিও তৃণমূল নেতারা সেই অভিযোগ অস্বীকার করেছেন।
গতকালের ঘটনার শিক্ষা নিয়ে বুধবার সকাল থেকেই নিরাপত্তার চাদরে মুড়ে ফেলা হয়েছিল ভাঙড় ১ ব্লক। বাসন্তী হাইওয়েতে মোতায়েন করা হয়েছিল বিশাল পুলিশবাহিনী। এর মধ্যেই ভাঙড় ১ নম্বর ব্লকের তৃণমূল নেতা শাজাহান মোল্লার নেতৃত্বে শুরু হয় মিছিল করে মনোনয়ন জমা দিতে যাওয়া। তাতে বহু কর্মী-সমর্থক অংশ নেন। বাঁশ ও লাঠি হাতেও অনেকজনকে দেখা যায়। অভিযোগ, ওই মিছিল থেকেই প্রকাশ্যেই ভাঙড়ের বিধায়ক নৌশদ সিদ্দিকির পিঠের চামড়া তোলার হুঁশিয়ারি দেওয়া হয়। এছাডা়ও, সেই মিছিল থেকেই আইএসএফ কর্মীদের লক্ষ্য করে বোমা ছোড়া হয়। ভাঙচুর করা হয় গাড়ি। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে গিয়ে পুলিশ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।
পঞ্চায়েত ভোটের (Panchayat Vote 2023) মনোনয়ন জমাকে কেন্দ্র করে গত কয়েকদিন ধরে রণক্ষেত্রের চেহারা নিয়েছে রাজ্যের বিভিন্ন এলাকা। গতকাল কার্যত যুদ্ধক্ষেত্রে পরিণত হয়েছিল ভাঙড়। মুড়িমুড়কির মতো বোমাবাজি হয়েছে বলে অভিযোগ। মনোনয়ন পর্ব চলাকালীন ভাঙড়ে অশান্তি হয়। ভাঙড় ২ নম্বর ব্লকের বিডিও অফিসের অদূরে পুলিশকে লক্ষ্য করে পড়ে বোমা। ১৪৪ ধারা উপেক্ষা করেই শতাধিক বোমা পড়েছে বলে অভিযোগ। সেইসঙ্গে ৭ রাউন্ড গুলিও চলেছে বলে দাবি করা হয়েছে। এই ঘটনায় এক পুলিশ কর্মীর আহত হওয়ার খবরও সামনে এসেছে।
গোটা ঘটনায়ে জেলার এসপি ও ডিএমকে দ্রুত ব্যবস্থা নিতে নির্দেশ দিয়েছে রাজ্য নির্বাচন কমিশন। আজ একেবারে থমথমে ভাঙড় ২ নম্বর ব্লক। প্রচুর সংখ্যক পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। এলাকায় রয়েছেন এডিজি দক্ষিণবঙ্গ সিদ্ধনাথ গুপ্তা-সহ শীর্ষ পুলিশকর্তারা।