Barasat News: ভাড়াবাড়িতে কম্বলে জড়ানো মহিলার পচাগলা দেহ, বারাসতে হাড়হিম ঘটনা

সূত্র মারফত খবর, মৃতদেহের মুখ ও দুটি হাত কিছু দিয়ে পোড়ানো হয়েছে। ঘটনাস্থল থেকে বারাসাত থানার পুলিশ দেহটি উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য বারাসাত মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালে পাঠায়।

Advertisement
 ভাড়াবাড়িতে কম্বলে জড়ানো মহিলার পচাগলা দেহ, বারাসতে হাড়হিম ঘটনাভাড়াবাড়িতে কম্বলে জড়ানো মহিলার পচাগলা দেহ

উত্তর চব্বিশ পরগনার বারাসাতের ২৮ নম্বর ওয়ার্ডে অশ্বিনীপল্লী খালপার সংলগ্ন এলাকায় মহিলার দেহ উদ্ধারের ঘটনায় চাঞ্চল্য ছড়াল।  এলাকার বাসিন্দাদের সূত্রে  জানা যাচ্ছে ২-১ দিন ধরে একটি ভাড়াবাড়ির  থেকে বিকট গন্ধ আসছিল। সেই গন্ধের পরিমাণ বাড়তেই এলাকার লোকজন  বাড়ির মালিককে খবর দেন।  বাড়ির মালিক দ্রুত  বাড়িতে আসেন এবং সেই ভাড়া বাড়ির দরজা বন্ধ অবস্থায় দেখতে পান। একাধিকবার বাইরে থেকে ডাকাডাকি সত্ত্বেও ঘরের মধ্যে থেকে কেউ কোনও সাড়াশব্দ দিচ্ছিলেন না। তৎক্ষণাৎ বাড়ির মালিক খবর দেন পার্শ্ববর্তী পার্টি অফিসে। সেখান থেকে খবর যায় বারাসাত থানায়। বারাসাত থানার পুলিশ এসে  দরজা খুলে ভিতরে ঢুকতেই দেখতে পায় কম্বল চাপা দেওয়া একটি দেহ খাটের উপর রয়েছে। কম্বল সরাতেই দেখা যায় এক মহিলার মৃতদেহ। 

সূত্র মারফত খবর, মৃতদেহের মুখ ও দুটি হাত কিছু দিয়ে পোড়ানো হয়েছে। ঘটনাস্থল থেকে বারাসাত থানার পুলিশ দেহটি উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য বারাসাত মেডিক্যাল কলেজ  ও হাসপাতালে পাঠায়।  বাড়ির মালিক জানান, এই বাড়িতে এক মাস ধরে স্বামী-স্ত্রী ভাড়া থাকতেন। স্বামী বিজু সাহা পেশায় বাসচালক বলে জানা গিয়েছে।  স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে প্রায়ই ঝগড়া অশান্তি বেধে থাকত। ঘটনা প্রকাশ্যে আসার দিন কয়েক আগে থেকেই স্বামী বিজু সাহাকে এলাকার মানুষ দেখতে পাননি। গোটা ঘটনার তদন্ত চালাচ্ছে বারাসাত থানার পুলিশ। আত্মহত্যা না খুন গোটা বিষয়টি খতিয়ে দেখছে বারাসাত থানার  পুলিশ ।

প্রাথমিক ময়নাতদন্তের পর পুলিশের অনুমান শ্বাসরোধ করে সেই মহিলাকে খুন করা হয়েছে।  স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে প্রায়ই ঝগড়া, অশান্তি লেগে থাকত বলে জানান প্রতিবেশীরা। বারাসত থানার পুলিশ জানিয়েছে, কী কারণে ওই মহিলার মৃত্যু হয়েছে তা ময়নাতদন্তের পরে জানা যাবে।


রিপোর্টারঃ দীপক দেবনাথ
 

POST A COMMENT
Advertisement