ক্রমশই রাজ্যে আতঙ্ক বাড়াচ্ছে অ্যাডেনো ভাইরাস (Adenomyosis)। ইতিমধ্যেই এই রোগে কয়েকজন শিশুর মৃত্যু হয়েছে বলে অভিযোগ উঠছে। গত ৩ দিনে মৃত্যু হয়েছে ১০ শিশুর। এই পরিস্থিতিতে নবান্নে স্বাস্থ্য সচিবের সঙ্গে জরুরি বৈঠকে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের। করোনা সতর্কীকরণের মত যুদ্ধকালীন তৎপরতায় সমস্ত সরকারি ও বেসরকারি হাসপাতালে বিশেষ ইউনিট খোলা এবং চিকিৎসার প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের নির্দেশ দিয়েছে স্বাস্থ্য দফতর। আগামী ৭ দিন পর্যবেক্ষণের পর সতর্কীকরণের কথা ভাববে সরকার। তবে এখুনি স্কুলের ক্ষেত্রে কোনও নিষেধাজ্ঞা জারি করা হচ্ছে না বলেই জানা যাচ্ছে। প্রকাশ্যে জনবহুল জায়গায় ঘোরা ফেরা,বিনোদন পার্ক,সিনেমা হল ও শপিং মলে যাওয়ার ক্ষেত্রে সাবধানতা নেওয়ার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। এছাড়া পাশাপাশি মুখে মাক্স পরা ও স্যানেটাইজেশান করার জন্যও পরামর্শ দেওয়া হয়েছে অভিভাবকদের।
অ্যাডেনো ভাইরাস থেকে শিশুদের রক্ষা করতে অভিভাবক-অভিভাবিকাদের একগুচ্ছ পরামর্শ দিয়েছেন চিকিৎসকেরা। তাঁদের মতে, বাস-ট্রেন বা ভিড়বহুল জায়গায় মাস্কের ব্যবহার করতে হবে। অ্যান্টিবায়োটিকের যথেচ্ছ ব্যবহার করা যাবে না। অসুস্থ শিশুকে স্কুলে পাঠানও ঠিক নয়। ভাল করে হাত ধোয়া। বড়দের কাশি থাকলে শিশুদের সংস্পর্শে না যাওয়া এবং অনেকসময় মল থেকেও এই ভাইরাস ছড়াতে পারে, তাই মলের ডিসপোজাল সঠিকভাবে করতে হবে।
অ্যাডেনো প্রসঙ্গে চিকিৎসকেরা জানাচ্ছেন, অন্যান্য ভাইরাসের মতো এটিও একটি ভাইরাস। তবে সমস্ত সর্দিকাশি জ্বরই যে অ্যাডেনো ভাইরাস, তা নয়। অ্যাডিনো ভাইরাসের প্রায় ১০০টি স্ট্রেন রয়েছে। এর মধ্যে যে কোনও স্ট্রেনে মানুষ আক্রান্ত হতে পারেন। এক্ষেত্রে ৩ এবং ৭ নম্বর স্ট্রেনটি বেশি দেখা যাচ্ছে। তার মধ্যেও ৭ নম্বর স্ট্রেনটি বেশি মারাত্মক বলে মনে করছেন চিকিৎসকেরা। তাঁরা আরও জানাচ্ছেন, অ্যাডেনো ভাইরাসে আক্রন্ত হলে মূলত ৩ ধরণের বিষয় দেখা যাচ্ছে। কেউ কেউ সাধারণ প্যারাসিটামল, কাফ সিরাপ ইত্যাদি ওষুধে সেরে উঠছে। কাউকে আবার এই ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হচ্ছে, তবে তাদের ইনটেনসিভ কেয়ার লাগছে না। আবার কাউকে কাউকে ইনটেনসিভ কেয়ারে পাঠাতে হচ্ছে। এক্ষেত্রে প্রি ম্যাচিওর বেবি, লো বার্থ ওয়েট বা ঘন ঘন রেসপিরেটারি ট্র্যাক ইনফেকশনে যারা আক্রান্ত হয় তাদেরকেই বেশিরভাগ সময় ইনটেনসিভ কেয়ারে রাখতে হচ্ছে বলে জানাচ্ছেন চিকিৎসকেরা।
আরও পড়ুন - ডায়েটে রাখুন এই ৬ সুপারফুড, দীর্ঘ ও সুস্থ জীবন পাবেনই