সামনে স্টুডিও। আড়ালে চলত নকল আধার কার্ড তৈরি। শিলিগুড়িতে বড়সড় চক্র ফাঁস করল পুলিশ। গ্রেফতার ৭। গোপন সূত্রে খবরের ভিত্তিতে শিলিগুড়ি মেট্রোপলিটন পুলিশের স্পেশাল অপারেশন গ্রুপ (এসওজি), ভক্তিনগর থানার পুলিশ এবং আশিঘর আউটপোস্টের পুলিশ যৌথভাবে অভিযান চালিয়ে এই নকল কার্ড র্যাকেটের হদিশ পায়।
পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, স্পেশাল অপারেশন গ্রুপের এক আধিকারিক ক্রেতা সেজে শিলিগুড়ির ইস্টার্ন বাইপাস সংলগ্ন একটি বহুতলের নিচের ফটো স্টুডিওতে যান। সেখানে আধার কার্ড বানানোর জন্য কয়েক হাজার টাকার বিনিময়ে চুক্তি হয়। টাকা দেওয়ার সময় হাতেনাতে ধরে ফেলে পুলিশ। জানা যায়, দীর্ঘদিন ধরেই স্টুডিওর আড়ালে চলত নকল আধার কার্ড তৈরির কারবার।
ঘটনায় স্টুডিওর মালিক চিত্তরঞ্জন সরকার-সহ মোট সাতজনকে গ্রেফতার করেছে ভক্তিনগর থানার পুলিশ। পুলিশ সূত্রে খবর, দীর্ঘদিন ধরেই স্টুডিওর আড়ালে চলছিল এই জালিয়াতির কারবার। টাকার বিনিময়ে তৈরি করা হত আধার কার্ড।
পুলিশ আধিকারিকরা জানান, ইস্টার্ন বাইপাস সংলগ্ন ঢাকেশ্বরী মন্দির রোড, ফক দইবাড়ি এলাকাতেও অভিযান চলে। এই ব়্যাকেটে থাকা অভিযুক্তদের পাকড়াও করা হয়। ধৃতদের মধ্যে চিত্তরঞ্জন সরকারের পাশাপাশি আরও ছয়জন রয়েছে। স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, ধৃতেরা দীর্ঘদিন ধরেই এলাকায় বসবাস করছিল। তিন-চার বছর ধরেই ওই স্টুডিও চলছিল। এর আগে সম্ভবত অন্য কোথাও দোকান চালাত। তবে স্থানীয়রা জানিয়েছে, এই অবৈধ কার্যকলাপ সম্পর্কে তাঁরা কিছুই জানতেন না।
ঘটনার পর তদন্ত শুরু করেছে ভক্তিনগর থানার পুলিশ। স্টুডিওতে পাওয়া বিভিন্ন নথি ও সরঞ্জাম খতিয়ে দেখা হচ্ছে। কার্ড তৈরির জন্য ব্যবহৃত সফটওয়্যার, প্রিন্টার-সহ অন্যান্য সামগ্রী বাজেয়াপ্ত করেছে পুলিশ। জানা গিয়েছে, অভিযুক্তদের জিজ্ঞাসাবাদ করে এই কারবারের পেছনে আর কারা জড়িত রয়েছে, তা জানার চেষ্টা চলছে। পুলিশের ধারণা, এদের সঙ্গে আরও কেউ বা কোনও বড় চক্র জড়িত থাকতে পারে।
রিপোর্টারঃ উৎপল পোদ্দার