আলু নিয়ে জটিলতা কাটল। আপাতত ধর্মঘট প্রত্যাহার করে নিল বাংলার প্রগতিশীল আলু ব্যবসায়ী সমিতি। পূর্ব বর্ধমানে তাদের বৈঠকের পরই এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। তাদের তরফে জানানো হয়েছে, বুধবার থেকে ফের হিমঘর থেকে আলু বের করা হবে। বৃহস্পতিবার থেকে তা বাজারে যাবে।
প্রাপ্ত তথ্য অনুসারে, এই মুহূর্তে রাজ্যের হিমঘরগুলিতে আলু আছে প্রায় ৯ শতাংশ। যে পরিমাণ আলু মজুত আছে তা থেকে আলু নিয়ে কোনও সঙ্কট হওয়ার কথা নয় বলে মনে করছেন ব্যবসায়ীরা। বৃহস্পতিবার থেকে আলু ফের বাজারে পৌঁছতে শুরু করলে আলুর সঙ্কট কাটবে বলে আশা করা হচ্ছে। দামও কমতে পারে।
আলুর জোগান কম থাকায় পাইকারি ও খুচরো বাজারে আলুর দাম হু হু করে বাড়ছিল। বস্তায় ২০০ টাকা বেশি দামে আলু কিনতে হয়েছে ব্যবসায়ীদের। তাঁদের বেচতেও হয়েছে চড়া দামে।
এত দামে আলু কেনার ফলে সব জায়গায় খোলা বাজারে জ্যোতি আলু বিক্রি হয়েছে ৩৬ টাকা কিলো দরে। চন্দ্রমুখী আলু বিক্রি হয়েছে ৪০ টাকা কেজি দরে। তবে এবার আলুর দাম কিছুটা হলেও কমতে পারে।
ধর্মঘট কেন প্রত্যাহার করা হল? এই বিষয়ে এক সংবাদমাধ্যমকে দেওয়া বিবৃতিতে প্রগতিশীল আলু ব্যবসায়ী সমিতির এক সদস্য জানিয়েছেন, আলুর জোগান বন্ধ হয়ে যাওয়ায় সাধারণ মানুষকে বেশি দামে আলু কিনতে হচ্ছে। সেই কারণে তাঁরা ধর্মঘটের পথ থেকে সরে এসেছেন। সোমবার রাজ্যের কৃষি বিপণন দফতরের মন্ত্রী তাঁদের আশ্বাস দিয়েছেন, আলু রফতানি যে সমস্যা তৈরি হয়েছে তা মেটানো হবে মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে কথা বলে। সেই কারণে আপাতত ধর্মঘটের পথে তাঁরা হাঁটছেন না।