পুজো মিটতেই বাংলায় চলছে SIR তোরজোর। নির্বাচন কমিশন বারবার সেই প্রস্তুতি খতিয়ে দেখছে। যে কোনও দিনই ঘোষণা হতে পারে SIR-এর দিন। আর এমন পরিস্থিতিতেই SIR নিয়ে মুখ খুললেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। তাঁর মতে, ঠিক ঠাক SIR হলে ১ কোটিরও বেশি নাম বাদ যেতে পারে ভোটার লিস্ট থেকে।
এ দিন বিধানসভার বাইরে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে তিনি বলেন, 'বিহারে সরকার সাহায্য করেছে। রাজনৈতিক দলগুলিও কাজ করেছে। ফলে সেখানে ১০০ শতাংশ সফল হয়েছে (SIR)। এখানে বিস্তির্ণ এলাকায় সন্ত্রাস আছে। রাজনৈতিক সন্ত্রাস এবং ধর্মীয় সন্ত্রাস। এখানে একটা বিশেষ সম্প্রদায়ের লোককে লেলিয়ে দেওয়া হয়। জেপি নাড্ডা থেকে শুরু করে খগেন মুর্মু পর্যন্ত। আর সেখানে রাজনৈতিক দলের কর্মীরা সব BLO-দের সঙ্গে থাকতে পারবে কি না, এ আশঙ্কা রয়েছে। BLO-রা নির্ভয়ে প্রাণ বাঁচিয়ে, বিহারের মতো SIR করতে পারবে কি না, সেটা আশঙ্কা আছে।'
বিরাট দাবি শুভেন্দুর
SIR-এ কত নাম বাদ যেতে পারে সেই প্রসঙ্গে শুভেন্দু বলেন, '...আমি বলব, সঠিক এসআইআর হলে গত ১০-১২ বছরে বাংলাদেশের মুসলমান যে ভাবে ঢুকেছে, কাঁটাতারের বেড়া না থাকার ফলে, তাতে ১ কোটির বেশি নাম বাদ যাওয়া উচিত। আমরা আশা করব ইলেকশন কমিশন এই চ্যালেঞ্জে উতরে কাজ করবেন।'
পাশে থাকবে বিজেপি
এই সময় বিজেপি সারা বাংলাতেই কাজ করবে বলে জানালেন শুভেন্দু। তিনি বলেন, 'আমাদের মুসলিম বুথগুলিতে কর্মী নেই। কোথাও কর্মীরা প্রাণ দিয়ে দিক সেটা চাইব না। তার বাইরেও কী কী করা যায়, সেটা আমরা করব। এসআইআর চলাকালীন আমাদের দৃষ্টি থাকবে। আমাদের প্রায়োরিটি হবে এটা।'
তাহলে রাজনৈতিক প্রভাব পড়বে?
এই বিষয়ে শুভেন্দু বলেন, 'আমাদের তো গ্যাপ নেই। লাস্ট লোকসভাতে তৃণমূলের সংখ্যা ধরেই যদি বলি ২ কোটি ৭৫, ২ কোটি ৩৩। গ্যাপ ৪২ লক্ষ। ডায়মন্ডহারবার মডেল, কেশপুর মডেল দেখার পরও আমাদের সঙ্গে গ্যাপ মাত্র ২১, ২২ লক্ষ...' অর্থাৎ সোজা ভাষায় SIR-এর ফায়দা যে বিজেপি ঘরে তুলবে, সেটাই বোঝালেন তিনি।
এছাড়া এ দিন সাংবাদিকের সামনে উপস্থিত হয়ে খনেগ মুর্মুর ঘটনা নিয়েও তিনি রাজ্য সরকারকে বেঁধেন। তাঁর মতে, এই সরকার কোনও ব্যবস্থাই নেয়নি এখনও। ও দিকে ত্রিপুরার মতো ছোট রাজ্যেও তৃণমূলের প্রতিনিধিরা নির্বিঘ্নে ঘুরতে পেরেছেন বলে। অর্থাৎ আইনশৃঙ্খলা রক্ষার বিষয়ে বিজেপিশাসিত রাজ্যগুলি অনেকটাই এগিয়ে রয়েছে বলেই তার মত।