সরকারি কোয়ার্টারে বসে রীতিমতো ভিজিট নিয়ে চুটিয়ে প্রাইভেট প্র্যাকটিস করছেন সরকারি ডাক্তার!চিকিৎসকের বিরুদ্ধে এমন অভিযোগেই সরব খোদ স্থানীয় বাসিন্দারা। কেশপুরের মোহবনি প্রাথমিক স্বাস্থ্য কেন্দ্রের এক চিকিৎসকের বিরুদ্ধে এমন অভিযোগ উঠেছে। অভিযোগ পেয়েই তড়িঘড়ি তদন্তের নির্দেশ দিয়েছে জেলা স্বাস্থ্য দফতর। প্রশ্নের মুখে পড়ে পড়ে কার্যত ভ্যাবাচ্যাকা খেয়ে গেলেন চিকিৎসক।
অভিযুক্ত চিকিৎসকের নাম বিশুভন চক্রবর্তী। দীর্ঘদিন ধরেই ক্ষুদিরামের জন্মভিটে মোহবনীর প্রাথমিক স্বাস্থ্য কেন্দ্রের দায়িত্বে রয়েছেন তিনি। স্থানীয় বাসিন্দাদের অভিযোগ, ‘অন ডিউটি’ অবস্থাতেই সরকারি হাসপাতালে পরিষেবা না দিয়ে সরকারি কোয়ার্টারে বসে রীতিমতো ভিজিট নিয়ে প্রাইভেট প্র্যাকটিস করছেন ওই চিকিৎসক। তাঁর ভিজিট রোগী প্রতি ২০০ টাকা। বিকেল পাঁচটা থেকে রাত নটা পর্যন্ত সরকারি কোয়ার্টারে বসেই রোগী দেখেন তিনি। অভিযোগ, এই সময় কোনও মুমূর্ষু রোগী এলেও তাঁকে পরিষেবা না দিয়ে সরাসরি "রেফার" করে দেওয়া হয় মেদিনীপুর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে।
আইন অনুযায়ী সরকারি কোয়ার্টারে বসে প্রাইভেট প্র্যাকটিস করতে পারেন? প্রশ্ন শুনে রীতিমতো ভ্যাবাচ্যাকা খেয়ে যান অভিযুক্ত চিকিৎসক। "এমন তো সবাই করে!" বলে সাফাই দেওয়ারও চেষ্টা করেন তিনি। তারপর কার্যত প্রশ্ন এড়িয়ে ভিতরে চলে যান তিনি। অভিযোগ শুনে তড়িঘড়ি তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন জেলার মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক সৌম্য শঙ্কর সারেঙ্গি। এমনকী এভাবে সরকারি কোয়ার্টারে বসে আছে প্রাইভেট প্র্যাকটিস করা যায় না বলেও সাফ জানিয়েছেন তিনি। তদন্তে রিপোর্ট জমা পড়লেই পদক্ষেপ গ্রহণ করা হবে বলেও জানিয়েছেন তিনি। গোটা ঘটনা নিয়ে রাজ্যের স্বাস্থ্য ব্যবস্থা ও রাজ্য সরকারকে নিশানা করেছেন বিজেপি নেতা দিলীপ ঘোষ।
রিপোর্টারঃ শাহজাহান আলি