দিনভর অফিসে হাড়ভাঙা খাটুনির পর লোকাল ট্রেনে ভিড়ে গাদাগাদি করে সফর করার দিন শেষ। এবার চালু হতে চলেছে এসি লোকাল ট্রেন। ঠান্ডা হাওয়া খেতে খেতেই এবার বাড়ি ফিরতে পারবেন নিত্যযাত্রীরা। রেল কর্তৃপক্ষের তরফে জানানো হয়েছে, শিয়ালদা এবং রানাঘাটের মধ্যে চলবে এই এসি লোকাল ট্রেন। চেন্নাইয়ের ইন্টিগ্রাল কোচ ফ্যাক্টরি থেকে ইতিমধ্যেই শিয়ালদহ ডিভিশনে পৌঁছেছে সেই ট্রেন। অপেক্ষা কেবল চাকা গড়ানোর। তবে জানেন কি কোন কোন স্টেশনে থামে এই এসি লোকাল?
কোন কোন স্টেশনে থামবে এসি লোকাল?
এসি লোকাল চালানোর প্রস্তুতি প্রায় চূড়ান্ত পর্বে। ট্রায়াল শেষ হয়েছে ইতিমধ্য়েই। তবে এই এসি লোকাল ট্রেন কোন-কোন স্টেশনে থামবে, তা এখনও পর্যন্ত সুনিশ্চিত করা হয়নি।
পূর্ব রেলের জনসংযোগ আধিকারিক জানিয়েছেন, সরকারি ভাবে এখনও স্টপ নিয়ে কোনও চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত হয়নি। যদিও প্রাথমিক ভাবে জানা গিয়েছে, দমদম জংশন, সোদপুর, ব্যারাকপুর থেকে শুরু করে রানাঘাট, কৃষ্ণনগরের যাত্রীরা প্রথম এসি ট্রেনে যাতায়াতের সুযোগ পাবেন। তবে সব স্টেশনে এই ট্রেন নাও দাঁড়াতে পারে। তা নিয়ে এখনও আলোচনা চালাচ্ছে রেল।
রেল সূত্রে খবর, সমস্ত কিছু ঠিকঠাক থাকলে শিয়ালদা এবং বনগাঁর মধ্যে এই এসি লোকাল ট্রেন থামতে পারে দমদম জংশন, দমদম ক্যান্টনমেন্ট, বিরাটি, মধ্যমগ্রাম, বারাসত, বামনগাছি, দত্তপুকুর, বীরা, গুমা, অশোকনগর রোড, হাবরা, মছলন্দপুর, গোবরডাঙা, ঠাকুরনগর এবং চাঁদপাড়াতে।
কোন স্টেশনে ভাড়া কত?
সাধারণ লোকাল ট্রেনের থেকে প্রায় ৬ গুণ বেশি ভাড়া গুনতে হবে যাত্রীদের।
> শিয়ালদা-কৃষ্ণনগর রুটে দমদম পর্যন্ত ভাড়া ২৯ টাকা। মাসিক ভাড়া ৫৯০।
> ব্যারাকপুর যেতে খরচ পড়বে ৬৫। মাসিক ভাড়া ১২১০।
> নৈহাটি পর্যন্ত যেতে গুনতে হবে ৮৫ টাকা। মান্থলি ১৭২০ টাকা।
> রানাঘাট পর্যন্ত ভাড়া ধার্য করা হয়েছে ১১৩ টাকা। মান্থলি ২৩১০ টাকা।
> কৃষ্ণনগর যেতে খরচ হবে ১৩২ টাকা। মান্থলি ২৬৮০ টাকা।
শিয়ালদা-বনগাঁ শাখার ক্ষেত্রে
> হাবড়া যেতে হলে ভাড়া পড়বে ৮৫ টাকা। মাসের হিসাবে ১৭২০ টাকা।
> গোবরডাঙার ভাড়া হবে৯৯ এবং মান্থলি ২০১০ টাকা।
> বনগাঁ যাওয়ার ভাড়া ১১৩ টাকা এবং মাসিক পড়বে ২৩২০ টাকা।