Raiganj: জলপাইগুড়িতে বৃষ্টিতে ভাঙল দেওয়াল, চাপা পড়ে মৃত্যু একই বাড়ির ২ দুধের শিশুর

গত কয়েক সপ্তাহে ধারাবাহিক বৃষ্টির কারণে বাড়ির অবস্থা বেহাল হয়েছিল। প্রবল বৃষ্টিতে ঘরের দেওয়াল চাপা পড়ে মর্মান্তিকভাবে প্রাণ হারাল দুই দুধের শিশু। মঙ্গলবার গভীর রাতে দুর্ঘটনাটি ঘটে রাজগঞ্জের সাহুডাঙ্গি এলাকার পাঘালু পাড়ায়। ঘটনায় গোটা এলাকায় নেমে এসেছে শোকের ছায়া ও চাঞ্চল্য।

Advertisement
জলপাইগুড়িতে বৃষ্টিতে ভাঙল দেওয়াল, চাপা পড়ে মৃত্যু একই বাড়ির ২ দুধের শিশুরদেওয়াল চাপা পড়ে ২ শিশুর মৃ্ত্যু।-ফাইল ছবি
হাইলাইটস
  • গত কয়েক সপ্তাহে ধারাবাহিক বৃষ্টির কারণে বাড়ির অবস্থা বেহাল হয়েছিল।
  • প্রবল বৃষ্টিতে ঘরের দেওয়াল চাপা পড়ে মর্মান্তিকভাবে প্রাণ হারাল দুই দুধের শিশু।

গত কয়েক সপ্তাহে ধারাবাহিক বৃষ্টির কারণে বাড়ির অবস্থা বেহাল হয়েছিল। প্রবল বৃষ্টিতে ঘরের দেওয়াল চাপা পড়ে মর্মান্তিকভাবে প্রাণ হারাল দুই দুধের শিশু। মঙ্গলবার গভীর রাতে দুর্ঘটনাটি ঘটে রাজগঞ্জের সাহুডাঙ্গি এলাকার পাঘালু পাড়ায়। ঘটনায় গোটা এলাকায় নেমে এসেছে শোকের ছায়া ও চাঞ্চল্য।

স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, সন্ধ্যা থেকেই এলাকায় ভারী বৃষ্টি শুরু হয়। সেই সময় ঘরের ভেতর ঘুমিয়ে ছিল দুই শিশু। রাতের বৃষ্টির মাঝেই হঠাৎ ঘরের এক পাশের দেওয়াল ধসে পড়ে শিশু দুজনের ওপর। প্রচণ্ড আঘাতে তারা গুরুতর জখম হয়। পরিবারের সদস্যরা দ্রুত তাদের উদ্ধার করে শিলিগুড়ি জেলা হাসপাতালে নিয়ে যান। তবে কর্তব্যরত চিকিৎসকরা পরীক্ষা করে দুজনকেই মৃত ঘোষণা করেন।

অকালে দুই সন্তানের মৃত্যুতে ভেঙে পড়েছে পরিবার। মুহূর্তে স্তব্ধ হয়ে যায় পাড়ার পরিবেশ। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছায় ভোরের আলো থানার পুলিশ। প্রাথমিক তদন্তে অনুমান, টানা বৃষ্টির জেরে দেওয়ালের গঠন দুর্বল হয়ে পড়ায় এই দুর্ঘটনা ঘটেছে। পুলিশ ইতিমধ্যেই ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে এবং স্থানীয়দের সতর্ক থাকার পরামর্শ দিয়েছে, বিশেষত পুরনো ও জীর্ণ বাড়িতে বসবাসকারীদের জন্য।

উল্লেখ্য, গত কয়েক বছরের তুলনায় এ বছর রাজ্যে বৃষ্টির পরিমাণ বেরেছে। তাতে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে পুরনো বাড়িগুলিও। কলকাতাতেও একাধিক পুরোনো বাড়ি ধসে পড়েছে। সম্প্রতি, কাঁকুড়গাছির ঘোষবাগান এলাকার একটি পুরনো বাড়ি ভেঙে পড়ে। স্থানীয় সূত্রে খবর, বাড়িটির বয়স বর্তমানে ২০০ বছর। গত কয়েক সপ্তাহে ধারাবাহিক বৃষ্টির কারণে বাড়ির অবস্থা বেহাল হয়েছিল। ঘটনায় গুরুতর আহত হন এক বৃদ্ধা ও দুই শিশু।

 

TAGS:
POST A COMMENT
Advertisement