Adhir Ranjan Chowdhury: রাজ্যে সভা করার অনুমতি পাননি কংগ্রেস সাংসদ রাহুল গান্ধী। যাত্রার দ্বিতীয় পর্যায়ে শিলিগুড়িতে রাহুল গান্ধীর দু'টি সভা বাতিল করা হয়েছে। এ প্রসঙ্গে প্রদেশ কংগ্রেস সাংসদ তথা কংগ্রেস সভাপতি অধীররঞ্জন চৌধুরী তীব্র ক্ষোভপ্রকাশ করেন। বলেন, "রাহুল গান্ধীর মণিপুর সরকারের ন্যায় যাত্রাকে বাধা দেওয়ার চেষ্টা হয়েছে। অসমেও একই ঘটনা ঘটেছে, বহু পুলিশ সদস্যের ওপর হামলা হয়েছে। অসম সরকারও বাধা সৃষ্টির চেষ্টা করেছিল। সেজন্য সেখানেও অনেক জটিলতার সম্মুখীন হতে হয়েছে, তবুও যাত্রা এগিয়ে গেল। বাংলায় আসার পরেও, গতকাল আমাদের একটি ছোট অনুরোধ ছিল যে শিলিগুড়িতে একটি জনসভার অনুমতি দেওয়া হোক।"
রাজ্যে রাহুলকে বাধা দেওয়া হচ্ছে বলে এই দাবি করেন,"এখানকার প্রশাসন অনুমতি দেয়নি। রাহুল গান্ধীর ন্যায় যাত্রায় অনেক প্রসঙ্গ উঠেছিল। বাংলায় শাসক দলের বিরুদ্ধে জনগণ ঝামেলা সৃষ্টি করলে পুলিশ তাৎক্ষণিক ব্যবস্থা নেয়। রাহুল গান্ধীকে যে ন্যায়বিচার দেওয়া হয়েছে তা গোটা দেশের জন্য। কারও বিরুদ্ধে ও বা কারও পক্ষেও বিরোধিতায় নয়।"
বলেন, "রাহুল ন্যায় যাত্রা মানে দেশে একটা শক্তি আছে যারা দেশ ভাঙতে চায়, দেশে ঘৃণা ছড়াতে চায়। কন্যাকুমারী থেকে কাশ্মীর, এখন মণিপুর থেকে মহারাষ্ট্র, রাহুল গান্ধীজি তার বিরুদ্ধে আওয়াজ তুলেছেন। কন্যাকুমারী থেকে কাশ্মীর যাওয়ার সময় কোনও সমস্যা হয়নি। অনেক জায়গায় ছোটখাটো সমস্যার সম্মুখীন হতে হয়েছে কিন্তু অসম ও মণিপুর এরকম ছিল না। কেন এমন হচ্ছে জানি না। যেখানেই ডবল ইঞ্জিনের সরকার, সেখানেই রাহুল গান্ধীর ভারত জোড়া ন্যায় যাত্রায় বাধা দেওয়ার চেষ্টা চলছে। এটা সবাই জানে।"
প্রসঙ্গত, বৃহস্পতিবারই ভারত জোড়ো ন্যায় যাত্রা নিয়ে বাংলায় প্রবেশ করেছেন রাহুল গান্ধী। তবে দু'দিনের বিরতি নিয়ে কালই তিনি দিল্লি চলে গিয়েছেন। ২৮ জানুয়ারি কোচবিহারের ফালাকাটা থেকে ন্যায় যাত্রা বেরোবে। ময়নাগুড়ি হয়ে তা পৌঁছবে জলপাইগুড়ি শহরে। সেখানকার পিডব্লিউডি মোড় থেকে পদযাত্রা করে রাহুল যাবেন কদমতলা চকে। তার পর আবার জলপাইগুড়ির রাজগঞ্জ ব্লকের ফাটাপুকুর থেকে যাত্রা শুরু হবে। সেখান থেকে সোজা শিলিগুড়ি থারান মোড়। সেখান থেকে গাড়িতে এয়ারভিউ মোড়। সেখানেই রাহুলের সভা হওয়ার কথা ছিল। জানা গিয়েছে, ২৯ তারিখে ইসলামপুর হয়ে বিহার চলে যাবে যাত্রা। এরপর ৩১ জানুয়ারি ফের যাত্রা প্রবেশ করবে বাংলায়। মালদা ও মুর্শিদাবাদে দু'দিন ধরে চলবে মিছিল। তারপর ঝাড়খণ্ড চলে যাবেন রাহুল গান্ধী।