ফের গণধর্ষণের অভিযোগ পশ্চিমবঙ্গে। আবারও ঘটনাস্থল সেই মুর্শিদাবাদ। এই নিয়ে পরপর দুই বার গণধর্ষণের ঘটনা ঘটল মুর্শিদাবাদে।
বর্তমানে অষ্টম শ্রেণির এক ছাত্রীকে গণধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে। বালিকা তালিবপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের পূর্বগ্রাম দক্ষিণ পাড়ার অধিবাসী।
মুর্শিদাবাদের সালার ক্যানেলের পাশেই এই গণধর্ষণের ঘটনা ঘটেছে বলে জানা গিয়েছে। পুলিশে FIR দায়ের হয়েছে ৫ জনের বিরুদ্ধে।
আর অভিযোগ পাওয়ার পরই নড়েচড়ে বসেছে পুলিশ। তাদের তরফে ইতিমধ্যেই ২ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। আর ৩ জনকে খুঁজতে চলছে তল্লাশি। এলাকায় জিজ্ঞাসাবাদও করা হচ্ছে। তবে এখনও তাদের ধরা যায়নি।
কী হয়েছিল?
বন্ধুর সঙ্গে রেস্তোরাঁয় খাবার খেয়ে বাড়ি ফিরছিল সেই বালিকা। আর তখনই বিপত্তি। ফেরার পথে ৫ ব্যক্তি খালের ধারে ওই বালিকার পথ আটকে ধরে। তারা বালিকার সঙ্গে থাকা ছেলেটিকে বেধড়ক মার মারে। জখম হয় সেই বালক। তার পর গণধর্ষণ করা হয় সেই বালিকাকে বলে অভিযোগ।
মার খাওয়ার পর সেই বালক সেখান থেকে পালায়। তার পর বালিকার বাড়িতে গিয়ে খবর দেয়। খবর পাওয়ার পরই বাড়ির লোক পুলিশে অভিযোগ জানায়। অভিযোগ পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছে যায় পুলিশ। তারা গিয়েই উদ্ধার করে বালিকাকে।
আপাতত সালার পুলিশের পক্ষ থেকে তদন্ত চলছে। পাশাপাশি অভিযুক্তদের খোঁজে চালানো হচ্ছে তল্লাশি। যদিও এখনও পুলিশের পক্ষ থেকে তদন্ত নিয়ে মুখ খোলা হয়নি।
কিছুদিন আগেই এমন ঘটনা ঘটে
কয়েকদিন আগে মুর্শিদাবাদের বহরমপুরে এক নাবালিকাকে গণধর্ষণের অভিযোগ ওঠে। ঘটনাটি ঘটে নবমীর রাতে দুর্গাপুজোর সময়। মেয়েটি অভিযোগ করে প্রেমিক তাকে প্যান্ডেল ঘোড়ার অজুহাতে একটি নির্জন জায়গায় নিয়ে যায়। সেখানে তাকে গণধর্ষণ করা হয় বলে অভিযোগ। এই ঘটনায় ৩ যুবককে আটক করেছে পুলিশ।
বারবার ঘটছে এই ঘটনা
পশ্চিমবঙ্গে গণধর্ষণের ঘটনা ঘটেই চলেছে। কলকাতা থেকে মুর্শিদাবাদ, সর্বত্রই এই নিকৃষ্ট অপরাধের অভিযোগ উঠছে। আর এই বিষয়টা নিয়েই বিরোধীরা বারবার তৃণমূল সরকারের দিকে প্রশ্ন তুলছে। তাঁদের মতে, রাজ্যে নারী নিরাপত্তা বলে কিছুই নেই। পুলিশমন্ত্রী তথা মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় তেমন সক্রিয় নন। যার ফলে নিয়মিত ঘটছে এই ধরনের ঘটনা বলে দাবি। তাই বহুদিন ধরেই মুখ্যমন্ত্রীর পদত্যাগ চাইছেন বিরোধীরা।
যদিও এখনও তৃণমূলের তরফে এই বিষয় নিয়ে সরকারিভাবে কিছুই জানানো হয়নি।