কালীপুজোর উদ্বোধনে গিয়ে বিক্ষোভের মুখে পড়তে হল বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীকে। রায়দিঘিতে পুজোর উদ্বোধন করতে যাওয়ার সময় মন্দিরবাজারে বিক্ষোভের মুখে পড়েন নন্দীগ্রামের বিজেপি বিধায়ক। বিরোধী দলনেতাকে 'গো ব্যাক' স্লোগান দিতে দেখা যায় মহিলাদের।
দক্ষিণ ২৪ পরগনার রায়দিঘি ঢোকার মুখে বিক্ষোভ দেখান হয় বিরোধী দলনেতাকে। কেন্দ্রীয় বঞ্চনার অভিযোগ তুলে বিরোধী দলনেতার গাড়ি আটকে দেন এলাকাবাসীর একাংশ। এমনকি পাথরপ্রতিমায় যাওয়ার পথেও বিক্ষোভ দেখানো হয় তাঁকে। বিরোধী দলনেতার গাড়িতে রীতিমতো চাপড় মেরে প্রতিবাদ জানানো হয়। এ দিন, কালীপুজোর উদ্বোধনে দক্ষিণ ২৪ পরগনার একাধিক জায়গায় যাচ্ছিলেন শুভেন্দু অধিকারী। সেই সময় জায়গায়-জায়গায় তাঁকে ঘিরে বিক্ষোভ দেখানো হয়। প্ল্যাকার্ড হাতে এগিয়ে আসেন মহিলারাও। এক মহিলা বলেন, 'আমরা সাধারণ মানুষ হিসাবে এসেছি। ওঁর কাছে জবাব চাইছি কেন একশো দিনের টাকা বন্ধ করা হয়েছে, কেন আবাস যোজনার টাকা বন্ধ করা হয়েছে?' যদিও তৃণমূল নেত্রী রেখা কাজির নেতৃত্বে বিক্ষোভের অভিযোগ উঠেছে।
রায়দিঘিতে পুজোর উদ্বোধন গিয়ে শুভেন্দু বলেন, 'আমাকে আজকে রাস্তার উপরে আটকানোর চেষ্টা হচ্ছে। গাড়ির সামনে দাঁড়িয়ে, আমার গাড়িতে এসে ধাক্কা মারছে। আজকে আমি ধর্ম পালন করতে এসেছি। আমি আজকে বিজেপি করতে আসিনি। হিন্দুধর্ম পালন করতে এসেছি। মায়ের দর্শন করতে এসেছি, বাধা দিচ্ছে কারা?' তিনি আরও বলেন,' আমার গাড়িতে তো হামলা নয়, আমার উপর হামলা হয়েছে। আমি গাড়ির ভিতরে ছিলাম বলে কিছু হয়নি... এরা বর্বর।’ বিরোধী দলেনাতর বক্তব্য, ‘ধর্মপালন করতে বাধা দিচ্ছে আমাকে। দুই জায়গায় আটকানোর চেষ্টা করেছে। কিন্তু পারবে না।’
শুভেন্দু বলেছেন, 'এটা একটা প্রীতিপূর্ণ অনুষ্ঠান। সব হিন্দুরা এসেছেন অনুষ্ঠানে। আমি হিন্দু হিসাবে এসেছি। পার্টিতে ভোট দাও একথা বলতে আসিনি। দলের ঝান্ডা নিয়ে আসিনি। আমায় রাস্তার উপর আটকানো চেষ্টা করছে। গাড়িতে ধাক্কা মারছে। গাড়ির সামনে দাঁড়িয়ে পড়ছে। আমি ধর্ম পালন করতে এসেছি। আমি আজ বিজেপি করতে আসিনি। আমি হিন্দু ধর্ম পালন করতে এসেছিলাম। মায়ের দর্শণ করতে এসেছি। অনুপ্রবেশকারীরা এখানে প্রবেশ করে গণতন্ত্র বিগড়ে দিচ্ছে। ফলে আমাদের এই জেলায় যাঁরা আপনারা এই জেলার আদি বাসী, অর্থাৎ যাঁরা আপনারা অবিভক্ত এবং বিভক্ত জেলায় বসবাস করতেন, আপনারা নিজেদের ধর্মপালন ও সাংস্কৃতিক মেলবন্ধন সঠিকভাবে করতে পারছেন না। যাঁদের অর্থ রয়েছে, জমি জলের দরে বিক্রি করে সোনারপুর, বারুইপুর, কলকাতায় চলে যেতে বাধ্য হচ্ছেন। কার্যত বাংলাদেশে যে ভাবে হিন্দুদের সংখ্যা কমছে, হিন্দুরা হারিয়ে যাওয়ার পথে। আজ পশ্চিমবঙ্গ তো বটেই, সব থেকে বেশি করে দক্ষিণ ২৪ পরগনায় বেশি করে হচ্ছে। আমি এখনও বলব যে সকল হিন্দুরা তৃণমূল বা সিপিএম করছেন, বলব ভাবুন আপনাদের অবস্থাও প্রবীর মণ্ডলের মতো হবে।'