এবার ফুরফুরা শরিফের পিরজাদা আব্বাস সিদ্দিকীর গলায় শোনা গেল 'ভাইপো' কটাক্ষ। বিধানসভা নির্বাচনের আগেই আব্বাস সিদ্দিকী ঘোষণা করেছিলেন নতুন দল ইন্ডিয়ান সেকুলার ফ্রন্ট। এরপরই ভোট রাজনীতি নিয়ে তৃণমূলের সঙ্গে বিরোধভাবে পরোক্ষভাবে। তৃণমূলের অনেক নেতা নাম নিয়ে নিয়ে তোপ দাগেন পিরজাদার বিরুদ্ধে। এবার নির্বাচনের মুখে যখন কয়লাকাণ্ডে নাম জড়াল অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় ও তাঁর পরিবারের, সেই সময়ে কটাক্ষ করতে ছাড়লেন না আব্বাস সিদ্দিকীও।
নাম না করে অভিষেক প্রসঙ্গে আব্বাস সিদ্দিকী বলেন, "আমি আমার ব্যাংকের ব্যাঙ্কের জোর দেখিয়ে বা কোনও ভাইপো-এর কারণে রাজনীতি করতে আসিনি তবে আপনাদের জন্য এসেছি। হিন্দু-মুসলিম বড় বিষয় নয়। আমি দরিদ্র মানুষের জন্য কাজ করতে চাই। সে যে ধর্মের হোক না কেন ।"
এরই মধ্যে আব্বাস সিদ্দিকীর রাজনৈতিক সমাবেশও রয়েছে। যদিও তিনি জানিয়েছেন যে ইন্ডিয়ান সেকুলার ফ্রন্টের সেই সমাবেশের তাঁরা প্রশাসনের সঙ্গে পূর্ণ সহযোগিতা করবেন। তিনি এও জানান যে ২৮ ফেব্রুয়ারির মধ্যে বাম-কংগ্রেসের সঙ্গে আসন রফা ও জোট নিয়ে জট কাটবে। আব্বাস বলেন, "আমি কারুর পক্ষে নই, বিপক্ষেও নই। কাউকে বিশ্বাসঘাতকতা করে ছুড়ি মারার লোকও নই।"
রাজ্যের ক’টি আসনে তিনি প্রার্থী দিতে চলেছেন, তা অবশ্য নির্দিষ্ট করে বলা সম্ভব নয় বলেও আব্বাস জানিয়েছেন। তবে তাঁর দাবি, ‘‘উত্তর ২৪ পরগনা জেলায় ১৮টি বিধানসভায় আমরা কাজ করছি। তার মধ্যে ৮টি বিধানসভায় জোট হোক বা না হোক, আমরা জয়ী হব।’’ বাকি ১০টি আসনের ব্যাপারে কর্মী-সমর্থকদের উদ্দেশে আব্বাস বলেন, ‘‘কোথাও ৭০%, কোথাও ৫০% কাজ হয়েছে। বাকিটার জন্য কংগ্রেস, বাম আছে। সে কারণেই জোট দরকার।’’
এদিকে মুসলিম ভোটের প্রসঙ্গ টেনে আব্বাসকে কটাক্ষ করেছিলেন সিদ্দিকুল্লা। তিনি বলেছিলেন, "পুকুরের সিঁড়িতে নেমে স্নান করার যাঁর ক্ষমতা নেই, তিনি নেমেছেন পুকুরে সাঁতার কাটতে। একটা পঞ্চায়েত নির্বাচনে যিনি জিততে পারবেন না, তিনি নেমেছেন বিধানসভা নির্বাচনে ভোট চাইতে!"