Maheshtala: রাস্তায় জমা জল ভেবে পুকুরে পা, মহেশতলায় তলিয়ে গিয়ে মৃত্যু ডেলিভারি বয়ের

মহেশতলায় ওষুধ ডেলিভারি করতে গিয়ে মর্মান্তিক পরিণতি এক যুবকের। রাস্তায় জমা জল ভেবে পুকুরে পা দিতেই তলিয়ে যান তিনি। পরবর্তীতে পুকুরে তাঁর দেহ ভেসে থাকতে দেখেন স্থানীয়রা।

Advertisement
রাস্তায় জমা জল ভেবে পুকুরে পা, মহেশতলায় তলিয়ে গিয়ে মৃত্যু ডেলিভারি বয়েরমৃত রাজেশ ঘোষ
হাইলাইটস
  • মহেশতলায় পুকুর থেকে উদ্ধার ডেলিভারি বয়ের দেহ
  • রাস্তায় জমা জল ভেবে পুকুর পা দিতেই তলিয়ে যান
  • ওষুধ ডেলিভারি করতে গিয়েছিলেন তিনি

মহেশতলায় মর্মান্তিক ঘটনা। ডেলিভারি করতে গিয়ে পুকুরকে পড়ে মৃত্যু হল এক যুবকের। মৃতের নাম রাজেশ ঘোষ (২৮)। সোমবার থেকে রাতভর নিখোঁজ থাকার পর মঙ্গলবার রাতে একটি পুকুরে তাঁর দেহ ভেসে ওঠে। ঘটনাটি ঘটেছে মহেশতলা পুরসভার ২০ নম্বর ওয়ার্ডের পূর্ব মণ্ডলপাড়া এলাকায়। প্রাথমিক তদন্তে পুলিশের অনুমান, প্রবল বৃষ্টিতে এলাকায় জল জমে ছিল। ডুবে ছিল রাস্তাঘাট। পুকুরকে জমা জলের অংশ ভেবে পা দিতেই পড়ে যায় ওই ডেলিভারি বয়। সাঁতার না জানায় জলে ডুবেই মৃত্যু হয়েছে তাঁর। 

পরিবার সূত্রে জানা যায়, ওই ডেলিভারি বয় দীর্ঘ ৫ বছর ধরে ওষুধ ডেলিভারির কাজ করতেন। সোমবার সকালবেলা বাড়ি থেকে বেরিয়েছিলেন ওষুধ ডেলিভারি করতে জন্য। রাতে বাড়ি না ফেরায় হন্যে হয়ে খোঁজাখুঁজি করে পরিবারের লোকজন। এরপর তারা মহেশতলা থানায় নিখোঁজ ডায়েরি করেন। মঙ্গলবার বিকেলে আক্রার পূর্ব মণ্ডলপাড়ার একটি পরিত্যাক্ত পুকুরে এক যুবকের দেহ  ভেসে থাকতে দেখে এলাকার লোকজন। তড়িঘড়ি খবর দেওয়া হয় পুলিশে। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছয় মহেশতলা থানার পুলিশ। দেহ উদ্ধার করে বেহালার বিদ্যাসাগর হাসপাতালে পাঠালে চিকিৎসকেরা মৃত বলে ঘোষণা করে। যুবকের পকেট থেকেই উদ্ধার হয় মোবাইল ফোন ও ব্যাগ। পাওয়া যায় একটি সাইকেলও। এই সাইকেলে চেপেই সে বাড়ি বাড়ি ওষুধ ডেলিভারি করত বলে খবর। 

জানা গিয়েছে,যুবকের বাড়ি ১৬ নম্বর ওয়ার্ডের মোল্লার গেট গভর্নর কলোনির ব্লক এ-তে। মৃত্যুর কারণ সম্পরকে এখনও সঠিক ভাবে পুলিশের তরফে কিছু জানানো হয়নি। ইতিমধ্যেই তদন্ত শুরু করেছে মহেশতলার পুলিশ। গতকাল সন্ধ্যায় মৃত রাজেশর পরিবারের সঙ্গে দেখা করেন মহেশতলা পুরসভার ১৭ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর তথা ১৬ নম্বর ওয়ার্ডের পর্যবেক্ষক শুভাশিষ দাস।

এদিকে, পরিবারের অভিযোগ, এলাকা বৃষ্টিতে জলমগ্ন। বৃষ্টি থেমে গেলেও জমা জল নামে না। রাস্তাঘাট, ফুটপাথ, পুকুর সব জলে একাকার হয়ে যায়। রাস্তা দিয়ে যাওয়ার সময়ে ফারাক করা মুশকিল হয়ে যায়। আর সে কারণেই অন্ধকারে সাইকেল নিয়ে যাওয়ার সময়ে সম্ভবত পুকুর আর জমা জলের মধ্যে তফাৎ করতে পারেনি রাজেশ। 

Advertisement

 

POST A COMMENT
Advertisement